আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

আমার শশুড়বাড়িতে ২টা বিড়াল এর বাচ্চা ছিলো।আমি ওখানে থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝে ওদের খাবার দিতাম। বিড়ালের প্রতি আমার ইমোশন অন্যরকম। আমার নিজের বাসাতেও ২টা বিড়াল পালন সহ এলাকার আরও কিছু বিড়ালকে খাওয়া দেওয়ার তৌফিক আল্লাহ দিয়েছেন। কিন্তু আমার জাওয আলাদা। উনার বিড়াল ফোবিয়া আছে, বিড়াল নিয়ে কম বুঝে। আমি অসুস্থতার কারনে বাপের বাড়ি আসি। তো আজকে আমার জাওয জানায় ওখানে ওই ২টা বিড়াল এর বাচ্চা থেকে ১টা খুব অসুস্থ, খাবার দিলে খায় না। আমি বলি আপনি ওকে কালকে সকালে নিয়ে আসেন আমি ভেটের কাছে নিয়ে যাবো কিন্তু উনি না বুঝে শুনে হুট করে মাগরিবের সময় নিয়ে আসে। আমি হঠাৎ তাদের দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। ওই সময় ভেট ও পাওয়া সম্ভব না + ওকে বাসায় রাখাও সম্ভব না কারন আমার বাসায় অসুস্থ বিড়াল আছে+ আম্মুও রাগ করবে। তো যাই হোক এগুলা ভাবতে ভাবতে আমি ওকে বারান্দায় নিয়ে যাই দেখতে কি অবস্থা। বক্স খুলে দেখি অসুস্থ। আমি ভেবেছি নড়তে পারবে না।আজকে রাতটা এখানেই থাকুক, সকালে ভেটের কাছে নিয়ে যাবো।তো আমি ওকে বের করলে একটু পরেই ও খুব দ্রুত দৌড় দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আমি ওকে আর পাই না। রাত ও হয়ে গেছিলো, আসেপাশে দেখেও ওকে আর পাই না। তখন থেকে আমি খুবই মানসিক ভাবে ভেংগে পড়েছি। আমার জন্য বাচ্চাটা বিপদে পড়েছে, ওকে আমি ওর এলাকা থেকে, মা ভাই থেকে দুরে নিয়ে এসে একা করে দিয়েছি ইত্যাদি আমাকে খুব পেরেশানি দিচ্ছে। আমি প্রেগন্যান্ট অবস্থায়য় আছি। এমতাবস্থায় খুবই খারাপ লাগছে।আমার জানার বিষয়, এই ঘটনায় কি আমি গুনাহগার হবো? আমার করনীয় কি? দুআ করেছি আল্লাহর কাছে মাফ ও চেয়েছি।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْلاَ أَنَّ الْكِلاَبَ أُمَّةٌ مِنَ الأُمَمِ لأَمَرْتُ بِقَتْلِهَا فَاقْتُلُوا مِنْهَا الأَسْوَدَ الْبَهِيمَ " .

আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্র সৃষ্টজীবের মধ্যে কুকুর এক প্রকার জীব না হলে আমি এগুলোকে হত্যা করতে আদেশ দিতাম। সুতরাং তোমরা গাঢ় কালো রঙের কুকুরগুলো হত্যা করো। (আবু দাউদ ২৮৪৫)

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ أَمَرَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَتْلِ الْكِلاَبِ حَتَّى إِنْ كَانَتِ الْمَرْأَةُ تَقْدَمُ مِنَ الْبَادِيَةِ - يَعْنِي بِالْكَلْبِ - فَنَقْتُلُهُ ثُمَّ نَهَانَا عَنْ قَتْلِهَا وَقَالَ " عَلَيْكُمْ بِالأَسْوَدِ " .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে কুকুর হত্যার আদেশ দেন, এমনকি কোন মহিলাও যদি জঙ্গল থেকে তার কুকুরসহ আসতো সেটাও আমরা হত্যা করতাম। অতঃপর তিনি আমদেরকে কুকুর হত্যা নিষেধ করে বললেনঃ তোমরা শুধুমাত্র কালো কুকুর হত্যা করবে। (আবু দাউদ ২৮৪৬)

শরীয়তের বিধান হলো কোনো কুকুর যদি হিংস্র হয়, ক্ষতিকারক হয়, চায় সে পাগলা কুকুর হোক, বা সুস্থ কুকুর হোক, যদি তাকে মেরে ফেলা ছাড়া তার থেকে পরিত্রানের কোনো ছুরত না থাকে, তাহলে তাকে মেরে ফেলা জায়েয আছে।

তাকে অন্যান্য যন্ত্র দিয়ে যেমন মেরে ফেলা জায়েয আছে,বিষ দিয়েও মেরে ফেলা জায়েয আছে। তবে বিষ এমন হওয়া উচিত যেটার দ্বারা কুকুর দ্রুত  মারা যাবে। অন্যথায় সাধারন বিষ প্রয়োগ করা হলে  সেটা আরো ভয়ংকর রকমের সমস্যার কারন হতে পারে। (কিতাবুন নাওয়াজেল ১৪/৪৪০)    

আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/3119/

হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,

عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ

 হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

জি না প্রশ্ন উল্লেখিত শুরুতে আপনার কোন গুনাহ হবে না। কারণ, আপনি উক্ত বিড়ালের অনিষ্ঠতা কামনা করেননি। বরং চিকিৎসার উদ্দেশ্যেই আপনার বাসায় নিয়ে এসেছেন। এতে চিন্তিত/বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

বি:দ্র: প্রাণীকে বন্ধী করে রাখলে তার খাবার দাবার ও চিকিৎসা সবকিছুই বন্ধী কারী ব্যক্তির উপর আপতিত হয়। তবে বন্ধী করে না রাখলে তার খাবার দাবার ও চিকিৎসা কারো উপর আপতিত হবে না।

যেহেতু বিড়ালকে আপনি বন্ধী করে রাখেন নি,তাই উক্ত বিড়ালের খাবার দাবার ও চিকিৎসা আপনার উপর ওয়াজিব ছিলনা। সুতরাং বিড়ালটি এমনিতেই মারা গেলে তার জন্য আপনাকে দায়ভার গ্রহণ করতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...