জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সাহাবী হযরত "আইয়াশ ইবনে আবি রাবিয়া" রাযিঃ এর নামা হাদীস শরীফে আছে।
রাসুলুল্লাহ সাঃ তার জন্য দোয়া করেছিলেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَنْجِ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ، اللَّهُمَّ أَنْجِ سَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ، اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، اللَّهُمَّ أَنْجِ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ، اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ". وَأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا، وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ ". قَالَ ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ أَبِيهِ هَذَا كُلُّهُ فِي الصُّبْحِ.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শেষ রাক‘আত হতে মাথা উঠালেন, তখন বললেন, হে আল্লাহ্! আইয়্যাশ ইবনু আবূ রাবী‘আহ্কে মুক্তি দাও। হে আল্লাহ্! সালামাহ্ ইবনু হিশামকে মুক্তি দাও। হে আল্লাহ্! ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদকে রক্ষা কর। হে আল্লাহ্! দুর্বল মু’মিনদেরকে মুক্তি কর। হে আল্লাহ্! মুযার গোত্রের উপর তোমার শাস্তি কঠোর করে দাও। হে আল্লাহ্! ইউসুফ (‘আ.)-এর সময়ের দুর্ভিক্ষের বছরগুলোর মত (এদের উপরে) ও কয়েক বছর দুর্ভিক্ষ দাও। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বললেন, গিফার গোত্র, আল্লাহ্ তাদেরকে ক্ষমা কর। আর আসলাম গোত্র, আল্লাহ্ তাদেরকে নিরাপদে রাখ। ইবনু আবূ যিনাদ (রহ.) তাঁর পিতা হতে বলেন, এ সমস্ত দু‘আ ফজরের সালাতে ছিল। (সহীহ বুখারী ১০০৬,৭৯৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯৫২)
عَيَّاش [عيش]
['আইয়াশ] শব্দের অর্থঃ-
অধিক আরাম প্রিয়।
অত্যন্ত সুখী জীবন যাপনকারী
রুটি প্রস্তুতকারী
রুটিবিক্রেতা
রুটিওয়ালা
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
"আইয়াশ "নাম রাখা যাবে।
এতে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ হতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ভাগ্নের নাম চেঞ্জ না করলেও সমস্যা নেই।