আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি একটা ছোট খাটো বিজনেস করতে চাচ্ছি। সেখানে অনেক কিছু নিজ হাতে তৈরি করে বিক্রি করবো। কিন্তু আমি চাই কোন প্রাণী জাতীয় কিছু তৈরি না করতে।

এখন আমার প্রশ্ন আমি যদি কখনও বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে কোনো প্রাণী জাতীয় জিনিস বানিয়ে থাকি,আমি তার মুখমন্ডল বানাবো না(চোখ,নাক,মুখ) তাহলে কি আমি সেগুলো বানাতে পারবো? আমার পন্যের কাস্টমার বেশিরভাগ বাচ্চাদের জন্যই হবে, তাহলে আমি কি তাদের জন্য চোখ মুখ ছাড়া, শুধু শরীর হাত আর মাথা থাকবে, এভাবে কোনো প্রাণী জাতীয় কিছু তৈরি করা জায়েজ হবে?


দ্বিতীয় প্রশ্ন, আমার একজন খালাতো বোন, তার বিয়ে হয়েছে অনেকদিন আগে, কিছু কারণে তাদের শুধু আকদ হয়েছে কিন্তু কিছু কারণ বসত কাবিননামা বা কোনো কাগজ পত্র হয়নি।তাদের একসাথে থাকাও হয়নি। তার স্বামী দূরে থাকে।

একদিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়, এক পর্যায়ে আমার বোন আল্লাহর নামে কসম করে অনেক কড়া ভাবে, বলে সে আগামী ২ বছরের আগে বিয়ে মানে কাবিনও করতে দিবে না আর তার শশুরবাড়ির লোক আসতেও দিবে না।

যেহেতু প্রথম দিকের বিয়ে ঘরোয়া ভাবে হয়েছিলো,আর আত্মীয় স্বজনরা আকদ কে বিয়ে হিসেবে তেমন গন্য করে না,তারা কাবিনকেই বিয়ে মনে করে,তাই আমার বোন আর তার স্বামী এক সাথে থাকেনি। আর তার স্বামীও অনেক দূরে থাকায় তাদের একসাথে হওয়া আর সম্ভব হয়নি।

এখন তার স্বামী কাবিন করে তাকে নিয়ে আসতে চাচ্ছে, কিন্তু আমার বোন সেই কসমের জন্য ভয় পাচ্ছে,সেই কসমের আর ৯ মাস বাকি আছে যদিও।

এখন কি বোন তার কসমের উপর থেকে ৯ মাস পর বিয়ে করবে? নাকি তার স্বামীর কথা শুনে তার কাবিন করে নেওয়া উচিত। এখানে বোনের স্বামী সমস্যা কারণে ১৫ মাসের মধ্যে কাবিন করতে পারেনি কিন্তু এখন করতে চাচ্ছে তার স্বামী ফিতনা থেকে বাঁচতে।আর এদিকে আমার বোন কসমের ভয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছে না,
সে জানতে চাচ্ছে এখন কি কসমের কাফফারা দিয়ে বিয়ে করবে নাকি কসম বহাল রাখবে। আর সে আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল না। তবুও যদি ১০ জন সাদকাতুল ফিতর হিসেবে ধরে তবে কেমন টাকা আসবে, একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবেন?

আর বোন এতোটাই ভীত এখন রোজা রাখতে চাচ্ছে আর ১০ জন মিসকিনের ফিতরও আদায় করতে চাচ্ছে, যদি টাকার হিসাব কম আসে।


