আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (27 points)
১শায়খ আমার বাবা যদি বিদেশী কয়েন এর ব্যবসা করেন যেমন বিদেশী দুর্লভ কয়েন গুলো বেশি টাকা দিয়ে কেনা এবং সেই টাকা দিয়ে উনি মোবাইলে কিনলে সেই মোবাইলে আমি হালাল টাকা দিয়ে কিনতে পারব?

২শায়খ আমার কোনো আত্মীয় যদি ব্যাংক এ চাকরি করে সেই টাকা দিয়ে আমাকে একটা মোবাইল হাদিয়া দিতে চায় আর আমি হালাল টাকা দিয়ে কম দামে সেটা কিনলে আমার জন্য হালাল হবে?

৩ শায়খ মানুষ যেনো আমাকে চিনতে পারেন এই কারণে ফেইসবুকে আমি আমার ছবি প্রোফাইল পিকে দিলে আমার গুনাহ হবে?

৪শায়খ আমার বাবা যদি সুদের টাকা দিয়ে মোবাইল কিনে আমাকে বলে যে এটা উনার হালাল হারাম মিশ্রিত সাংবাদিকতার চাকরি থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে কেনা। তাহলে আমার জন্য হালাল টাকা দিয়ে সেই মোবাইল কিনা হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
আপনার বাবা বিদেশি কয়েন এর ব্যবসা কোন পদ্ধতিতে করেন,সেটি কমেন্ট বক্সে স্পষ্ট করলে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো।
জাযাকাল্লাহ। 

(০২)
সেটা যদি আপনি এভাবে ক্রয় করেন,সেক্ষেত্রে তাহা আপনার জন্য হালাল হবেনা।

(০৩)
ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, জড়বস্তুর ছবি তোলা ও আঁকায় শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই। আর প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  

তবে শরীয়তে ছবি বলতে কী বোঝায়, এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণ রয়েছে। 

আরো জানুনঃ  

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা, কম্পিউটার ও মোবাইলে সংরক্ষিত ছবিও ‘নিষিদ্ধ ছবি’র অন্তর্ভুক্ত বিধায় এটিও হারাম। 

সহিহ হাদিসে এসেছে,
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسٌ فَيُعَذِِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ
প্রত্যেক ছবিনির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে। (বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, মুসলিম ৫৬৬২)

হাদিস শরীফে এসেছে,
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

আরো জানুনঃ

তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে তা জায়েয। 
তাদের বক্তব্য হলো কম্পিউটার ও মোবাইল স্ক্রীনে থাকা প্রাণীর (অশ্লীল ও নারীর ছবি ছাড়া) ছবি প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত জায়েজ বলেছেন জামিয়া বিন্নুরিয়া পাকিস্তানের ফাতওয়া বিভাগ।

কম্পিউটার স্ক্রীনে বা মোবাইল স্ক্রীনে ছবি না রাখাটাও তাক্বওয়ার দাবী। 
 
আরো জানুনঃ 
,
সুতরাং প্রোফাইল পিকচার হিসেবে অশ্লীল ও নারীর ছবি ছাড়া অন্য কোনো ছবি দিলে সেটি কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে জায়েজ।
যদিও অনেকের মতে নাজায়েজ। 
,
তাই সতর্কতামূলক এহেন কাজ থেকে বেঁচে থাকাই উচিত।     

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যেহেতু পুরুষ, সুতরাং মানুষ যেনো আপনাকে চিনতে পারেন, এই কারণে ফেইসবুকে আপনি আপনার ছবি প্রোফাইল পিকে দিলে আপনার গুনাহ হবেনা।

তবে সতর্কতামূলক এথেকে বেঁচে থাকাই উচিত।     

(০৪)
আপনার জন্য হালাল টাকা দিয়ে সেই মোবাইল কেনা হালাল হবেনা।

হ্যাঁ যদি সেই মোবাইল আপনার বাবা সত্যিই হালাল টাকায় ক্রয় করে থাকে,সেক্ষেত্রে হালাল টাকায় সেই মোবাইল কিনে নেয়া আপনার জন্য জায়েজ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (574,050 points)
رجل اكتسب مالا من حرام ثم اشترى فهذا على خمسة أوجه: أما إن دفع تلك الدراهم إلى البائع أولا ثم اشترى منه بها أو اشترى قبل الدفع بها ودفعها، أو اشترى قبل الدفع بها ودفع غيرها، أو اشترى مطلقا ودفع تلك الدراهم، أو اشترى بدراهم أخر ودفع تلك الدراهمَ...وقال الكرخي: في الوجه الأول والثاني لا يطيب، وفي الثلاث الأخيرة يطيب. (ردالمحتار على الدر المختار، كتاب البيوع، باب المتفرقات، مطلب إذا اكتسب حراما ثم اشترى فهو على خمسة أوجه، ج:7،ص:490)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...