আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (40 points)
আসসালামু আলাইকুম।
পিতামাতা যদি ছোট থেকে মারধর, বকা ঝকা করে সবসময়, তুচ্ছ কারণে বা অকারণে, অপমান করে, পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট করে তাও তার আগেই সেই নিয়ে মার বোকা দিয়ে মানসিক ভাবে অসুস্থ করে দেয়, এরকম কারণে বা কারণেও তারা যদি মার বকা দিয়েই যায়, সেরকম বাবা মায়ের প্রতি কিরূপ মনোভাব রাখা উচিত?

বাবা মা যদি নিজের parenting না জানে, সন্তান দের জীবন তো এমনি নষ্ট হয়, তার উপর সব দোষ সন্তানকে দিয়ে ক্রমাগত খোটা দেয়া, বাজে কথা শুনানো চলতেই থাকে, সন্তান সেসব কতক্ষণ চুপ করে সহ্য করতে পারে? Afterall সেও মানুষ, তার ও অনুভূতি আছে, আর সেই থেকে যদি রাগের মাথায় পিতামাতার বিরুদ্ধে উচ্চ স্বরে কথা বলেই ফেলে পরে বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে মাফ চাই সেইটা কি কবিরা গুনাহ হবে?
মেয়ের থেকে ছেলেকে বেশি প্রাধান্য দিলে, সব কিছুতে খোচা দিয়ে কথা বলা, দরকারি জিনিস দিতে না চাওয়া, এরকম নানা কারণে মানসিক অবস্থা এমনি একজনের কত বছর ঠিক থাকে? বাবা মায়ের প্রতি থার সম্মান অবশিষ্ট থাকে না ভালোবাসা? অথচ বছরের পর বছর এগুলো সহ্য করে যেতে হয়, কারণ সন্তানের যাওয়ার জায়গা নেই।
এরকম অবস্থায় বাবা মা পার্থিব কারণে অন্যায় করলে এর বিরোধিতা করা যাবে? নাকি সব শুধু সহ্যই করে যেতে হবে? মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গেলে সন্তান যদি অবাধ্য আচরণ বা উচ্চস্বরে কথা বলেই ফেলে সেক্ষেত্রে করণীয় কি? পিতামাতার সাথে সম্পর্ক ঠিক করা সম্ভব না, সে চেষ্টা অনেক আগে করে দেখা হয়েছে, পিতামাতা সেরকম না। তাদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক নেই, কিন্তু সন্তানকে বকা, মারা, গালি দেবার বেলায় একসাথে তেড়ে আসে। সেই সন্তান তখন কোথায় যাবে? সব আর কত কাল সহ্য করা যায়?
এগুলার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে কি ভাবে প্রার্থনা করা যেতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (568,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনি ইসরাঈল-২৩)

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1707,  1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার সাথে সদা সর্বদা ভালো ও উত্তম আচরণ করতে হবে। কখনো তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা যাবে না। আপনার যদি মনে হয় যে, মাতাপিতা আপনার প্রতি জুলুম করছে, তাহলে আপনি তাদেরকে কিছু না বলে নিরাপদ দূরত্বে থাকবেন। সর্বদা সতর্ক থাকবেন, আপনার কোনো কথা বা কাজ দ্বারা তারা যেন কষ্ট না পায়।হ্যা, আল্লাহর অবাধ্যতায় তাদের কোনো নির্দেশকে মান্য করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...