তৃতীয় প্রশ্ন, আমাদের যদি কোন রোগ হয়, সেই রোগের জন্য আমরা কি অন্য ধর্মের লোকদের চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবো,যা তাদের সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত।
আমি হিন্দুদের ইয়োগার কথা বলতে চাচ্ছি। আমার কিছু শারীরিক সমস্যার জন্য কিছু ইয়োগা আছে যা আমার জন্য উপকারী। তাই সেগুলা করে থাকে ব্যায়াম হিসেবে।
তবে তাদের কিছু ইয়োগা আছে,যা তাদের পূজা/ শিরকের সাথে সম্পর্কযুক্ত,সেগুলো অবশ্যই এভয়েড করি।
এখন যেহেতু ইয়োগা তে কিছু বিতর্কিত আসন আছে,আমি যদি সেগুলো বাদ দিয়ে,যে গুলোয় কোনো সমস্যা নেই সেগুলো ব্যায়াম বা চিকিৎসার নিয়তে করতে পারবো? এভাবে করলে জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামদের মতে বাচ্চাদের খেলনা স্বরূপও এসব মানব আকৃতি বা প্রাণীর পুতুল ব্যবহার বৈধ নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা নগরীতে প্রবেশ করলেন তখন বাইতুল্লাহর আশে পাশে তিনশ ষাটটি মূর্তি বিদ্যমান ছিল। তিনি প্রত্যেক মূর্তির দিকে হাতের লাঠি দিয়ে আঘাত করছিলেন এবং বলছিলেন:

جاء الحق وزهق الباطل، إن الباطل كان زهوقا، جاء الحق وما يبدئ الباطل وما يعيد.

সত্য এসেছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। সত্য আগমন করেছে আর মিথ্যা না পারে কোনো কিছু সূচনা করতে, না পারে পুনরাবৃত্তি করতে। (সহীহ বুখারী হা. ২৪৭৮, ৪২৮৭, ৪৭২০; সহীহ মুসলিম হা. ১৭৮১)

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা.-এর বর্ণনায় এসেছে যে, লাঠির শুধু ইঙ্গিতের দ্বারাই মূর্তিগুলো ধরাশায়ী হচ্ছিল।

[সীরাতে ইবনে হিশাম খ  : ৭, পৃষ্ঠা : ১১৪ (আররওযুল উনুফ-এর সঙ্গে মুদ্রিত সংস্করণ) তারীখুল ইসলাম শামসুদ্দীন যাহাবী খ  : ২ পৃষ্ঠা : ৩১৮ ইবনে ইসহাকের উদ্ধৃতিতে, দি লাইফ অব মোহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অনুবাদে আলফ্রেড গিয়োম পৃ. ৫৫২] 

এই কথাটা হযরত জাবির রা-এর হাদীসেরও এসেছে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস : ৩৮০৬)

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহ্য় প্রবেশ করে ইবরাহীম আ. ও মারইয়াম রা.-এর ছবি দেখলেন। তখন তিনি বললেন, এঁরা তো (যাদের চিত্র এই লোকেরা অঙ্কন করেছে) (আল্লাহর এই বিধান) শুনেছেন যে, ফেরেশতারা সে গৃহে প্রবেশ করেন না, যাতে কোনো চিত্র থাকে। (সহীহ বুখারী হা. ৩৩৫১;সহীহ ইবনে হিববান  হা. ৫৮৫৮)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
শিশুদের জন্য খেলনার পুতুল দিয়ে খেলা করা কেউ বলেন নাজায়েয,আবার কেউ বলেন জায়েয।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে কোনো প্রাণী জাতীয় জিনিস বানানো থেকে বাঁচিয়ে থাকা এটাই তাকওয়ার সর্বাদিক নিকটবর্তী ও সার্বিক বিবেচনায় অধিক কল্যাণকর।কেননা সন্দেহ মূলক জিনিষ থেকে বেঁচে থাকাই মু'মিন দের জন্য উচিৎ ও কাম্য।

বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে কোনো প্রাণী জাতীয় জিনিস বানালে মাথা কর্তন করার পরামর্শ থাকবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
তার স্বামীর কথা শুনে তার কাবিন করে নেওয়া উচিত। 
সে কসম ভঙ্গের কাফফারা আদায় করবে।

এক্ষেত্রে ১০ জন মিসকিনকে সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ টাকা (১১৫০ টাকা) দিলেই হবে। 

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
এভাবে করলে জায়েজ হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...