ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/4543/
নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
কোরআন মহান আল্লাহর কালাম বা বাণী।
এর সর্বোচ্চ সম্মান মর্যাদা দিতে হবে
হাদীস শরীফে এসেছে
وَعَنْ
عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ
بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ
উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার
অন্যদেরকে করেন অবনত। (মুসলিম ৮১৭, ইবনু
মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮,
সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান
২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯)
কুরআন মাজীদ আল্লাহ তাআলার কালাম।
এটি প্রদর্শনের বস্তু নয়। তাই এর কোনো প্রকারের
সম্মান হানী হয়, এমন কাজ করা যাবেনা
(-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪২৪; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/৬৭,
৬৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১০৯, ৫/৩২২; আদ্দুররুল মুখতার ৪/১৩০)
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
وَيُكْرَهُ
أَنْ يَجْعَلَ شَيْئًا فِي كَاغِدَةٍ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ تَعَالَى كَانَتْ
الْكِتَابَةُ عَلَى ظَاهِرِهَا أَوْ بَاطِنِهَا، (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية،
الباب الخمس-5/322)
يكره
كتابة قرآن أو إسم الله تعالى على ما يفرش لما فيه من ترك التعظيم وكذا على درهم
ومحراب وجدار لما يخاف من سقوط الكتابة (طحطاوى على مراقى الفلاح، باب الحيض،
مصرى-118)
যার সারমর্ম হলো কুরআনের আয়াত বা আল্লাহর নাম এমন
জায়গায় লেখা যাবেনা, যেটার দ্বারা সম্মান হানী হয়। এরকমটি হলে এটি
নাজায়েয।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় অন্যত্রে এসেছে
وَلَوْ
كُتِبَ الْقُرْآنُ عَلَى الْحِيطَانِ وَالْجُدَرَانِ بَعْضُهُمْ قَالُوا: يُرْجَى
أَنْ يَجُوزَ، وَبَعْضُهُمْ كَرِهُوا ذَلِكَ مَخَافَةَ السُّقُوطِ تَحْتَ
أَقْدَامِ النَّاسِ، كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
كِتَابَةُ
الْقُرْآنِ عَلَى مَا يُفْتَرَشُ وَيُبْسَطُ مَكْرُوهَةٌ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
দেয়ালে লিখিত কুরআনে বিষয়ে শরয়ী
বিধি-বিধান নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম এটাকে জায়েযই
মনে করেন।আবার কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম এটাকে অপছন্দ করে থাকেন।এজন্য যে,হয়তো তা মানুষের পদতলে পৃষ্ট হতে পারে। (ফাতাওয়ায়ে কাযিখান)এবং
বসা বা ঘুমানোর জায়গায় কুরআন লিখা মাকরুহ। (গারাঈব) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;৫/৩২৩)
অনুপযুক্ত স্থানে কুরআন লিখা অনুচিত।
মসজিদের দেয়ালে অযথা কুরআনের আয়াত না লিখাই
ভালো।
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৫/২৬৩
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা
দ্বারা বুঝা গেল যে, পদপৃষ্ঠ সম্ভাবনাময় স্থানে কুরআন, আল্লাহর নাম লিখা মাকরুহ। যদি দেয়ালে এমনভাবে লিখা হয় যা কখনো পড়ে গিয়ে পদপৃষ্ঠ
হওয়া বা অসম্মানিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাহলে তা নাজায়েয হবে
না। আর যদি এমন স্থানে লেখা হয় যার দ্বারা সম্মান হানী হয়। তাহলে এটি নাজায়েয হবে।
১. সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে
আল্লাহর কালামের সম্মান হানী এমন স্থানে বা দেওয়ালে ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি করা বৈধ
হবে না। তবে যদি সম্মান হানী না হয় এমন স্থানে লিখা যাবে।
২. হ্যাঁ, এতে অঙ্কনকারীর গোনাহ
হবে।
৩. হ্যাঁ, কুরআনের আয়াত ছাড়া
আরবী প্রবাদ বাক্য বা আরবীতে সুন্দর সুন্দর কথা বার্তা অথবা বৈধ ছবি কিংবা ডিজাইন ক্যালিগ্রাফি
করা বৈধ আছে।