আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (108 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ



জনৈক শাইখ আমাকে বলেছেন কেনায়া তালাক দু প্রকার

যেমন, ১ম প্রকার কেউ বলছে 'তোমার সাথে এই মূহুর্ত থেকে সম্পর্ক শেষ' এই কথা তালাকের নিয়তে বললে তালাক হয়ে যাবে। তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে হবেনা।

২য় প্রকার এমন বাক্য সেটা সাধারণ ভাবে বললে এমনকি তালাকের নিয়তে বল্লেও তালাক হবেনা, যেমন কেউ স্ত্রীকে এম্নিতে বলল, 'যাহ', বা কেউ গণণা করছে, '১,২,৩' এভাবে।

কিন্তু কেউ যদি স্ত্রীকে বলে তোমাকে ৩ দিলাম',অথবা স্ত্রী বলে তোমার সাথে সম্পর্ক রাখবনা,তখন যদি স্বামী বলে 'যাহ' তালাকেএ নিয়তে তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

আমার প্রশ্ন উক্ত হুজুরের কথা কি ঠিক?

২। তাহলে স্ত্রী যদি বলে আমি একটু দোকানে যাব, স্বামী যদি স্বাভাবিক ভাবেই বলে 'যা' কিন্তু তালাকের নিয়তে তাহলে তালাক হবে কি?

৩, একই ভাবে কোনোরাগারাগি ঝগড়া ছাড়া স্বামী যদি স্ত্রীকে মজা করে তালাকের নিয়তে বলে,তোমাকে আমি ৩ দিলাম,বা তুমি আমার থেকে তিন পেলে। এটা কি তালাক হবে? কারণ ৩ মানে ৩ তালাক যেহেতু বুঝাতে পারে।

৪, আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ.

আমরাত জানি মজা তামাশা করে তালাক দিলেও তালাক হয়ে যায়।

তবে মজা/তামাশা করে তালাকের নিয়তে কেনায়া বাক্যের তালাক দিলে তালাক হবে কি?

৫, মজা তামাশার নিয়তে তালাক এর নিয়ত ছাড়া বরং তালাকের ভয় দেখান বা স্ত্রী যাতে বাহ্যিক ভাবে বুঝে তালাক দেয়া হচ্ছে এরকম কেনায়া বাক্যের তালাক দিলে তালাক হবে কি? যেমন 'যাও যাও আইসো না আমার কাছে,আমার দরজা তোমার জন্য বন্ধ'

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...