আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
edited by

মিজানুর রহমান আজহারি এবনং অনেক হুজুর এর লেকচার এ দেখেছি যাকে পছন্দ হবে তাকেই বিয়ে করুন , তার প্রতি যদি মায়া না আসে তাহলে বিয়ে কেন করবে ? উনি এমন ভাবে বলেছিল বাবা মা যাকে পছন্দ করবে তাকেই বিয়ে করবে এমন না যে বাবা মা যাকে বলবে তাকেই বিয়ে করতে হবে  । তার যেকোন দিক বা কোন কিছু দেখে ভাল লাগতে পারে ,দিনদারিতা , কথা বলার স্টাইল , বিনয়  হতে পারে । বিস্তারিত নিম্নে ক্লিপ এ Lecture about marriage by mizanur rahman azhari

 

https://www.facebook.com/watch/?ref=search&v=154007863431851&external_log_id=2209ece5-bc05-4917-afb9-99e1d605119b&q=%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87%20%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%20%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%20%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%87%20%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%20%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE

 

উক্ত লেকচার  রিলেটেড প্রশ্ন 

 

১।  উসটজ ইস্তিখাড়া করার পর সপ্নের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সেটি পজিটিভ এবং কোন মেয়ের যদি ইস্তিখাড়া তে পজিটিভ হওয়া ছেলের প্রতি মন সায় দেয়  ?  এ বিষয়ে তার ফ্যামিলি কে জানান  উচিত কি না ? কিন্তু মেয়ে যদি এমন টা ভেবে যে তার ফ্যামিলি এর কাছে ছোট হয়ে যাবে বা উক্ত সমনদ্ধ যদি বাস্তবায়িত না হয় পরবর্তীতে হয়ত তাকে তার ফ্যামিলি  এর কাছে ছোট হতে হবে বা অন্য যেকোন কারণে যদি তার ফ্যামিলি কে না বলে এটা কতটা যুক্তিযুক্ত ? 

 

2. যার প্রতি ইস্তিখাড়া পজিটিভ তার দিকে মন সায় দেয়া এবং তাকে নিয়ে ভাবনা চলে আসা কে উক্ত মেয়ের ঈমানের কমতি মনে করা বা শয়তানের ওয়াসওয়াসা ভাবা বা এরকম কিছু ভাবা টা কতটা যুক্তিযুক্ত যেখানে ইস্তিখাড়া এর দুয়া এবং ব্যখ্যা টিই এমন যে যদি কল্যাণকর হয় তাহলে সপ্নে এমন কিছু ইঙ্গিত পাবে বা মন সেদিকে সায় দিবে , উক্ত ক্ষেত্রে উভয়টি হবার পর ও এমন ধারণা পোষণ করা কি ঠিক হবে ? 

 

৩।উক্ত ছেলের ইমান আমল যখন ভাল থাকে তখন তার কথা মনে আসে , বিশেষ করে  মসজিদ এ থাকলে , নামাজ এর সময় , বৃষ্টি য়ের সময় , এসব য়ের জন্য কি গুনাহ হবে ? প্রকূটপক্ষে ছেলেটি মেয়েটি কে পছন্দ করেছে মেয়েটির দিনদারিতা দেখে এবং আল্লাহর জন্যই ।  তার কাছে মনে হয়েছে আল্লাহর পথে চলতে সহজ হবে ।

ছেলে  নিজে  প্রস্তুতি নিয়ে পারিবারিক ভাবে আগাতে চায় ,সে মেয়েটিকে  ফ্রী এন্ড দিয়ে বলেছে মেয়েটি অন্য কোথাও ভাল পেলে তার মেয়ের মতামত হিসেবে যেকোন সিদ্ধান্ত নিতেই পারে এতে ছেলের কোন আপত্তি নেই ,(যেহেতু আল্লহর জন্যই তাকে পছন্দ করেছে এবং কোন  হারাম রিলেশন নেই তো আল্লহর সন্তুষ্টি য়ের জন্য উক্ত ছেলে  এমন বলেছে ) , কিন্তু ছেলেটি মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে না হওয়া অব্দি চেষ্টা করবে, সে ই তার প্রথম পছন্দ । ছেলের কি গুনাহ হবে? নাকি ছেলের অন্যত্র ও মেয়ে দেখা উচিত (ছেলের মন অন্যত্র মেয়ে দেখার ক্ষত্রে সায় দেয় না ) ছেলে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলতে জব য়ের চেষ্টা করছে , ভার্সিটি শেষ হতে ১ বছরের বেশি , তবে জব পেতে আনুমানিক ৫ মাসের মত লাগবে । 

