** স্ত্রীকে যদি কেউ বলে আমিও তোমাকে চিনি না তাহলে কি তালাক পতিত হবে?
গত ১৫ দিন আগে আমার স্ত্রী খুব মেজাজ দেখিয়ে কথা বলে কিছু বিষয়ে, পরে সে হাতের প্লেট ফেলে দেয়,শান্ত না হলে আমি তাকে বলি :
১/ *বেশি বাড়াবাড়ি করলে দিয়ে দেবো কিন্তু এবং বলি এক এক করে বলে ফেলবো কিন্তু* আমি জানি আমি তালাক দিবো না, জাস্ট তাকে এই ব্যাপারে ভয় দেখানো ও তাকে কন্ট্রোল করাটাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। এতে কি তালাকের মজলিস হবে?এখানে তালাক দেবো বা ডিভোর্স দেবো বা ছেড়ে দেবো এভাবে বলিনি তবে আমি যা বলেছি তা ও বুঝতে পেরেছে।
২/ পরে আমার বকাবকি দেখে সে আমাকে বলে *আমি এই সুমনকে চিনি না* ( এই কথাটা বলছে এই উদ্দেশ্যে যে আমি বরাবর এভাবে থ্রেট দেই না এই জন্য) তার কথার উত্তরে আমি বলি *আমিও এই শিমুকে চিনি না।* এখানে কোনো তালাকে দেয়া না দেয়ার প্রসঙ্গ ছিল না। কিন্তু ঝগড়ার শুরুতে যে তালাকের বেপারে ভয় দেখিয়েছি তাতে মজলিস হয়ে যাবে কি?
৩/ শেষের দিকে সে তর্ক করতে থাকায় আমি ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই বলি *আমার ডিসিশন নেয়া হয়ে গেছে* বা *আমার ডিসিশন নেয়া শেষ* এরপরও নরমাল কিছু কথা চলে।
আমার স্ত্রী তালাকের নিয়ত ব্যাতিত অভিমান করে বলে ছেড়ে দিলে দেও। আমি উত্তরে বলি *তোমার বাবা মা কে ডাকো, আমি কথা বলবো তাদের সাথে* । এর বাইরে আর কিছু বলছি কিনা আমার জেহেনে নেই।
৪/ সবার লাস্টে আমি বলি *তোমার বাবা মা কে ডাকো আমার পক্ষে আর সম্ভব* * এতটুকু বলে থেকে যাই আমার বলার উদ্দেশ্য ছিল *আমার পক্ষে আর সম্ভব না।* কিন্তু আমি তালাক দেয়ার নিয়ত না থাকায় আমি যথাসম্ভব আমার জানা কেনায়া বাক্য ও শব্দ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছি। আমি যাই বলেছি তার পুরোটাই ছিল তাকে ভয় দেখানো ও থামানো।
মাঝে হয়তো এমন একটা কথা বলছিলাম যে, *দিয়ে দিলে তো কাঁদবা* ।
উপরের সমস্ত কথা একই ঝগড়ার মধ্যে বলা হয়েছে। এতে তালকের মজলিস হবে কিনা? ও কোনো কেনায়া বাক্য উচ্চারিত হয়েছে কিনা আমি জানি না।
*
আমার এই ওয়াসওয়াসা ও সমস্যার জন্য আমার মা আমাকে একজন হুজুরের কাছে নিয়ে যায় সে আমার আর মায়ের নাম জেনে কি যেন গুনে বললো আমার সমস্যা হচ্ছে সন্দেহ বদজ্বীন/ মহিলা আশিক জ্বীনের সমস্যা। উনি আমাকে তাবিজ ও বরখাস্ত পানি দেয়। কিন্তু এটা শিরক জানার পর আমি এই ঝগরার দিন সকালে তাবিজ খুলে ফেলি, সন্ধার পর থেকে চুপ থাকা ও স্ত্রী সাথে কথা বলার পর ও বলে তুমি তাবিজ খুলছো তোমার কথাবার্তা কেমন চেঞ্জ হয়ে গেছে, এক কথায় মানসিক রোগী বলে আমাকে তারপরই আমি খেপে গিয়েছি। যদিও উদ্বিগ্নতার সমস্যা থাকায় এর আগে দুইজন মানসিক ডাক্তার দেখাইছি।ঝগড়ার মাঝে আমি বার বার ভাবতেছিলাম যে আমি কি স্বাভাবিক আছি? ঝগরা শেষ হওয়ার পর অনেক কথা মনে করতে পারছিলাম না ইদানিং কিছু কথা মনে আসে ওইদিনে বেপারে এবং আমি তালাকের ব্যাপারে ভয় পাচ্ছি।উপরে যা বলেছি ঝগড়ার তা কিছু আগে পরে হতে পারে কারন স্পষ্ট সব মনে নেই।
** আমার তালাকের কোন নিয়ত ছিল না ভয় দেখানোটা ছিল উদ্দেশ্য, আমি জানি কেনায়াতে এক তালাকে বায়েন হয়, আবার তালাকের মজলিস হলে বা মুযাকারায়ে তালাক হলে নিয়ত ছাড়াই তালাক পতিত হয়। আমাকে একজন হুজুর বললো মুযাকারায়ে তালাকে কাযাআন তালাক হয় দ্বিয়ানাতান হয় না। এই বিষয়টা কি আমাদের ঝগড়ায় এমন কিছু হয়েছে কিনা জানতে চাই। কাযাআন তালাক টা কি রকম বা এটা কখন কার্যকর হয়?
.
বিবাহিত জীবনে সবারই কমবেশি ঝগড়া হয় এমন কেনায়া বাক্য এর আগে ব্যাবহার করেছি হয়তোবা কিন্তুু তাতে তালাকের নিয়ত ছিল না যতটুকু জানি।
.
আগে একটি ঘটনা তাও আমার রোগ নিয়ে।বার বার ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগে বা যাই এজন্য আমার স্ত্রী খুব রেগে যায়। আমার যখন সমস্যা হয় তখন শারীরিক ও মানসিক কষ্ট পাই যার কারনে বাধ্য হয়ে ডাক্তারের কাছে যাই, ডাক্তার টেষ্ট করে বলে আপনার কোনো রোগ নাই আপনি মানসিক ডাক্তার দেখান।
৫/ তো স্ত্রী রাগ হয়ে বলে বার বার কেন ডাক্তারের কাছে যাও, আমি উত্তরে বলি *আমার কষ্ট হয় তাই যাই তোমার ভালো না লাগলে চলে যাও* এই কথাটা তালাকের নিয়তে বলিনি নরমাল মুখ থেকে বেড়িয়েছে।
এরপরেই তালাকের ব্যাপারটা মাথায় আসে, তখন কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানতাম না আমি বলি *যাও যাও*
এটার পর থেকেই জানতে পারি কেনায়া তালাকের ব্যাপারে তখন জানতাম না, আমি জানতাম তালাক বললেই তালাক হয়। এজন্য আমার মাথায় ছিল দিবো দিবো এমনটা।
আমি আমার স্ত্রীকে কখনো সরীহ শব্দ বলিনি ও তালাক দেইনি।
উপরোক্ত বর্ননা অনুযায়ী আমাকে সমাধান দিবেন প্লিজ।