আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১।ফরজ নামাজ পড়া শেষ করে,,তাশাহুদ বা কোনো সুরায় মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার দরুন,ভুল হলো কিনা  মনে করে আবার যদি ফয়য নামাজ আদায় করি  অথবা ২য় বার আদায় এর সময় অর্ধেক পড়ে  বাদ দিয়েছি।মনে হয়েছে ,, আগেইতো ভালো করে পড়লাম।।এমনটা করা কি ঠিক হয়েছে?
২//দোয়াএ মাসুরা বা দরুদ শরীফ পাঠে যদি লাহনে জালি হয় তাহলে কি নামাজ ভেঙে যাবে।অথবা নামাজে আল্লাহুআকবার
পড়ার সময় বার বলার সময় এক আলিফ টেনে পড়ে এবং রুকুতে বা সেজদায় চলে যায়,,তাহলে কি নামাজ ভেঙে যাবে?
৩//ফরয নামাজে উচ্চারণে ভুল  হলো কিনা এই সন্দেহে নামাজ ভেঙে আবার পড়লে।।নামাজ ভাঙার কারনে কি গুনাহ হবে?
৪//সুরা পড়ার সময় এক হরফের জায়গায় ভুলে আরেক হরফ পড়লে,,এবং পুনরায় সংশোধন করে পড়লেই তো হবে?নাকি নামাজ বাদ দিয়ে আবার পড়তে হবে।এখানেই কোন জানি  প্রশ্নের উত্তরে পড়েছিলাম নামাজ প্রথম থেকে পরতে হবে।আসলে বিষয়টা ক্লিয়ার মনে পড়ছে না।

৪//কাযা নামাজের নিয়তটা আমার নিজের মতো বললে হবে।।যেমন:আমি ফযরের যত ফরয নামাজ কাযা করেছি তার মধ্য হতে,,ফযরের প্রথম ফরয নামাজের কাযা আদায় করিবার নিয়ত করিলাম।
৫//নফল নামাজ আদায় এ অজু ভেঙে গেলে(প্রায় ই এই সমস্যা হলে।ওই নামাজ কি আবার পড়া ওয়াজিব?

৩।একটা মেয়েকে বিয়ের সময় যতো খরচ হবে এই কথা বলে বাড়ির কাজের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।। কিন্ত মেয়েটা ৪ বছরের মতো থাকার পর রিলেশন করে বিয়ে করে।আর এমনিতেও ৩ বছর থাকার পর বেপরোয়া হয়ে যায়,,একাধিক রিলেশন এ জড়িয়ে পড়ে।অশান্তি সৃষ্টি করে।।মেয়েটাকে একজোড়া স্বর্নের কানের দোল দেওয়ার  কিছুদিন পরেই বাড়ি থেকে চলে যায়।।এখন মালিক রাগে টাকা দিতে চাচ্ছে না।।মালিকের কথা আমিতো ওকে বিয়ের সময় যতো খরচ হবে সব দেওয়ার শর্তে নিয়ে এসেছি।বরং উল্টো আমাকে কষ্ট দিয়ে চলে গেছে।মেয়েটির সমস্ত ভরণপোষণসহ,তার মা বাবাকেও সাহায্য করা হতো।। কিন্তু মালিকের কথা আমি তো বিয়ের দায়িত্ব নেওয়ার শর্তে নিয়ে এসেছি,, তাহলে এখন টাকা দিবো না।(এক প্রকার কষ্ট থেকেই বলছে)।।এখন টাকা না দিলে কি গুনাহ হবে???এটা জানতে চায়
বি:দ্র:মেয়েটাকে তার পারিশ্রমিক এর মূল্য দেওয়াতে কোনো আপত্তি নেয়।।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এমনটা করা ঠিক হয়নি।
এমতাবস্থায় ১ম নামাজই ফরজ হিসেবে গন্য হবে।
আর ২য় নামাজ নফল বলে গন্য হবে। 

(০২)
লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। 

মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম ইরশাদ করেছেন, (কিয়ামতের দিন) কুরআনের তিলাওয়াতকারী বা হাফেজকে বলা হবে-
اقْرَأْ، وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا.
তিলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। ধীরে ধীরে তিলাওয়াত কর, যেভাবে ধীরে ধীরে দুনিয়াতে তিলাওয়াত করতে। তোমার অবস্থান হবে সর্বশেষ আয়াতের স্থলে যা তুমি তিলাওয়াত করতে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯১৪

আরো জানুনঃ  

"السعاية في كشف مافي  شرح الهداية" :

"وفی النهاية لو أدخل المد بين الباء والراء في لفط "الله أكبر"عند افتتاح الصلوة ،لايصير شارعاّ في الصلوة

(كتاب الصلوة ،باب صفة الصلوة ،ج:2 ،ص:151 ،ط:سهيل اكادمي لاهور)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি আকবার এর বা আর রা এর মাঝে টান দেয়,সেক্ষেত্রে সে নামাজ শুরু কারী বলে গন্য হবেনা।

"كشاف القناع " :

"(أو قال: أكبار، لم تنعقد) صلاته؛ لأنه يصير جمع كبر، بفتح الكاف، وهو الطبل."

(كتاب الصلوة ،باب صفة الصلوة ،ج:2 ،ص:286 ،ط:وزارة العدل المملكة العربية السعودية)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি أكبار বলে,তাহলে তাহা শুদ্ধ হবেনা। কেননা এর অর্থ ঢোল,তবলা।


الموسوعۃ الفقہیہ :

"أو قال الله أكبار لم يصح تكبيره

 أكبار: جمع كبر بفتح الكاف وهو الطبل."

(الشروط المتعلقة بلفظ تكبيرة الإحرام،ج:13 ،ص:223 ،ط:دارصادر)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি الله أكبار বলে,তাহলে তার তাকবির শুদ্ধ হবেনা। কেননা এর অর্থ ঢোল,তবলা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দোয়ায়ে মাসুরা বা দরুদ শরীফ পাঠে যদি লাহনে জলি হয়,এতে যদি নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অর্থ হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

নামাজে আল্লাহু আকবার
পড়ার সময় বা আর র এর মাঝে এক আলিফ টেনে পড়ে এবং রুকুতে বা সেজদায় চলে যায়,,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

(০৩)
পুনরায় সংশোধন করে পড়লেই হবে।

(০৪)
হ্যাঁ, এভাবে নিয়ত করলে হবে।

(০৫)
এক্ষেত্রে অযু করে এসে অবশিষ্ট নামাজ আদায় করবে।
আর যদি অযু করতে গিয়ে কাহারো সাথে কথাবার্তা বলে,নামাজ বহির্ভুত অন্য কোনো কাজে লিপ্ত হয়,সেক্ষেত্রে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।

(০৬)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও শর্ত অনুযায়ী উক্ত মেয়ের বিবাহের যাবতীয় খরচ মালিককে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...