আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
112 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (65 points)
আসসালামু আলাইকুম, মুহতারাম।

আমার কাছে যে কোরআনের কপিটি  আছে তাতে বিভিন্ন আয়াতের টিকা হিসেবে অনেক আমল দেওয়া আছে।

যেমন- সূরা নাজম হরিণের চামড়াতে লিখে নিজের কাছে রাখলে সবার উপর সে বিজয়ী হবে। (দারুন্নাযীম)

বিভিন্ন আলেম (যেমন- আশরাফ আলী থানভী) এর রেফারেন্সে এমন অনেক আমল দেওয়া আছে যা সচরাচর শোনা যায়না। অদ্ভুত লাগে। এছাড়াও বিভিন্ন সূরার নকশা আছে। এগুলো কি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নাকি বিদআত?

1 Answer

–1 vote
by (675,600 points)
উত্তরঃ
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

চিকিৎসার নিয়তে কুরআনে আয়াত হরিনের চামড়াতে লিখে বা অন্য কোথাও নকশা করা সাধারণত সমাজে কুরআনের আদব ইহতেরামের খেলাফ মনে করেনা।  
এইজন্য শরীয়তের বিধান মতে এ ধরনের আমল করার অনুমতি রয়েছে।
যেহেতু  এটা শুধুমাত্র চিকিৎসার নিয়তে করা হয়, দ্বীনি কাজ হিসেবে করা হয়না,ইবাদত মনে করে করা হয়না। 
   তাই তাই যদিও এমন আমল কুরআন হাদিস থেকে অকাট্য ভাবে প্রমাণিত নয়,তারপরেও এটাকে বিদয়াত বলা যায়না।
(কিতাবুন নাওয়াজেল  ১৬/৩১০)    

ইমাম বাইহাকী রহঃ কিতাবুত দাওয়াতে উল্লেখ করেনঃ
وأخرج البیہقي في الدعوات : عن ابن عباس مرفوعًا في المرأۃ یعسرہ علیہا، قال: یکتب في قرطاس ثم تستسقي
۔(الإتقان ۵۳۰
যার সারমর্ম হলো এক মহিলার রোগ নিরাময়ের জন্য ইবনে আব্বাস রাঃ এক পৃষ্ঠায় কিছু লিখে দিয়েছেন।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ      
وفي المجتبیٰ: اختلف في الاستشفاء بالقرآن بأن یقرأ علی المریض أو الملدوغ الفاتحۃ أو یکتب في ورق ویعلق علیہ أو في طست ویغسل ویسقی … قال رضي اللّٰہ عنہ: وعلی الجواز عمل الناس الیوم وبہ وردت الآثار۔ (شامي، کتاب الحظر والإباحۃ / قبیل 
فصل في النظر والمس ۶؍۳۶۴ کراچی، ۹؍۵۲۳ زکریا)
যার সারমর্ম হলো আয়াতে কুরআন দিয়ে চিকিৎসার নিয়তে তাবিজ বানানো জায়েয আছে। 
,
★★তবে অনেক উলামায়ে কেরামগন খুব কঠোরভাবে এমন কাজ করা থেকে নিষেধ করেছেন।
তাদের এ মতটিও ছহিহ।    
 
উত্তর লিখনে 
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ IOM       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...