ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
কুরআন মাজীদে এক শ চৌদ্দটি সূরা এবং ছয় হাজার দুই শ ছত্রিশটি
আয়াত রয়েছে। কুরআনের প্রতিটি সূরা, প্রতিটি আয়াত এবং প্রতিটি হরফ তিলাওয়াতের সওয়াব
ও ফযীলতের পাশাপাশি কিছু আয়াত ও সূরার বিশেষ কিছু ফযীলতের কথাও উল্লেখিত হয়েছে হাদীস
শরীফে। তন্মধ্য থেকে কয়েকটি আয়াত ও সূরার ফযীলত এখানে আলোচনা করা হল।
সূরা ফাতিহা
আবু সায়ীদ ইবনুল মুআল্লা রা. বলেন, আমি একদিন মসজিদে নামায
পড়ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন-
তুমি মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই তোমাকে এমন একটি সূরা শেখাব,
যা কুরআন মাজীদের সবচে মহান সূরা।... এরপর বললেন, (সেটি হল) আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল
আলামীন (অর্থাৎ সূরা ফাতিহা)। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৪৭৪
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেন-
إِذَا قَالَ الْإِمَامُ : غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْ وَ لَا الضَّآلِّیْنَ فَقُولُوا: آمِينَ، فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.
ইমাম যখন বলেন-
غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْ وَ لَا الضَّآلِّیْنَ.
তখন তোমরা ‘আমীন’ বল। (কেননা ফেরেশতারাও তখন আমীন বলে) যার আমীন
বলা ফেরেশতাদের বলার সাথে মিলে যাবে তার অতীত জীবনের গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
-সহীহ বুখারী, হাদীস ৭৮২, ৬৪০২
আয়াতুল কুরসী
উবাই ইবনে কা‘ব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আবুল মুনযিরকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবুল মুনযির, তুমি কি
জানো আল্লাহর কিতাবের যে আয়াতগুলো তুমি হিফয করেছ তার মধ্যে কোন্ আয়াত শ্রেষ্ঠ? আবুল
মুনযির বলেন, আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন।
তিনি আবার বললেন, হে আবুল মুনযির, তুমি কি জানো আল্লাহর কিতাবের
যে আয়াতগুলো তুমি হিফয করেছ তার মধ্যে কোন্ আয়াত শ্রেষ্ঠ?
তখন আমি বললাম-
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ اَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ...
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বুকে চাপড় দিয়ে
বললেন, ইলম তোমার জন্য সহজ হোক হে আবুল মুনযির। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮১০
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত দীর্ঘ একটি হাদীসে এসেছে, এক আগন্তুকের
সাথে তার কথোপকথন হল। একপর্যায়ে সে বলল- তুমি রাতে যখন ঘুমাতে যাবে, আয়াতুল কুরসী পড়বে। তাহলে আল্লাহ
তাআলার পক্ষ থেকে একজন হেফাযতকারী ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত তোমার সঙ্গে থাকবেন। ফলে শয়তান
তোমার কাছেও ভিড়তে পারবে না।
পুরো ঘটনা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوبٌ، ذَاكَ شَيْطَانٌ.
