আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (24 points)
১. সফর থেকে ফেরার পথে কোথায় সফর শেষ ধরা হবে.? নিজের গ্রাম/শহর/ পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড,আসলে কোনটিকে ধরা হবে...

২. আমার স্ত্রী কথা প্রসঙ্গে বলে " আল্লাহ আরশে থাকেন,এটা আল্লাহর স্থান" তার পরে তাকে কিছু সময় বুঝাই স্থান, আল্লাহর জন্য সাব্যস্থ না করতে। পরে সে মৌন থাকে, দেখে মনে হলো  বিষয়টির ভূল বুঝতে পেরেছে। তার কি এই কথা বলায় কুফর হয়েছে! তাকে এই বিষয়ে আবার জিজ্ঞেস করা কি জরুরী।

৩. লক্ষি,অলক্ষি,রাশি ফল এইগুলো ভুয়া এবং  অসত্য জানার পরেও কেও যদি রাগে নিজেকে অলক্ষি বলে , কিংবা মজা করে বলে সে তুলা রাশির এভাবে বললে কি শিরক হয়?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি শরয়ী সফরের দুরত্বে কোথাও যায়,এবং সেখানে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করে,তাহলে সে নিজ নিজ গ্রাম,বা নিজ শহরের সীমানা পার হওয়ার পর থেকেই মুসাফির বলে গন্য হবে,তা সে কসর নামাজ পড়বে।
,
মুসাফিরের নামায কসর/অর্ধেক করে পড়তে হয়।অর্থাৎ চার রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দু রা'কাত পড়তে হবে।দুই রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দুই রা'কাত পড়তে হবে। এবং তিন রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে কোনো কসর নেই।
,
হাদিস শরিফে  এসেছে,

عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি  উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)

https://www.ifatwa.info/1293 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ-
নিজ শহর বলতে অবস্থান শহর অতিক্রম করা বা নিজ গ্রামের সীমানা অতিক্রম করার পরই কেউ মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন।বিস্তারিত বললে এভাবে বলা যায় যে,
(ক) শহর থেকে সফর শুরু করলে ঐ শহরের সিটি এলাকা অতিক্রম করার পর নামাযকে কসর করা যাবে।
উল্লেখ্য যে,সিটি বলতে ঐ এলাকা যা সাধারণত প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত থাকে।তবে শর্ত হল,ঐ নির্ধারিত এলাকায় নদী কর্তৃক পৃথকতা অন্তরায় না হওয়া।যদি পৃথকতা অন্তরায় হয়,তাহলে প্রশাসন কর্তৃক সমস্ত এলাকাকে শরীয়তের দৃষ্টিতে শহর বলা যাবে না।বরং নদী পর্যন্তই শহরের সীমানা নির্ধারিত থাকবে।

(খ)গ্রাম থেকে সফর শুরু করলে, গ্রামের সীমানা অতিক্রম হওয়ার পর কসর করা যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/১২১(করাচি),কবীরি-৪৯৫)


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গ্রাম থেকে সফর শুরু করলে সফর থেকে ফেরার পথে নিজ গ্রামের সীমানায় আসলেই সফর শেষ হয়ে যাবে।

শহর থেকে সফর শুরু করলে সফর থেকে ফেরার পথে নিজ শহরের সীমানায় আসলেই সফর শেষ হয়ে যাবে।

(০২)
আল্লাহ তায়ালা স্থানের মুখাপেক্ষী নন,তাহা হতে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র।

আপনার স্ত্রীর কুফরি হয়নি,তবে এ বিষয়টি নিয়ে যেনো আপনি ও আপনার স্ত্রী যেনো আর কোনো কথা না বলেন,সেই পরামর্শ থাকবে। 

(০৩)
যদি সে এসবে বিশ্বাস না করে,সেক্ষেত্রে এটি বলার দরুন শিরক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...