আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
edited by
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

১) ক্লাসে কিছু ভাই কোরআন তেলাওয়াত পড়া দিচ্ছে উস্তাদকে। ভাইদের পড়া শুনে আমি হেসে ফেলছি। এতে কি আমার ইমান চলে যাবে?? অহংকারী হয়ে গেলাম কি না?? মনের ভিতর অহংকার ডুকতে দেয়নি। আমি তাদের জন্য দোয়া করে দিছি, আল্লাহ যেন তাদের পড়া সহিহ করে দেয়।

আমার ইমানটা আছে তো উস্তাদ??

২) আমি একজন যুবককে স্বপ্নের মাধ্যমে দেখছি, সে একটি ঘোড়ার সাথে আছে। সে এই গোড়া নিয়ে জিহাদ করতে যাবে এইরকম । তখন কে যেন আমাকে তার পক্ষ থেকে একটা চিঠি দিলো,, সে যে একজন মুজাহিদ এটাই বুঝলো, চিঠিটা ভালো করে পরতে পারিনি পড়ার আগেই ঘুম  ভেঙ্গে গেছে ভোর  ৪:৫০ এ স্বপ্নটা দেখি।  এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?

৩) আমি  নানার বাড়িতে বড় হয়েছি। বেশিরভাগ নানার বাড়িতে থেকেছি। নানা মামারা ব্যবসার কাজে ঢাকায় থাকে। আমি নানুর সাথে গ্রামের বাড়িতে থাকি। আমার নানার উপার্জন হারাম উনি মিথ্যা বলে বলে ব্যবসা করেন। খাবার যা খাচ্ছি এগুলো ত নানার  উপার্জনের টাকার।
এতে কি আমার ইবাদত আমল দোয়া কবুল হবে না?

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আপনার ঈমান আছে।তবে এহেন কাজ হতে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।

(০২)
জিহাদের প্রতি যে আপনার আগ্রহ আছে,স্বপ্নে তাহা প্রকাশিত হয়েছে,আলহামদুলিল্লাহ। 

আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কবুল করুন।

(০৩)
ব্যাবসায়ীদের জন্য উচিত কর্তব্য হচ্ছে, আল্লাহকে স্মরণ রাখা এবং হালাল পদ্ধতিতে আয় উপার্জনের চেষ্টা করা। 

হাদীস শরীফে এসেছে-

التّاجِرُ الصّدُوقُ الأَمِينُ مَعَ النّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشّهَدَاءِ.

সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবীগণ, সিদ্দীকীন এবং শহীদগণের সঙ্গে থাকবে। 
জামে তিরমিযী, হাদীস ১২০৯

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ رَفَعَهُ إِلَى حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا أَوْ قَالَ حَتَّى يَتَفَرَّقَا فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُورِكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا وَإِنْ كَتَمَا وَكَذَبَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا

হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ পরস্পর বিচ্ছিন্ন না হয়, ততক্ষণ তাদের ইখতিয়ার থাকবে (ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করা বা বাতিল করা)। যদি তারা সত্য বলে এবং অবস্থা ব্যক্ত করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে আর যদি মিথ্যা বলে এবং দোষ গোপন করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত মুছে ফেলা হয়। (বুখারী শরীফ ২০৭৯.২০৮২, ২১০৮, ২১১০, ২১১৪, মুসলিম ২১/১০, হাঃ ১৫৩২, আহমাদ ১৫৩২৪)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৯৩৪ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৯৪৯)


وَيُذْكَرُ عَنْ الْعَدَّاءِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ كَتَبَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هَذَا مَا اشْتَرَى مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ  مِنْ الْعَدَّاءِ بْنِ خَالِدٍ بَيْعَ الْمُسْلِمِ مِنْ الْمُسْلِمِ لاَ دَاءَ وَلاَ خِبْثَةَ وَلاَ غَائِلَةَ وَقَالَ قَتَادَةُ الْغَائِلَةُ الزِّنَا وَالسَّرِقَةُ وَالإبَاقُ وَقِيلَ لإِبْرَاهِيمَ إِنَّ بَعْضَ النَّخَّاسِينَ يُسَمِّي آرِيَّ خُرَاسَانَ وَسِجِسْتَانَ فَيَقُولُ جَاءَ أَمْسِ مِنْ خُرَاسَانَ جَاءَ الْيَوْمَ مِنْ سِجِسْتَانَ فَكَرِهَهُ كَرَاهِيَةً شَدِيدَةً وَقَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ لاَ يَحِلُّ لِامْرِئٍ يَبِيعُ سِلْعَةً يَعْلَمُ أَنَّ بِهَا دَاءً إِلاَّ أَخْبَرَهُ

‘আদ্দা ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে লিখে দেন যে, এটি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আদ্দা ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে খরিদ করলেন। এ হলো এক মুসলিমের সঙ্গে আর এক মুসলিমের ক্রয়-বিক্রয়। এতে নেই কোন খুঁৎ, কোন অবৈধতা এবং গায়েলা। কাতাদাহ (রহ.) বলেন, গায়িলা অর্থ ব্যভিচার, চুরি ও পলায়নের অভ্যাস। ইবরাহীম নাখয়ী (রহ.)-কে বলা হল, কোন কোন দালাল খুরাসান ও সিজিস্তান এর খাসবারশি নাম উচ্চারণ করে এবং বলে, এটি কালকে এসেছে খুরাসান হতে, আর এটি আজ এসেছে সিজিস্তিন হতে। তিনি এরূপ বলাকে খুবই গর্হিত মনে করলেন। উকবা ইবনু আমির (রহ.) বলেন, কোন ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় যে, সে কোন পণ্য বিক্রি করছে এবং এর দোষ-ত্রুটি জেনেও তা প্রকাশ করে না।

মুমিন ব্যবসায়ীর দায়িত্ব হলো লেনদেনের ক্ষেত্রে সত্য বলা এবং বস্তুর কোনো দোষত্রুটি থাকলে তা প্রকাশ করে দেওয়া। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ মান্য করা 
ক্রেতা-বিক্রেতা কর্তৃক বিক্রিত বস্তুর কোন কিছু লুকিয়ে না রেখে পণ্যের পূর্ণ অবস্থা বলে দেয়া এবং একে অন্যের কল্যাণ চাওয়া।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আপনার নানা মিথ্যা বলে উপার্জন করেন,বিধায় তার সম্পূর্ণ ইনকামকে হারাম বলার সুযোগ নেই।
তিনি তো হালাল পন্যই বিক্রয় করেই অর্থ উপার্জন করেন।

তবে তিনি মিথ্যা বলে বলে ব্যবসা করেন।
এক্ষেত্রে মিথ্যা বলার দরুন যদি অতিরিক্ত অর্থ উপার্জিত হয়,সেক্ষেত্রে সেই অতিরিক্ত উপার্জিত অর্থ হবে,পুরো ইনকাম হারাম হবেনা।

★সুতরাং আপনার ইবাদত,দোয়া,আমল কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...