সে ছিল (ইবলিস) শয়তান। সে মিথ্যুক হলেও কথা সত্য বলেছে। -সহীহ
বুখারী, হাদীস ৫০১০
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জিবরাঈল
আলাইহিস সালাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বসা ছিলেন। এমন সময় ওপরের
দিক থেকে দরজা খোলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে তিনি মাথা উঠালেন। তখন জিবরাঈল আ. বললেন, এটি
আসমানের একটি দরজা। আজই প্রথম খোলা হল। আগে কখনো এ দরজা খোলা হয়নি। সেখান থেকে একজন
ফেরেশতা নেমে এলেন।
তিনি বললেন, এই ফেরেশতা আজকের আগে আর কখনো পৃথিবীতে আসেননি।
ফেরেশতা সালাম দিয়ে বললেন-
আপনি এমন দুটি আলোর সুসংবাদ গ্রহণ করুন, যা শুধু আপনাকে দেওয়া
হয়েছে। আপনার পূর্বে আর কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি। সূরা ফাতিহা এবং সূরা বাকারার শেষাংশ।
আপনি এর যেকোনো হরফ পড়বেন তার মধ্যকার প্রার্থিত বিষয় আপনাকে দেওয়া হবে। -সহীহ মুসলিম,
হাদীস ৮০৬
হযরত আবু মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেন-
যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পড়বে তার জন্য
তা (রাতের আমল হিসেবে এবং সকল অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে) যথেষ্ট হবে। -সহীহ
বুখারী, হাদীস ৫০০৯
সূরা কাহফ
আবুদ দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন-
যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে দাজ্জালের
ফেতনা থেকে সে মুক্ত থাকবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮০৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৩২৩
অন্য বর্ণনায় সূরা কাহফের শেষ দশ আয়াত সম্পর্কে এই ফযীলতের
কথা উল্লেখিত হয়েছে। দ্রষ্টব্য : সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৭৮৬
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, তাকে পরবর্তী
জুমা পর্যন্ত একটি নূর বেষ্টন করে রাখবে। -মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৩৩৯২; সুনানে কুবরা বাইহাকী, হাদীস ৫৯৯৬
সূরা ইয়া সীন
জুনদুব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম
বলেন- যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য রাতের বেলা সূরা ইয়াসীন
তিলাওয়াত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২৫৭৪, তাফসীরে
ইবনে কাসীর ৬/৫৬২
আতা ইবনে আবী রাবাহ রাহ. বলেন, আমার কাছে এই হাদীস পেঁৗছেছে
যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে সূরা ইয়া সীন তিলাওয়াত করবে তার যাবতীয়
প্রয়োজন পুরা করা হবে। -সুনানে দারেমী ২/৫৪৯
সূরা মুলক
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে। যে ব্যক্তি নিয়মিত
সেই সূরা তিলাওয়াত করবে তার জন্য ক্ষমা আদায় করা পর্যন্ত সূরাটি সুপারিশ করতে থাকবে।
সেই সূরা হল, ‘তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক’। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪০০; জামে
তিরমিযী, হাদীস ২৮৯১
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন-
কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে। নিয়মিত যে ব্যক্তি
সেই সূরা তিলাওয়াত করবে তার পক্ষে সে তর্ক করবে। একপর্যায়ে তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
সেটি হল সূরা মুলক। -আলমুজামুল আউসাত তবারানী, হাদীস ৩৬৫৪; আলআহাদীসুল মুখতারাহ লিল
মাকদিসী, হাদীস ১৭৩৮
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন- প্রতি রাতে সূরা মুলক পড়বে আল্লাহ তাআলা তাকে এর
ওসিলায় কবরের আযাব থেকে মুক্ত রাখবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
যামানায় এই সূরাকে আমরা বলতাম- ‘মানেআ’ অর্থাৎ কবরের আযাব প্রতিরোধকারী। যে ব্যক্তি
প্রতি রাতে এই সূরা তিলাওয়াত করল সে অনেক তিলাওয়াত করল এবং উত্তম কাজ করল। -সুনানে
কুবরা নাসায়ী, হাদীস ১০৫৪৭; আলমুজামুল কাবীর তবারানী, হাদীস ১০২৫৪; মুসতাদরাকে হাকেম,
হাদীস ৩৮৩৯
সূরা দুখান
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে হা–মীম আদ–দুখান পাঠ করবে সত্তর
হাজার ফিরিশতা তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করবে। (জামে তিরমিজি, হাদিস, ২৮৮৮)
আস সাজদাহ
হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তানযিল আস–সাজাদা ও তাবারাক সূরাদ্বয়
পাঠ না করে ঘুমাতেন না। (জামে তিরমিজি, হাদিস, ৩৪০৪)
সূরা কাফিরুন
হজরত ফারওয়া ইবনে নাওফাল রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিন
যা আমি আমার শয্যাগ্রহণের সময় বলতে পারি। তিনি বললেন, ক্বুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন সূরাটি
পাঠ করবে। কেননা এটি হল শিরকের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা। (জামে তিরমিজি, হাদিস, ৩৪০৩)
সূরা ইখলাস
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
একদিন সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্য করে বললেন- তোমাদের কেউ কি রাতের বেলা কুরআন মাজীদের এক তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত
করতে পারবে?
