ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/43176/ নং ফাতাওয়াতে আমরা
বলেছি যে,
প্রথমেই কিছু মাসয়ালা জেনে নেইঃ
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন
সময়সীমা ৩ তিন, আর সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল, হলুদ, সবুজ, লাল
মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই
গণ্য হবে। যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)
হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই
রক্ত হোক, সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। উক্ত সময়
নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা। (কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)
তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু
বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা। (ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)
আরো জানুনঃ-
https://www.ifatwa.info/9904/
★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার
সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত
আসলে সেটি হায়েজ নয়, বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে
হবে।
উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ
عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن
أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ
أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ
دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ
حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ
الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী)
স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই
অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)]
তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ
পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন। (মুয়াত্তা
মালিক-১২৭)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত
রয়েছে,
فَإِنْ
لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ
كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার
মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য
হবে। চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত
থাকুক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭, কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,
কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে। হায়েজ
শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত
আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে। নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট। কত তারিখে হায়েয শেষ হয়েছে বা হয়
তা উল্লেখ করা হয়নি। তাই বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
২. জী, এটা ইস্তিযা হিসেবে ধরা হবে। তবে আরো স্পষ্ট করে প্রশ্ন
করলে ভালো হতো।
৩. জী, প্যাড ইউজ করা যাবে। তবে প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজের অযু
করার আগে অবশ্যই প্যাড পরিবর্তন করতে হবে।
আরো বিস্তারিত জানুন-
মুস্তাহাযাহ নারী প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য ওযু করে নামাজ
পড়বে - https://ifatwa.info/70372/
মুস্তাহাযাহ নারীর হুকুম - https://ifatwa.info/70372/
৪. না, ফরজ গোসল করা লাগবে না।