আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
140 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওবারকাতুহ

১.উস্তাদ আমি জানতে চাই যে রাসুলগন -সাহাবী-তাবেই-তাবে তাবেইগন বিয়ের ক্ষেত্রে কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করতেন?

২.সাহাবারা /মহিলা সাহাবারা কি বিয়ের আগে যাচাই বাচাইয়ের জন্য অনেকের (পাত্র বা পাত্রী)  সাথে কথা বলতেন? সরাসরি কথা বলতে নাকি কারো মাধ্যমে?
৩.পাত্র বা পাত্রী বিয়ে করার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নেয়ার পর কি তারা মুখ দেখা দেখি করতেন নাকি তার আগেই মুখ মহিলা সাহাবারা দেখাতেন??
৪.সাহাবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বোত্তম কোন পদ্ধতিতে অবলম্বন করা উত্তম বিয়ের ক্ষেত্রে অর্থাৎ বিয়ে করার মনস্থির করার পর কি চাহারা দেখাবো নাকি তার আগেই?

কারণ অনেকেই দেখা যায় বিয়ে করার ইচ্ছা থাকে না কিন্তু মেয়েদের এসে মুখ দেখে যায়, বিষয়টি আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে। ***আমার ইচ্ছা আছে যার সাথে বিয়ে হবে তার সাথেই সরাসরি বা ফোনের মাধ্যমে কথা বলে বিয়ে করার সম্পূর্ণ মনস্থির করার পর চেহারা দেখাবো এক্ষেত্রে আপনার মতামত জানতে চাই ওস্তাদ

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)আল্লাহর রাসুলগন এবং সাহাবী-তাবেই-তাবে তাবেইগনের বিয়ে অত্যান্ত সাদামাটা ছিলো। ঘটাকরে কোনো আয়োজন তাতে পরিলক্ষিত হয়নি।এবং বিয়েকে তারা মানব জীবনের অভিন্ন এক জরুরত হিসেবেই বিবেচনা করতেন। বিয়েকে উন্নতি অগ্রগতির অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করতেন না।

(২)সাহাবারা /মহিলা সাহাবারা বিয়ের আগে যাচাই বাচাইয়ের জন্য অনেকের (পাত্র বা পাত্রী) সাথে কথা বলেছছেন বলে কোনো বিবরণ পাওয়া যায়না। বিয়ের জরুরত পরিলক্ষিত হলে তাদের কেউ কেউ সরাসরি কথা বলে নিতেন। এবং কেউ কেউ অন্যর মাধ্যমে কথা বলিয়ে নিতেন। বিয়ের জরুরত অনুভব করার পর যখন তারা কোনো পাত্র পাত্রীর সন্ধান পেতেন, তখন বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পাঠাতেন। কখনো কোনো নারীর স্বামী মারা গেলে ইদ্দত শেষে তার নিকট বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পাঠাতেন।

(৩)পাত্র বা পাত্রী বিয়ে করার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নেয়ার পরই তারা মুখ দেখা দেখি করতেন। সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মহিলা সাহাবারা মুখ দেখাতেন বলে কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি।

(৪) বিয়ে করার মনস্থির করার পরই চাহারা দেখানো, আগে নয়।

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2898


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...