আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম
আমি গীবত নিয়ে চিন্তিত। যখনি আমি অথবা আমার সামনে কেউ অন্য মানুষ সম্বন্ধে কিছু বলে তখনি আমার মনে গীবত হয়ে গেল কিনা। অনেক সময় দেখা যায় আমি জা বললাম সেটা খারাপ হলেও, অপরের শুনতে খারাপ লাগলেও গীবত হয়নি। গীবত না হওয়ার শর্ত গুলো দেখেছি তবে সবসময় আমি আর অজ্ঞতার দরুন বুঝতে পারিনা যে গীবত হল কি হলনা। প্রত্যেকবার তো আর একজন আলেম কে জিজ্ঞেস করে বিরক্ত করা যায়না।
১। আমাদের বাসার দারোয়ান অনেক টাকা চুরি করেছে আমাদের। এখন সেটা প্রমানিত হয়েছে এবং সেই লোক সেটা প্রকাশ করেছে। তখন তাকে ধরা হয় সে স্বীকার করেছে। এইটা কি নিজের পাপ প্রকাশ করা?? সে কি নিজের পাপ গোপন রাখবে হাতে নাতে ধরা পরার পর। গোপন করলে সে বিপদে পরবে আরো বেশি।
২। সেই চোরের সম্বন্ধে মানুষজন কথাবারতা বলছে যারা মজলুম। এতা কি গীবত হচ্ছে?
৩। একজন মানুষ তাওবাহ করার পর কি দেখে আমরা বুঝব যে সে আসলেই ভাল হহয় গেছে?
৪। সেই ব্যাক্তি যে তাওবাহ করেছে সেটা জানাওর জন্য কি পাপ শিকার করবে?
৫। দুইজন মানুষ অন্যায় করেছে। এবং আমার নাম তার সাথে জুরে দিয়েছে। এর ফলে সমাজে আমাকে নিয়ে মানুষ বিশ্বাস করতে পারছেনা। আমি কি নিজের অবস্থান পরিস্কার করতে এবং প্রক্রিত অন্যায়কারী সম্বন্ধে মানুষকে বলতে পারব কারণ মানুষ কে আমার নিষ্পাপ অবস্থা বঝাতে হইলে অই ব্যাক্তি দুইজন এর গোপন পাপ জেইটা প্রকাশিত আরো প্রকাশ করতে হবে তাছাড়া আমি বিপদে পরবো।
৬। সাধারন মানুষ আমি সত্য বলার আগ পর্যন্ত বিদ্দমান প্রমান এর উপর ভিত্তি করে যে আমাকে boycott করলে নিজেদের সুরক্ষার জন্য এইটা কি হালাল?
৭। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কন কন বিষয়ে গীবত হয়না, তবে মানুষ ভাবে গীবত একটু বিস্তারিত জানালে ভাল হয়?
৮। পাপ গোপন করার আসল ধরন কেমন? অনেক সময় আমি অন্যায় করলাম এবং মানুষের কাছে শিকার করলাম ধরা পরে যাওয়ার পর জেনো আমি বর বিপদ থেকে বাঁচি। সেটা যেকোনো অন্যায় হতে পারে। এমন সময় কি করা উচিত?
৯। গীবত  ও পাপ প্রকাশ করা থেকে বাঁচতে কিভাবে মানসিক অবস্থান রাখবো যেন বারবার দলিল না খুঁজে বাঁচা যায়। কারণ জীবনের প্রত্যেকটা কথায় কি ফতোয়া হবে ভাবতে থাকলে তো মানোসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়।
by
(৪)
ক) আমি যদি কোন অন্যায় করে ফেলি প্রকাশ্যে। মানুষজন নিজেদের আমার অন্যায় থেকে বাঁচাতে আমাকে avoid করে চলবে। তখন আমি যদি তাদের গিয়ে বলি যে 
ভাই আমি এই অন্যায় করেছি (পাপের নাম বলে) , আমি ভাল হয়ে  গেছি। আমি আর করবোনা । এতা কি জায়েয যেন আমাকে সমাজে মেনে নেয়া হয়?

খ) আমি অন্যায় গোপনে করেছি এবং যার সাথে মিলে পাপ টা করেছি, সে সেইটা প্রকাশ করে দিয়েছে। গোপন ছিল বিষয়টা। কিন্তু অপরজন নিজে সুবিধা নেয়ার জন্য প্রকাশ করে দিয়েছে জেন আমি বিপদে পরি। সে বানিয়ে আর অনেক কিছু জোগ করেছে আমাকে বিপদে ফেলার জন্য। এখন সমাজে আমাকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মানুষ নিজেদের আমার মত লোক থেকে বাঁচানোর জন্য সেইটা নিয়ে নাম ধরে আলোচনা করছে? এই নাম ধরে আলোচনা করা নিজদের বাঁচানোর  জন্য কি জায়েয?
আমি নিজে এখন ভাল হতে চাই। আর অন্যায় করতে চাইনা। এমতাবস্থায় কি মানুষদের কেবলমাত্র আমার পাপ পরিমাণ জানিয়ে দিলাম এই কারণে যে তারা আমাকে পাপী মনে করুক কিন্তু নিজেদের জন্য ক্ষতিকারক মনে করে boycott না করুক।আমি যেন সমাজে চলতে পারি। এই পরিমাণ পাপ বলে দেওয়া কি জায়েয যদিও আমি এই কাজ আর করবোনা? 

1 Answer

0 votes
by (589,740 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
‘গীবত’-এর পরিচয় প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বলেছেন,
«أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟» قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ: «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ»
“তোমরা কি জান ‘গীবত’ কী? তাঁরা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, তোমার ভাই যে কথা অপছন্দ করে তার সম্পর্কে সে কথা বলার নাম গীবত। জিজ্ঞেস করা হলো, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবেই তুমি তার ‘গীবত’ করলে। আর যদি না থাকে তাহলে তুমি তাকে অপবাদ দিলে”। (সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৪৮২৮) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1715

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাউকে ছোট করার নিয়তে তার দোষ বর্ণনা করাই গীবতের মূল আলোচ্য বিষয়।

(১) ধরা পরার পর চুরির স্বীকারোক্তি গোনাহকে গোপনের আওতাধীন থাকবে না।

(২) গীবত হবে না।

(৩) তাওবাহ করার পর ঐ ব্যক্তির পরবর্তী কাজই সাক্ষ্য দিবে যে,তার তাওবাহ কবুল হয়েছে কি না?

(৪) প্রশ্নটি অষ্পষ্ট।

(৫) যদি প্রকাশ করা ব্যতিত বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকে, তাহলে শুধুমাত্র প্রয়োজন পর্যন্ত ঐ ব্যক্তির নাম প্রকাশ।

(৬) 
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের যাবতীয় চেষ্টা প্রচেষ্টা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রেও  যথা সম্ভব অন্য মান সম্মানের প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।

(৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36

(৮) প্রশ্নটি অষ্পষ্ট। 

(৯) গীবত ও পাপ প্রকাশ করা থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...