আসসালামু আলাইকুম
আমি একটা ছোট খাটো বিজনেস করতে চাচ্ছি। সেখানে অনেক কিছু নিজ হাতে তৈরি করে বিক্রি করবো। কিন্তু আমি চাই কোন প্রাণী জাতীয় কিছু তৈরি না করতে।
এখন আমার প্রশ্ন আমি যদি কখনও বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে কোনো প্রাণী জাতীয় জিনিস বানিয়ে থাকি,আমি তার মুখমন্ডল বানাবো না(চোখ,নাক,মুখ) তাহলে কি আমি সেগুলো বানাতে পারবো? আমার পন্যের কাস্টমার বেশিরভাগ বাচ্চাদের জন্যই হবে, তাহলে আমি কি তাদের জন্য চোখ মুখ ছাড়া, শুধু শরীর হাত আর মাথা থাকবে, এভাবে কোনো প্রাণী জাতীয় কিছু তৈরি করা জায়েজ হবে?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, আমার একজন খালাতো বোন, তার বিয়ে হয়েছে অনেকদিন আগে, কিছু কারণে তাদের শুধু আকদ হয়েছে কিন্তু কিছু কারণ বসত কাবিননামা বা কোনো কাগজ পত্র হয়নি।তাদের একসাথে থাকাও হয়নি। তার স্বামী দূরে থাকে।
একদিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়, এক পর্যায়ে আমার বোন আল্লাহর নামে কসম করে অনেক কড়া ভাবে, বলে সে আগামী ২ বছরের আগে বিয়ে মানে কাবিনও করতে দিবে না আর তার শশুরবাড়ির লোক আসতেও দিবে না।
যেহেতু প্রথম দিকের বিয়ে ঘরোয়া ভাবে হয়েছিলো,আর আত্মীয় স্বজনরা আকদ কে বিয়ে হিসেবে তেমন গন্য করে না,তারা কাবিনকেই বিয়ে মনে করে,তাই আমার বোন আর তার স্বামী এক সাথে থাকেনি। আর তার স্বামীও অনেক দূরে থাকায় তাদের একসাথে হওয়া আর সম্ভব হয়নি।
এখন তার স্বামী কাবিন করে তাকে নিয়ে আসতে চাচ্ছে, কিন্তু আমার বোন সেই কসমের জন্য ভয় পাচ্ছে,সেই কসমের আর ৯ মাস বাকি আছে যদিও।
এখন কি বোন তার কসমের উপর থেকে ৯ মাস পর বিয়ে করবে? নাকি তার স্বামীর কথা শুনে তার কাবিন করে নেওয়া উচিত। এখানে বোনের স্বামী সমস্যা কারণে ১৫ মাসের মধ্যে কাবিন করতে পারেনি কিন্তু এখন করতে চাচ্ছে তার স্বামী ফিতনা থেকে বাঁচতে।আর এদিকে আমার বোন কসমের ভয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছে না,
সে জানতে চাচ্ছে এখন কি কসমের কাফফারা দিয়ে বিয়ে করবে নাকি কসম বহাল রাখবে। আর সে আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল না। তবুও যদি ১০ জন সাদকাতুল ফিতর হিসেবে ধরে তবে কেমন টাকা আসবে, একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবেন?
আর বোন এতোটাই ভীত এখন রোজা রাখতে চাচ্ছে আর ১০ জন মিসকিনের ফিতরও আদায় করতে চাচ্ছে, যদি টাকার হিসাব কম আসে।
তৃতীয় প্রশ্ন, আমাদের যদি কোন রোগ হয়, সেই রোগের জন্য আমরা কি অন্য ধর্মের লোকদের চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবো,যা তাদের সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত।
আমি হিন্দুদের ইয়োগার কথা বলতে চাচ্ছি। আমার কিছু শারীরিক সমস্যার জন্য কিছু ইয়োগা আছে যা আমার জন্য উপকারী। তাই সেগুলা করে থাকে ব্যায়াম হিসেবে।
তবে তাদের কিছু ইয়োগা আছে,যা তাদের পূজা/ শিরকের সাথে সম্পর্কযুক্ত,সেগুলো অবশ্যই এভয়েড করি।
এখন যেহেতু ইয়োগা তে কিছু বিতর্কিত আসন আছে,আমি যদি সেগুলো বাদ দিয়ে,যে গুলোয় কোনো সমস্যা নেই সেগুলো ব্যায়াম বা চিকিৎসার নিয়তে করতে পারবো? এভাবে করলে জায়েজ হবে?