আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
edited by
১)আমি বিশ্বাস করি আল্লহ আরশের মুখাপেক্ষী নন। কিন্তু ❝আরশ সৃষ্টির পূর্বে আল্লহ কোথায় ছিলে তা আমি জানিনা❞, এ কথাতে কি ঈমান রাখা যাবে? যদি না রাখা যায় তাহলে এ সম্পর্কে কী আকিদা রাখব?

২)(নেকে মনে করে, আল্লাহ তাআলার অবস্থান সম্পর্কে আকিদা হচ্ছে দুটি। হয় তিনি সর্বত্র বিরাজমান অথবা তিনি আরশের ওপর আছেন। অথচ এই টাই ভ্রান্ত মারাত্মক কুফরি আকিদা। এ দুটির বাহিরেও যে সঠিক ও জুমহুর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আরেকটি আকিদা আছে, তা মনে হয় অনেকে জানেনই না। আর তা হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা সকল কিছু সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, এখনো তিনি তেমনই আছে।

এটাই সহিহ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা)

সংগৃহীত

উস্তাদ উপরের প্রশ্নের এই আকিদা কি ঠিক আছে? থাকলে কুরআনে সূরা ইউনুসের ৩ নং আয়াতে কেন বলা হল, অতঃপর আল্লাহ আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন? তাহলে কি সকল কিছু সৃষ্টির পূর্বেও তিনি আরশের উপরেই ছিলেন? আরশ তো সৃষ্টি করেছেন তিনিই তাই না নাকি আগে থেকে কি সৃষ্ট?

৩)আরশ আগে পানির উপরে ছিল আর এখন আকাশের উপরে।এই কথা কি ঠিক?

৪) মানুষ সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগেই তাকদীর মানে জন্ম, মৃত্যু,বিয়ে সকল কিছু লিখা হয়েছে তাহলে সূরা আন'আমের ২ নং আয়াতে ❝তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর প্রত্যেকের একটি মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে❞ এমনটা বললো কেন?
৫)রোজা রাখা অবস্থায় ইস্তিঞ্জা করার সময় সাদাস্রাব যখন বের করা হয়ে তখন আংগুকে পানি থাকে, আমি আলিমা বোনদের জিজ্ঞাসা করেছি তারা এমন কোোনো মাস আলা পায়নি যে পানি হাতে থাকলে বা ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করলে রোজা ভেংগে যাবে এমনকি আই ফাতওয়া তেও প্রশ্ন করায় এক উস্তায মুফতি আব্দুল ওয়াহিদ বলেন সাদাস্রাব পানি দিয়ে ধৌত করা যাবে এবং ভেজা আংগুল ও প্রবেশ করানো যাবে সমস্যা নেই তবে পেছনের রাস্তায় হাকনা অবধি ভেজা হাত প্রবেশ করালে রোজা ভেংে যাবে।

উস্তায এটা খুব সম্ভইবত ইখতিলাফি বিষয়!  আমি যদি সাদাস্রাব ভেজা আংগুল প্রবেশ করিয়েই পরিষ্কার করি৷ ইখতিলাফি মাস আলা হওয়ার কারণে আমার রোজা তো ভাংবে না তাই না?
এইযে মুফতি আব্দুল ওয়াহিদ বলেছেন, https://ifatwa.info/93339/#q93339 এখন আমি যদি তার কথার উপর আমাল করি তাহলেও তো রোজা হয়ে যাবে তাই না?
মেহেরবানি করে উস্তাদ সকল প্রশ্নের উত্তর দেবেন, সাহায্যের মুহতাজ।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০২)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৩)
এ কথা হাদীস সম্মত।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

كَانَ اللَّهُ وَلَمْ يَكُنْ شَىْءٌ غَيْرُهُ ، وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ ، وَكَتَبَ فِى الذِّكْرِ كُلَّ شَىْءٍ ، وَخَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ

আদিতে একমাত্র আল্লাহ-ই ছিলেন। তিনি ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। তাঁর আরশ ছিল পানির উপর। তারপর তিনি প্রত্যেক জিনিষ লাওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ করলেন এবং তিনি আসমান ও যমিন সৃষ্টি করলেন। (বুখারী, হাদীছ নং- ৩১৯১)

(০৪)
এক্ষেত্রে হাদীস আর আয়াতের মাঝে সামঞ্জস্যতা হলো,মানুষ সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগে তাকদীরে মৃত্যুর যে বয়স নির্ধারণ করে রেখেছেন, মাটি থেকে সৃষ্টি করার পর  প্রত্যেকের জন্য মৃত্যুর সময় সেই বয়সই পুনরায় নির্ধারণ করেন।

(০৫)
শরীয়তের বিধান হলো রোযা অবস্থায় যদি কোনো মহিলা গোপনাঙ্গে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,এক্ষেত্রে আঙ্গুল যদি শুকনো থাকে, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। যদি ভিজা আঙ্গুল প্রবেশ করায়, তাহলে মহিলার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
এতে কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা নয়।

ولو ادخل إصبعه فى إسته أو المرأة فى فرجها، لا يفسد، وهو المختار، إلا إذا كانت مبتلة بالماء أو الدهن، فحينئذ يفسد لوصول الماء او الدهن، (الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد الصوم ومالا يفسد-1/204, كذا فى الدر المختار-2/397)
সারমর্মঃ
যদি কেহ তার আঙ্গুল মলদ্বারে প্রবেশ করায়,বা কোনো মহিলা তার লজ্জাস্থানে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে আঙ্গুল যদি তৈল বা পানি দ্বারা ভিজানো থাকে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।    

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই রোযা গুলি পুনরায় আদায় করার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...