বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যেহেতু কা'বা, কুরআন ইত্যাদি ওয়ালপেপার রেখে সেই সমস্ত জিনিষের মর্যাদা রক্ষা করা যাবে না।তাই এগুলো না রাখাই উচিৎ।
(২)
মুসলমানদের বিয়েতে কোনো অমুসলিম বন্ধু কিংবা অমুসলিম সহকর্মীকে দাওয়াত দেওয়া যাবে।
তবে অমুসলুমের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্ব রাখা যাবে না।
অমুসলিমের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ককে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَّ يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاء مِن دُوْنِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللّهِ فِي شَيْءٍ إِلاَّ أَن تَتَّقُواْ مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللّهِ الْمَصِيرُ
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।(সূরা আলে ইমরান-২৮)
কোনো অমুসলিমকে ইসলামের দিকে দীক্ষিত করতে,বা কোনো প্রভাবশালী অমুসলিমের ক্ষতি থেকে নিজেকে হেফাজত করতে তার সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব রাখা যায়,তবে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপন কখনো জায়েয হবে না।
(৩)
জ্বী,হ্যা।
বিয়ে কিংবা ওয়ালিমাতে দ্বীনদার কনেকে সাদা রঙের লম্বা ঢিলেঢালা জিলবাবের মতো পোশাক পড়ানো যাবে। তবে সাথে নিকাব থাকতে হবে। এমন পোশাক পরা জায়েয হবে।তবে সেই পোশাক অতিরিক্ত কারুকার্যমন্ডিত হওয়া যাবে না।শুধু মহিলাদের সামনেই থাকতে হবে।গাড়িতে উঠার সময় যদি পুরুষদের সামন দিয়ে যেতে হয়,তাহলে আলাদা আরেকটা কাপড় দিয়ে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখতে হব।
(৪)
মুকুট পড়া নিষেধ নয়।তবে বিজাতীয়র অনুকরণ করা যাবে না।পুরপুরুষের সামনে যাওয়া যাবে না।
(৫)
সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে,এমন পাত্রকে বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।
(৬)
যৌতুক হারাম এটা জেনে কোনো মেয়ের বাবা যদি খুশি মনে হাদিয়া হিসেবে মেয়ের শশুরবারিতে ফার্ণিচার, সোফা ইত্যাদি দেয়, ছেলেপক্ষ থেকে কোনো জোর জবরদস্তি ছাড়া, তাহলে এটা জায়েয হবে।মেয়ের বাবার গুনাহ হবে না।এবং ছেলেরও গোনাহ হবে না। জাযাকাল্লাহু খইরান।