আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (8 points)
যাকাত সংক্রান্ত ২টি মাসআলা জানতে চাই:
১. আমার একটি "হিলফুল ফুজুল" নামক প্রকাশনী আছে। একজন ব্যক্তি যাকাতের কিছু টাকা প্রদাণ করার জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। উক্ত টাকা এমন  একজন/একাধিক মানুষকে দিতে চাই, যারা মুস্তাহিকে যাকাত। কিন্তু আমার প্রকাশনী তাদের থেকে কিতাব বাবদ কিছু টাকা পায়, যা তারা বাকীতে ক্রয় করেছিল। আমি তাদেরকে মোবাইলের মাধ্যমে জানায় যে, যাকাত বাবদ আমি তোমাকে কিছু টাকা দিব, তুমি তার মালিক। তুমি চাইলে নিতেও পার অথবা উক্ত টাকা দিয়ে আমার প্রকাশনীর বাকি টাকা পরিশোধও করতে পরো। টাকা লেনদেনের দুটি ছুরত হতে পারে। যথা: ১. আমি বিকাশে/নগদে তোমাকে টাকা পাঠাব এবং তুমি আমার প্রকাশনীর প্রাপ্য টাকা পাঠিয়ে দিবে।
২. অথবা তুমি আমাকে অনুমতি দিলে উক্ত টাকা প্রকাশনীর দায়িত্বশীলদের নিকট হস্তান্তর করবো।

 ২. আমি যাকাতের উক্ত টাকা দিয়ে যদি কিতাব ক্রয় করে মুস্তাহিকে যাকাত কোন ব্যক্তিকে উক্ত কিতাবগুলোর মালিক বানিয়ে দেয় তাহলে কি যাকাত আদায় হবে?  এবং সেই ব্যক্তি যদি কয়েকদিন পরে আমাকে উক্ত কিতাবগুলো থেকে কিছু কিতাব যেকাউকে হাদিয়া দেওয়ার অনুমতি দেন৷ আমি কি সেই ইখতিয়ার রাখি? আমার জন্য উক্ত কিতাব কাউকে হাদিয়া দেওয়া কি জায়েয হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আপনি বিকাশে/নগদে তাকে যাকাতের টাকা পাঠাবেন,আর সে আপনার প্রকাশনীর প্রাপ্য টাকা পাঠিয়ে দিবে।

এই পদ্ধতিই সবচেয়ে ভালো হবে।
এর দ্বারা উক্ত যাকাত আদায় হয়ে যাবে।

(০২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যাকাতের উক্ত টাকা দিয়ে যদি কিতাব ক্রয় করে মুস্তাহিকে যাকাত কোন ব্যক্তিকে উক্ত কিতাবগুলোর মালিক বানিয়ে দেন, তাহলে যাকাত আদায় হবে।

কিতাব গুলো যাকাত গ্রহিতার হস্তগত হওয়ার পর সেই যাকাত গ্রহিতা ব্যক্তি যদি কয়েকদিন পরে আপনাকে উক্ত কিতাবগুলো থেকে কিছু কিতাব যে কাউকে হাদিয়া দেওয়ার অনুমতি দেন৷সেক্ষেত্রে আপনি সেই ইখতিয়ার রাখবেন।

এমতাবস্থায় আপনার জন্য উক্ত কিতাব কাউকে হাদিয়া দেওয়া জায়েয হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلَاثُ سُنَنٍ: إِحْدَى السُّنَنِ أَنَّهَا عُتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِي زَوْجِهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» . وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْبُرْمَةُ تَفُورُ بِلَحْمٍ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ خُبْزٌ وَأُدْمٌ مِنْ أُدْمِ الْبَيْتِ فَقَالَ: «أَلَمْ أَرَ بُرْمَةً فِيهَا لَحْمٌ؟» قَالُوا: بَلَى وَلَكِنَّ ذَلِكَ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ وَأَنْتَ لَا تَأْكُلُ الصَّدَقَةَ قَالَ: «هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَلنَا هَدِيَّة»

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরাহ্ (ক্রীতদাসীর) ব্যাপারে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়। (প্রথম) সে স্বাধীন হবে, তার স্বামীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক বহাল রাখা বা না রাখার ক্ষেত্রে তার স্বাধীনতা থাকবে। (দ্বিতীয়) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মীরাসের অধিকার তারই থাকবে, যে তাকে আযাদ করেছে। (তৃতীয়) [একদিন] রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে এলেন। তখন গোশত রান্না করা হচ্ছিল। ঘরে বানানো রুটি ও তরকারী তাঁর সামনে আনা হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি একটি পাতিলে গোশত দেখলাম। বলা হলো, জি হ্যাঁ। তবে এ গোশত বারীরাকে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়া হয়েছে, আপনি তো সদাক্বাহ্ (সাদাকা) খান না। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ গোশত বারীরার জন্য সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হলে আমাদের জন্য হাদিয়্যাহ্।

(সহীহ : বুখারী ৫০৯৭, ৫২৭৯, মুসলিম ১০৭৫, নাসায়ী ৩৪৪৭, মুয়াত্ত্বা মালিক ২০৭৩, আহমাদ ২৫৪৫২, ইবনু হিব্বান ৫১১৬, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৬১২।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...