বিষয়টি তাঁদের কাছে কঠিন মনে হল। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
আমাদের কে তা পারবে?
তখন তিনি বললেন-
অর্থাৎ সূরা ইখলাস কুরআন মাজীদের এক তৃতীয়াংশ (তিলাওয়াতের
সমান)। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০১৫
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে যখন বিছানায় আসতেন,
(ঘুমানোর আগে) সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে দুই হাতের তালুতে (একত্র করে)
ফুঁ দিতেন। এরপর সেই দুই হাতে চেহারা ও পুরো শরীর যতদূর সম্ভব মুছে নিতেন। আয়েশা রা.
বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ হয়ে গেলে আমাকে আদেশ করতেন, আমি
তা (সূরাগুলো পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে শরীর মোছার কাজ) করে দিতাম। -সহীহ বুখারী,
হাদীস ৫৭৪৮
অন্য রেওয়ায়েতে আছে-
দুই হাতে পুরো শরীর যতদূর সম্ভব মুছে নিতেন। মোছা শুরু করতেন
মাথা চেহারা ও শরীরের সম্মুখভাগ থেকে। তিনবার
এমন করতেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০১৭
আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে
পড়লে তা তোমার জন্য সকল সমস্যা ও অনিষ্ট থেকে (রক্ষার ক্ষেত্রে) যথেষ্ট হবে। -জামে
তিরমিযী, হাদীস ৩৫৭৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫০৮২
সুরা মুলক ও সাজদা: রাসুলুল্লাহ (স.) প্রতিদিন ঘুমানোর
আগে সুরা মুলক ও সুরা সাজদা পাঠ করতেন। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (স.) ‘আলিফ লাম
মিম, তানজিলু’ (সাজদা) ও ‘তাবারাকাল্লাজি’ (মুলক) পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে
তিরমিজি: ২৮৯২)
সুরা বনি ইসরাইল ও জুমার: অন্য বর্ণনায় এসেছে তিনি
ঘুমের আগে সুরা বনি ইসরাইল ও সুরা জুমার পাঠ করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী (স.) সুরা
জুমার ও বনি ইসরাইল পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৪০৫)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপাতত এখানে এই কয়েকটি বর্ণনাই উল্লেখ করা হল। এক্ষেত্রে যে
বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখা উচিত সেটি হল, আমরা যেমন কুরআন মাজীদের বিভিন্ন আয়াত ও
সূরা সহীহ হাদীসে বর্ণিত বিভিন্ন ফযীলত লাভ করার উদ্দেশ্যে তিলাওয়াত করি, তেমনি- বরং
তারচেয়েও বেশি গুরুত্বের সাথে উচিত পুরো কুরআন মাজীদ তিলাওয়াতের ব্যাপারে যত্নশীল
হওয়া। সেইসাথে তিলাওয়াত করা উচিত তাজবীদ ও তারতীলের সাথে। তিলাওয়াত হওয়া উচিত তাদাব্বুর
ও তাফাক্কুরের সাথে। যেন আমরা কুরআন থেকে নসীহত গ্রহণ করতে পারি এবং জীবনের প্রতিটি
ক্ষেত্রে কুরআনের হেদায়েত ও নির্দেশনা লাভ করতে পারি। বিশেষ করে যারা বুঝে বুঝে কুরআন
তিলাওয়াতের সামর্থ্য রাখেন, তাদের জন্য তো অবশ্যই এ বিষয়ে অধিক যত্নশীল হওয়া উচিত।
আর যারা বর্তমানে সমর্থ নন, তাদেরও উচিত সহীহ শুদ্ধ তিলাওয়াত শেখার পর কুরআন বোঝার
চেষ্টা করা।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অধিক পরিমাণে তিলাওয়াত করার এবং কুরআনের মাধ্যমে জীবন আলোকিত করার সৌভাগ্য নসীব করুন-
আমীন। (সংগৃহিত)