আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম
ইসলামের জন্য (জিhaদে) শহীদ হলে তো মৃত্যুর সাথে সাথেই জান্নাতের সবুজ পাখি। কবরেরও শাস্তি নাই। শুধু হাশরে ঋণ বা অন্যের হক সম্পর্কিত হিসাব হবে।

এই আন্দোলনের শহীদরা কি এমনই হবে?  নাকি তাদের কবরের শাস্তি হবে কিন্তু হাশরে তাদের গুনাহ হত্যাকারীর ঘাড়ে চাপবে?
দয়া করে এই বিষয়টা আমাকে একটু সিউর করুন।

আর যদি কেও এই নিয়ত রাখে যে সে দেশকে জুলুম সহ ভারতীয়(মুশরিকদের) আধিপত্য থেকে বাচাতে করে ইসলামের বিশ্বাস থেকে(গাjwaতুল হিন্দের সূচনার / প্রেক্ষাপট তৈরীর অংশ হিসেবে)  তাহলে কোন প্রকারের হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ বলেন,
আল্লাহ রাস্তায় জিহাদ করে শাহাদত বরণ কারী ব্যতীত হাদীসে বর্ণিত অন্য সবের শাহাদত বরণের অর্থ হলো যে,তারা আখেরাতে শহীদের মর্যাদা পাবে।কিন্তু দুনিয়াতে তাদের উপর শহীদের মর্যাদা প্রয়োগ হবে না বরং নিয়মতান্ত্রিক তাদেরকে গোসল দিয়ে জানাযা পড়ে তারপর তাদেরকে দাফন করা হবে।
শহীদ মূলত তিন প্রকার।যথাঃ-
(১)দুনিয়া-আখেরাতে শহীদের মর্যাদা পাবে।ঐ ব্যক্তি যে কাফেরের সাথে যুদ্ধ করে করে যুদ্ধক্ষেত্রে মারা গেছে।

(২)আখেরাত হিসেবে শহীদ।তথা আখেরাতে শহীদের মর্যাদা পাবে।কিন্তু দুনিয়া হিসেবে শহীদ হকে না তথা তাকে শহীদ বলে ডাকা যাবে না।বরং তাকে গোসল দিয়ে তার জানাযা পড়ে তাকে দাপন করা হবে।এরাই হল তারা যাদের আলোচনা বিভিন্ন হাদীসে এসেছে যে,যারা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে বা আগুনে জ্বলে কিংবা পানিতে ডুবে মারা যাবে।

(৩)দুনিয়া হিসেবে শহীদ।অর্থাৎ যাদের ব্যাপারে শহীদের মর্যাদা পেশ করা হবে কিন্তু আখেরাতে তারা শহীদের মর্যাদা পাবে না।এরা হল,তারা যারা জিহাদ পরবর্তী গণিমতের মালকে আত্মস্বাৎ করেছে।বা জিহাদের ময়দার থেকে পলায়নপর অবস্থায় যার মৃত্যু হয়েছে।(আল-মিনহাজ্ব শরহে মিশকাত-১৩/৬৩

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1093

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দেশের জন্য মৃত্যুবরণ হুকমি শহিদের অন্তর্ভুক্ত। কৌটা আন্দোলনে মৃত্যুবরণকারীদের বিধান জানতে স্থানীয় পর্যায়ের আলেমদের সাথে যোগাযোগ করুন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...