আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
1/ শেষরাতে বিতির ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে কাযার নিয়ত না করে ফজরের আগে এমনিই সেই ওয়াক্তের  বিতিরের নিয়্যাতে স্বলাত আদায় করলে, তার সেই বিতির আদায় হবে কি? নাকি পুনরায় কাযার নিয়ত করে স্বলাত দোহরাতে হবে?

২/ ওযু করা শেষে শরীরের কোন এক জায়গায় চুলকানির কারণে চামড়া উঠে গিয়ে গড়িয়ে পড়া পরিমাণ রক্ত বের হতে থাকলে রক্ত বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে পুনরায় অযু করতে হবে?
ক) যদি রক্ত বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে গেলে স্বলাতের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়, তবে কি পূর্বের অযু দিয়েই স্বলাত আদায় করবে? নাকি রক্ত গড়িয়ে পড়া অবস্থাতেই পুনরায় অযু করে নিয়ে স্বলাত পড়বে?
খ) যদি পুনরায় অযু করতে গেলেও স্বলাতের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে এমন হয়, তবে কি পূর্বের অযু নিয়েই রক্ত গড়িয়ে পড়া অবস্থাতেই স্বলাত আদায় করবে?

৩/ কার সাথে  বিয়ে হবে সেটা কি আল্লাহর নির্ধারিত তাক্বদীর যা জন্ম মৃত্যুর মতোই স্থির, যেটা পরিবর্তন হবে না?
নাকি  বিয়ের তাক্বদীর এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে- কার সাথে বিয়ে হবে সেটা আমাদের দো'আ ও  কর্মপ্রচেষ্টার উপর নির্ভর  করবে?

৪/ বাবা বা মাকে যদি কিছু টাকা এই শর্তে দেয়া হয় যে,এগুলো আমাকে পরবর্তীতে দিয়ে দিতে হবে, সেটা জায়েজ আছে কি? কারণ তাঁদের সামর্থ্য আছে।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم االرحمن الرحيم

(০১)
যেহেতু আপনার মনের ভিতর উক্ত বিতির নামাজের কাজার চিন্তা ছিলোই,তাই সেটাই যথেষ্ট। 
নতুন করে মৌখিক নিয়তের প্রয়োজন নেই। 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বিতির হবে।
,
নিয়ত সংক্রান্ত জানুনঃ   
.
(০২)

যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)
,
বিস্তারিত জানুনঃ  
,
যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ওয়াক্তের শুরুর দিকে আপনি সুস্থই ছিলেন,কিন্তু পরবর্তীতে ওয়াক্তের মাঝে বা শেষ দিকে এসে আপনি মা'যুর হয়েছেন,তাই শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে আপনাকে এই ওয়াক্তে মা'যুর বলা হবেনা।
রক্ত বন্ধ হওয়া পর্যন্ত আপনি নামাজ পড়তে পারবেননা।
যদিও ওয়াক্ত শেষ হোক।
,
রক্ত বন্ধ হলে আপনি নামাজ পড়তে  পারবেন।
এতে ওয়াক্ত শেষ হলে কাজা আদায় করবেন।
,
রক্ত বন্ধ হওয়ার অনেক পদ্ধতি আছে, সেগুলো  অবলম্বন করা যেতে পারে।
আগের অযু দিয়ে কোনোছুরতেই নামাজ হবেনা।
(০৩)
আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন,

وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا [٧٨:٨

আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, {সূরা নাবা-৮}

সুতরাং বুঝা গেল জীবনসঙ্গী কে হবে? তা আল্লাহ তাআলা জানেন। কিন্তু বান্দা জানে না। তাই বান্দা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ভাল পাত্রি/পাত্র দেখে বিবাহ করতে। এটি তাকদীরের বিষয়। এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাসূল সাঃ নিষেধ করেছেন।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَذَكَرَ لَهَا شَيْئًا مِنَ الْقَدَرِ، فَقَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَكَلَّمَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْقَدَرِ سُئِلَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ لَمْ يُسْأَلْ عَنْهُ»

হযরত ইয়াহইয়া বনি আব্দুল্লাহ বিন আবী মুলাইকা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদা হযরত আয়শা রাঃ এর নিকট গেলেন। তখন তিনি তাকদীর বিষয়ে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেন, তখন হযরত আয়শা রাঃ বলেন, আমি রাসুল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি তাকদীর বিষয়ে কথা বলে, কিয়ামতের ময়দানে এ কারণে সে জিজ্ঞাসিত হবে। আর যে এ বিষয়ে আলোচনা না করবে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৪}

والقدر سر من أسرار الله تعالى، لم يطلع عليه ملكا مقربا ولا نبيا مرسلا، ولا يجوز الخوض فيه، والبحث عنه بطريق العقل، (مرقاة المفاتيح، كتاب الإيمان، باب الإيمان بالقدر-1/256
সারমর্মঃ  তাকদীর আল্লাহ তায়ালার গোপন বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত, ইহার উপর কেহই অবগত নয়,,,
,  
আরো জানুনঃ 
,
এটিই তাকদীরে মু'আল্লাক হলে দোয়ার দ্বারা পরিবর্তন হতে পারে।

আরো জানুনঃ  
তবে বিবাহের বিষয় তাকদিরে মু'আল্লাক কিনা,আল্লাহই ভালো জানেন।
,  
(০৪)
হ্যাঁ কোনো সমস্যা নেই।
এটি করজ হিসেবে গন্য হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 346 views
...