আমি হুন্ডির ব্যাপারে আর কিছু বিষয় উল্লেখ করছি যেগুলো ঐ ফতওয়া তে উল্লেখ করা হয়নি...
এক আলিম ফতওয়া দিয়েছেন, ফতওয়াটা আমি হুবহু তুলে ধরছি...
প্রশ্ন: আমি কয়েকজন আলেমকে হুন্ডি ব্যবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তাঁরা বললেন, হুন্ডি ব্যবসা হারাম, শরিয়তসিদ্ধ নয়। তবে আমাদের এলাকার একজন আলেম বললেন, এটি হালাল। এখানে সঠিক কোনটি? জানানোর অনুরোধ রইল।
প্রশ্নকারী-হুমায়ূন কবির
ঠিকানা- তিতাস কুমিল্লা
উত্তর: হানাফী মাযহাব অনুযায়ী হুন্ডি ব্যবসা মাকরুহ। হুন্ডি ব্যবসা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন দলীল নেই। হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম কিয়াসের ভিত্তিতে একে মাকরুহ বলেছেন। তবে (عموم بلوى) তথা ব্যাপক প্রচলনের কারণে অনেকে হাম্বলী মাযহাব অনুযায়ী এর অবকাশ দিয়েছেন। মূলত হুন্ডি ব্যবসায়ী গ্রাহকের অর্থ নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার চার্জ ও পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু বিনিময় নিয়ে থাকে। তাই এটাকে অনেকে মানিঅর্ডারের মতো জায়েয বলেছেন। আর সরকারী আইনে যদিও হুন্ডি নিষিদ্ধ, কিন্তু (মুরতাদ সরকারের আইন মানা মুসলমানদের জন্য আবশ্যক নয়)। বিশেষ করে যে আইনের উদ্দেশ্যই হল, মুসলমানদের কষ্টার্জিত সম্পদ ইনকাম ট্যাক্সের নামে অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করা। -ইমদাদুল ফাতাওয়া, ৩/১৪৫, ফিকহুল বুয়ু’, ২/৭৫২-৭৫৬ মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী, ৪/৫২০ কিতাবুন নাওয়াজেল, ১২/৪০৪
আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
এছাড়াও আরো কয়েক জন এই ব্যাপারে বলেছেন যে:
# হুন্ডিতে টাকা পাঠানো জায়েয। কোনো সরকার যদি রেমিট্যান্স দিয়ে জুলুম করে, তাহলে হুন্ডিতে টাকা পাঠানো জায়েয থাকবে না, আবশ্যক হয়ে যাবে।
#এটা উত্তম জায়েজ, সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া জায়েজ৷ বিদ্যুৎ অবৈধভাবে চালানো জায়েজ
এখন আমার কথা হলো এভাবে যদি জায়েজ হয়, তাহলে তো যারা দুর্নীতি করতেছে, সরকারের টাকা যেসব এমপি মন্ত্রীরা আত্মসাৎ করতেছে সেগুলোও জায়েজ হয়ে যাবে। আল্লাহ ই ভালো জানেন। আমি এই ব্যাপারে কনফিউশনে আছি কোন ফতওয়া মানবো বুঝতেছি না। আমাকে বিষয় গুলো বিস্তারিত ক্লিয়ার করে দিলে ভালো হবে উস্তায।