1 Answer

0 votes
by (568,410 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নবী (ﷺ) বলেন,
إِذَا أَتَاكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ، إِلا تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ.
‘‘তোমাদের নিকট যখন এমন ব্যক্তি (বিবাহের পয়গাম নিয়ে) আসে; যার দ্বীন ও চরিত্রে তোমরা মুগ্ধ তখন তার সাথে (মেয়ের) বিবাহ দাও। যদি তা না কর তাহলে পৃথিবীতে ফিৎনা ও মহাফাসাদ সৃষ্টি হয়ে যাবে।’’(আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ১০২২নং)

তিনি আরো বলেন,
مَنْ أَعْطَى لِلَّهِ تَعَالَى وَمَنَعَ لِلَّهِ تَعَالَى وَأَحَبَّ لِلَّهِ تَعَالَى وَأَبْغَضَ لِلَّهِ تَعَالَى وَأَنْكَحَ لِلَّهِ تَعَالَى فَقَدْ اسْتَكْمَلَ إِيمَانَهُ.
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে কিছু দান করে, কিছু দেওয়া হতে বিরত থাকে, কাউকে ভালোবাসে অথবা ঘৃণাবাসে এবং তাঁরই সন্তুষ্টিলাভের কথা খেয়াল করে বিবাহ দেয়, তার ঈমান পূর্ণাঙ্গ ঈমান।’’(মুসনাদে আহমদ, হাকেম , বাইহাকী, সহীহ তিরমিযী, আল্লামা আলবানী ২০৪৬ নং)

ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ جَارِيَةً بِكْرًا أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ أَنَّ أَبَاهَا زَوَّجَهَا وَهِيَ كَارِهَةٌ، فَخَيَّرَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক যুবতী এসে বললো, তার অসম্মতিতে তার পিতা তাকে বিয়ে দিয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এখতিয়ার প্রদান করলেন (সে বিয়ে রাখতেও পারে অথবা বিচ্ছেদ ঘটাতেও পারে)।(সুনানু আবি দাউদ-২০৯৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/69678

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হাদীসে অভিভাবকদেরকে দ্বীনদার ও চরিত্রবান পাত্র দেখে বিবাহ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে পাত্র পাত্রীর সম্মতিতেই বিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। সুতরাং সাবালক পাত্র পাত্রীর সম্মতি ব্যতিত বিয়ে দেয়া নাজায়েয ও হারাম।


(১) ইস্তিখারা করার পর সপ্নের ব্যাখ্যা অনুযায়ী যদি সেটিকে পজিটিভ মনে হয়, এবং পজিটিভ হওয়া ছেলের প্রতি মন সায় দেয়, তাহলে এ বিষয়ে ফ্যামিলিকে জানানো উচিত। কিন্তু মেয়ে যদি এমন টা ভেবে যে তার ফ্যামিলি এর কাছে ছোট হয়ে যাবে বা উক্ত সম্বন্ধ যদি বাস্তবায়িত না হয় পরবর্তীতে হয়ত তাকে তার ফ্যামিলি এর কাছে ছোট হতে হবে বা অন্য যেকোন কারণে যদি তার ফ্যামিলি কে না বলে, তাহল। এটা প্রায় অযৌক্তিক বলেই বিবেচিত হবে।
 
(২) যার প্রতি ইস্তিখাড়া পজিটিভ তার দিকে যদি মন সায় দেয় এবং তাকে নিয়ে মনের মধ্যে ভাবনা চলে আসে,এজন্য উক্ত মেয়ের ঈমানের কমতি মনে করা যাবে না। অথবা শয়তানের ওয়াসওয়াসা কিংবা এরকম কিছু মনে করা কোনোটিই যুক্তিসংগত হবে না।

(৩) পছন্দ হওয়ার পর হয়তো তারা অতি দ্রুত বিয়ে করে নিবে অথবা অন্য সিদ্ধান্ত নিবে। একজন অন্যজনের জন্য সাময়িক অপেক্ষা করতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...