ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
‘গীবত’-এর পরিচয় প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বলেছেন,
«أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟» قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ: «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ»
“তোমরা কি জান ‘গীবত’ কী? তাঁরা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, তোমার ভাই যে কথা অপছন্দ করে তার সম্পর্কে সে কথা বলার নাম গীবত। জিজ্ঞেস করা হলো, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবেই তুমি তার ‘গীবত’ করলে। আর যদি না থাকে তাহলে তুমি তাকে অপবাদ দিলে”। (সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৪৮২৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাউকে ছোট করার নিয়তে তার দোষ বর্ণনা করাই গীবতের মূল আলোচ্য বিষয়।
(১) ধরা পরার পর চুরির স্বীকারোক্তি গোনাহকে গোপনের আওতাধীন থাকবে না।
(২) গীবত হবে না।
(৩) তাওবাহ করার পর ঐ ব্যক্তির পরবর্তী কাজই সাক্ষ্য দিবে যে,তার তাওবাহ কবুল হয়েছে কি না?
(৪) প্রশ্নটি অষ্পষ্ট।
(৫) যদি প্রকাশ করা ব্যতিত বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকে, তাহলে শুধুমাত্র প্রয়োজন পর্যন্ত ঐ ব্যক্তির নাম প্রকাশ।
(৬)
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের যাবতীয় চেষ্টা প্রচেষ্টা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রেও যথা সম্ভব অন্য মান সম্মানের প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।
(৮) প্রশ্নটি অষ্পষ্ট।
(৯) গীবত ও পাপ প্রকাশ করা থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।