১)আমি বিশ্বাস করি আল্লহ আরশের মুখাপেক্ষী নন। কিন্তু ❝আরশ সৃষ্টির পূর্বে আল্লহ কোথায় ছিলে তা আমি জানিনা❞, এ কথাতে কি ঈমান রাখা যাবে? যদি না রাখা যায় তাহলে এ সম্পর্কে কী আকিদা রাখব?
২)(নেকে মনে করে, আল্লাহ তাআলার অবস্থান সম্পর্কে আকিদা হচ্ছে দুটি। হয় তিনি সর্বত্র বিরাজমান অথবা তিনি আরশের ওপর আছেন। অথচ এই টাই ভ্রান্ত মারাত্মক কুফরি আকিদা। এ দুটির বাহিরেও যে সঠিক ও জুমহুর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আরেকটি আকিদা আছে, তা মনে হয় অনেকে জানেনই না। আর তা হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা সকল কিছু সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, এখনো তিনি তেমনই আছে।
এটাই সহিহ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা)
সংগৃহীত
উস্তাদ উপরের প্রশ্নের এই আকিদা কি ঠিক আছে? থাকলে কুরআনে সূরা ইউনুসের ৩ নং আয়াতে কেন বলা হল, অতঃপর আল্লাহ আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন? তাহলে কি সকল কিছু সৃষ্টির পূর্বেও তিনি আরশের উপরেই ছিলেন? আরশ তো সৃষ্টি করেছেন তিনিই তাই না নাকি আগে থেকে কি সৃষ্ট?
৩)আরশ আগে পানির উপরে ছিল আর এখন আকাশের উপরে।এই কথা কি ঠিক?
৪) মানুষ সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগেই তাকদীর মানে জন্ম, মৃত্যু,বিয়ে সকল কিছু লিখা হয়েছে তাহলে সূরা আন'আমের ২ নং আয়াতে ❝তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর প্রত্যেকের একটি মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে❞ এমনটা বললো কেন?
৫)রোজা রাখা অবস্থায় ইস্তিঞ্জা করার সময় সাদাস্রাব যখন বের করা হয়ে তখন আংগুকে পানি থাকে, আমি আলিমা বোনদের জিজ্ঞাসা করেছি তারা এমন কোোনো মাস আলা পায়নি যে পানি হাতে থাকলে বা ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করলে রোজা ভেংগে যাবে এমনকি আই ফাতওয়া তেও প্রশ্ন করায় এক উস্তায মুফতি আব্দুল ওয়াহিদ বলেন সাদাস্রাব পানি দিয়ে ধৌত করা যাবে এবং ভেজা আংগুল ও প্রবেশ করানো যাবে সমস্যা নেই তবে পেছনের রাস্তায় হাকনা অবধি ভেজা হাত প্রবেশ করালে রোজা ভেংে যাবে।
উস্তায এটা খুব সম্ভইবত ইখতিলাফি বিষয়! আমি যদি সাদাস্রাব ভেজা আংগুল প্রবেশ করিয়েই পরিষ্কার করি৷ ইখতিলাফি মাস আলা হওয়ার কারণে আমার রোজা তো ভাংবে না তাই না?
এইযে মুফতি আব্দুল ওয়াহিদ বলেছেন,
https://ifatwa.info/93339/#q93339 এখন আমি যদি তার কথার উপর আমাল করি তাহলেও তো রোজা হয়ে যাবে তাই না?
মেহেরবানি করে উস্তাদ সকল প্রশ্নের উত্তর দেবেন, সাহায্যের মুহতাজ।