আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
১. ইস্তেঞ্জা করার পরে ভালো ভাবে গুপনাঙ্গ টেনে পশ্রাব বের করে পরিষ্কার হই, পানি কুলুপ দুই ই ব্যবহার করা হয়। তাও মাঝে মাঝে ইস্তেঞ্জার ১০/১৫ মিনিট পরে লিঙ্গের মাথায় খুবই অল্প তরলের আলামত দেখি। এক ফোটাও হবে না এত্তো অল্প কিন্তু এতে আলামত দেখি মাঝে মধ্যে। কিন্তু প্রায় সময় ই সব ঠিক থাকে কোনো আলামত দেকি না।  মাঝে মাঝে এমন অল্প পানি জাতীয় আলামত চোখে লাগে। এই সময় পশ্রাব ভিতর থেকে এসেছে এমন কোনো ফিল ও আসে না৷ মানে খুবই স্বাভাবিক থাকে সব কিছু কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ চ্যাক করলেই তা দেকি। এখন সব সময় তো চ্যাক করা ও সম্ভব না। কাজের ক্ষেত্রে বাহিরে বাহিরে থাকতে হয়। দেখা তো পসিবল হয় না তাও ১০/১৫ মিনিট পরে।

এমন অবস্থায় কি করনীয়, আমি যেহেতু বের হওয়ার কিছুই ফিল করি না আর ঘটনাও মাঝে  মাঝে ঘটে আমি যদি এই বিষয়টা পাত্তা না দিয়ে কখনই চ্যাক না করি এতে কি কোনো সমস্যা হবে?

২. যে পরিমান নাপাকি মাপ তা কিভাবে পরিমান হবে? কাপড় পাতলা হলে অল্প নাপাকিও ছড়িয়ে ৫ টাকার কয়েনের বেশি জায়গা নিয়ে নেয়, একটু গাঢ় কাপড় হলে অল্প জায়গা নেয়। এই ক্ষেত্রে সেই নাপাকির বিষয়টা কি এমন, "যে সেই নির্ধারিত পরিমান নাপাকি যতোটুকু জায়গায় ছড়াক ওতোটুকু নাপাকি মাপ" অর্থাৎ সেই নাপাকির পরিমানটাকেই প্রাধান্য দিবো? না কি ছরিয়ে যাওয়ার এড়িয়া...

৩.  আমি জুনুব অবস্থায় আমার দাতে একটি ক্যাপ লাগাই, এর ফলে কি আমার পরবর্তী নামাজ গুলো যা পড়ে আসছি তা তে কোনো সমস্যা হচ্ছে?
৪. কেও তার বউকে একটি ডায়লগ বিকৃত করে বললো, বিকৃত করার পরে লাইন টা এমন হয় "তালাকানকা মাগা" বউকে এই ডায়লগের বিকৃত রুপটি বলতে গিয়ে সে যদি "তালাকান" বলে থেমে যায় এতে কি তাদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা হবে? সে সেই বাক্যের বিকৃত রুপের নিয়তেই শব্দটি বলেছে।
জাজ্বাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (566,100 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরিফে এসেছে,

عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

ঈসা ইবন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৬)
 
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .
حكم : صحيح

নাসর ইবনুল মুহাজির ..... হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে অযু করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান হালকাভাবে ধৌত করার পর উযূ করেন)।
(আবু দাউদ ১৬৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কয়েকবার নিংড়ানোর পর টিস্যু পেপার ব্যবহার করে কিছুক্ষন হাটাহাটি করবেন।
এর পর ভালোভাবে পানি ঢেলে দিবেন।
,
এতে কাজ না হলে চিকিৎসা করাবেন।
,
আপাতত নামাজের আগ দিয়ে ইস্তেঞ্জা না করাই আপনার পবিত্রতার জন্য উচিত হবে।
নামাজের পর ইস্তেঞ্জা করবেন।
পবিত্র কাপড়ে নামাজ আদায় করবেন।
তাই নামাজের জন্য আলাদা কাপড় রাখতে পারেন,অথবা নিচে কোনো ছোট প্যান্ট পড়তে পারেন,যেটা নামাজের আগ দিয়ে চেঞ্জ করবেন/খুলে ফেলে নামাজ আদায় করবেন।

আরো জানুনঃ 

(০২)
ছড়িয়ে যাওয়ার এড়িয়াকে আপনার হিসাবে আনতে হবে।

(০৩)
আপনার পরবর্তী নামাজ গুলো যা পড়ে আসছে, তাতে কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৪)
ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...