জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এমনটা করা ঠিক হয়নি।
এমতাবস্থায় ১ম নামাজই ফরজ হিসেবে গন্য হবে।
আর ২য় নামাজ নফল বলে গন্য হবে।
(০২)
লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম ইরশাদ করেছেন, (কিয়ামতের দিন) কুরআনের তিলাওয়াতকারী বা হাফেজকে বলা হবে-
اقْرَأْ، وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا.
তিলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। ধীরে ধীরে তিলাওয়াত কর, যেভাবে ধীরে ধীরে দুনিয়াতে তিলাওয়াত করতে। তোমার অবস্থান হবে সর্বশেষ আয়াতের স্থলে যা তুমি তিলাওয়াত করতে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯১৪
আরো জানুনঃ
"السعاية في كشف مافي شرح الهداية" :
"وفی النهاية لو أدخل المد بين الباء والراء في لفط "الله أكبر"عند افتتاح الصلوة ،لايصير شارعاّ في الصلوة
(كتاب الصلوة ،باب صفة الصلوة ،ج:2 ،ص:151 ،ط:سهيل اكادمي لاهور)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি আকবার এর বা আর রা এর মাঝে টান দেয়,সেক্ষেত্রে সে নামাজ শুরু কারী বলে গন্য হবেনা।
"كشاف القناع " :
"(أو قال: أكبار، لم تنعقد) صلاته؛ لأنه يصير جمع كبر، بفتح الكاف، وهو الطبل."
(كتاب الصلوة ،باب صفة الصلوة ،ج:2 ،ص:286 ،ط:وزارة العدل المملكة العربية السعودية)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি أكبار বলে,তাহলে তাহা শুদ্ধ হবেনা। কেননা এর অর্থ ঢোল,তবলা।
الموسوعۃ الفقہیہ :
"أو قال الله أكبار لم يصح تكبيره
أكبار: جمع كبر بفتح الكاف وهو الطبل."
(الشروط المتعلقة بلفظ تكبيرة الإحرام،ج:13 ،ص:223 ،ط:دارصادر)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি الله أكبار বলে,তাহলে তার তাকবির শুদ্ধ হবেনা। কেননা এর অর্থ ঢোল,তবলা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দোয়ায়ে মাসুরা বা দরুদ শরীফ পাঠে যদি লাহনে জলি হয়,এতে যদি নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অর্থ হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
নামাজে আল্লাহু আকবার
পড়ার সময় বা আর র এর মাঝে এক আলিফ টেনে পড়ে এবং রুকুতে বা সেজদায় চলে যায়,,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
(০৩)
পুনরায় সংশোধন করে পড়লেই হবে।
(০৪)
হ্যাঁ, এভাবে নিয়ত করলে হবে।
(০৫)
এক্ষেত্রে অযু করে এসে অবশিষ্ট নামাজ আদায় করবে।
আর যদি অযু করতে গিয়ে কাহারো সাথে কথাবার্তা বলে,নামাজ বহির্ভুত অন্য কোনো কাজে লিপ্ত হয়,সেক্ষেত্রে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।
(০৬)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও শর্ত অনুযায়ী উক্ত মেয়ের বিবাহের যাবতীয় খরচ মালিককে দিতে হবে।