আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
বিদেশ থেকে প্রবাসীরা যে রেমিট্যান্স পাঠায় সরকার নাকি সেই টাকাতে প্রতি লাখে আড়াই হাজার টাকা এক্সট্রা দিয়ে থাকে। এটা কি হালাল হবে? নাকি সুদ এটাও? যদি সুদ হয়ে থাকে যদি এটা আমি আমার পরিচিত কাউকে দিয়ে দিই তাহলেও কি আমার গুনাহ হবে। বা একাউন্টে রেখে দিই তাহলে কি গুনাহ হবে? আমি দিতে না চাইলেও আমার পরিবারের সদস্য যদি সেই টাকা ইউজ করতে চায় সেক্ষেত্রে আমার করণীয় কী? জানাবেন প্লিজ ইন শা আল্লাহ
নাকি এই এক্সট্রা টাকাটা বোনাস হিশেবে দেওয়া হয়?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/26617/    নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকার রেমিট্যান্সকে বৈধ চ্যানেলে আনার জন্যই উৎসাহ দিতে শতকরা ২.৫% হারে নগদ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সংসদীয় বাজেটে। অবৈধভাবে অর্থ পাচার বন্ধ করতেই সরকারের এই উদ্যোগ। হুন্ডি থেকে মানুষকে নিরুত্সাহিত করাই মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি এর মাধ্যমে রেমিটেন্স সঞ্চয়ও বৃদ্ধি পাবে।

বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা খুব সহজে এবং সুবিধাজনক পদ্ধতিতে অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত যেকোনো ফরেইন ব্যাংক, মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন(এমটিও) এবং মানি এক্সচেইঞ্জ হাউজগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রিয়জনের কাছে টাকা পাঠাতে পারছে। পাশাপাশি গ্রাহকরা শতকরা দুই টাকা অতিরিক্ত অতিরিক্ত প্রফিট পাচ্ছে।

সুতরাং  উপরের আলোচনা থেকে একথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, সরকার রেমিট্যান্সের উপর যে শতকরা ২.৫% হারে প্রফিট প্রদান করছে- শরিয়া ক্লাসিফিকেশন অনুযায়ী তা সরকারের পক্ষ থেকে ‘ইনআম’ বা ‘পুরস্কার’।

এই টাকাটা বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি রাজস্ব থেকেই সমন্বয় করছে। অর্থাৎ সরকার থার্ড পার্টি হিসেবে রেমিট্যান্সের উপর শতকরা আড়াই টাকা হারে প্রোভাইড (লাভ দিচ্ছে) করছে। তাই এটি গ্রহণ করতে কোনো অসুবিধা নেই। সুদ হবে না।

যদিও ধরে নেয়া হয় যে- অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোই শতকরা এই আড়াই টাকা প্রোভাইড করছে তাহলেও তা গ্রহণ বৈধ হবে। কারণ তখন ধরা হবে সরকার ফরেইন মুদ্রার মূল্য শতকরা আড়াই টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই এই বিশ্লেষণ অনুযায়ী এটাও বৈধ। এটা সুদ নয়।। অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা প্রদান নয়।

এখন ফেকহী দিক নিয়ে আমরা একটু চিন্তাভাবনা করি। প্রশ্ন হল, এই ২.৫% কি সুদ হবে? প্রতিউত্তরে বলা যায় যে,

সুদ হলো,ঋণ দিয়ে বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করা।যেমন উসূলে ফিকহের সুপ্রসিদ্ধ মূলনীতি,

كل قرض جر نفعا فهو ربا

প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসে সেটাই সুদ।

এখানে কিন্তু ব্যাংকে ঋণ রাখা হচ্ছে না।বরং বৈধ পদ্ধতিতে লেনদেনের জন্য সরকার পুরুস্কার দিচ্ছে।আর সরকারি পুরুস্কার বৈধ।কেননা সরকারী আয়ের সকল উৎস হারাম নয়।বরং বলতে অধিকাংশ উৎসই হালাল। সুতরাং ব্যাংক মারফত বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনতে সরকার যে ২.৫% বোনাস দিচ্ছে সেটা জায়েযই হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://ifatwa.info/11427 /

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

সরকারের দেওয়া প্রণোদনা গ্রহণ করা সাধারণত জায়েজ। বিশেষ করে এখানে আপনাকে আপনাদের সম্পদ থেকেই কিছু অংশ সরকারী মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে উৎসাহিত করার জন্য দেওয়া হচ্ছে। এটি কোনো সুদ নয়। অতএব, এই প্রণোদনা নেওয়া জায়েজ। আপনার অন্যান্য হালাল টাকার মত উক্ত প্রণোদনার টাকা যেভাবে ইচ্ছা আপনি তা ব্যয় করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...