আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
reshown by
বিভিন্ন রোগ,বালা-মুসিবতের মাধ্যমে বান্দার গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
তাহলে এখন একজন যদি একদম নীরোগ থাকে আর দুনিয়াবি কোনো কারণে কষ্টে থাকে,তাহলে সেই নীরোগ থাকাটা নিয়ামত নাকি শাস্তি?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ: الصِّحَّةُ وَالفَرَاغُ "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,দু'টি নিয়ামত এমন যে,যেগুলোকে উপভোগ করতে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। (১)সুস্থতা(২) অবসরতা।(সহীহ বোখারী-৬৪১২)

সালামাহ ইবনে উবাইদুল্লাহ ইবনে মিহসান আল-খাতমি রাযি থেকে বর্ণিত
 ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣَﻦْ ﺃَﺻْﺒَﺢَ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﺁﻣِﻨًﺎ ﻓِﻲ ﺳِﺮْﺑِﻪِ ، ﻣُﻌَﺎﻓًﻰ ﻓِﻲ ﺟَﺴَﺪِﻩِ ، ﻋِﻨْﺪَﻩُ ﻗُﻮﺕُ ﻳَﻮْﻣِﻪِ ، ﻓَﻜَﺄَﻧَّﻤَﺎ ﺣِﻴﺰَﺕْ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ )
যে ব্যক্তি নিজের মন ও শরীর নিয়ে ভালো থাকবে,এবং তার নিকট প্রতি দিনের খাবার থাকবে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তাকে যেন সমস্ত পৃথিবী দান করা হলো।(আল-আদাবুল মুফরাদ-৩০০,সুনানে তিরমিযি-২৩৪৬)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻭﺍﻣﺘﺪﺡ ﺍﻟﻨﺒﻲُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﺼِّﺤﺔَ ﺑﻘﻮﻟﻪ : « ﻻَ ﺑَﺄْﺱَ ﺑِﺎﻟْﻐِﻨَﻰ ﻟِﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ، ﻭَﺍﻟﺼِّﺤَّﺔُ ﻟِﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻐِﻨَﻰ، ﻭَﻃِﻴﺐُ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﻌَﻢِ »
যে ব্যক্তি তাকওয়াকে গ্রহন করে,তার ধনসম্পত্তি হলেও কোনো গোনাহ নাই।আর যে ব্যক্তি তাকওয়াকে গ্রহণ করে,তার সুস্থতা ধনসম্পত্তি থেকে উত্তম।আর মন ভালো থাকা নিয়ামতের অন্তর্ভুক্ত। (সুনানে ইবনে মা'জা-)

 আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
وعن أنس، أن رجلاً جاء إلي النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله! أي الدعاء أفضل؟ قال: ((سل ربك العافية والمعافاة في الدنيا والآخرة)). ثم أتاه في اليوم الثاني، فقال: يا رسول الله! أي الدعاء أفضل؟ فقال له مثل ذلك. ثم أتاه في اليوم الثالث، فقال له مثل ذلك، قال: ((فإذا أعطيت العافية والمعافاة في الدنيا والآخرة فقد أفلحت)).

তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! কোন্ দু‘আ সর্বোত্তম? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমার রবের কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করো। অতঃপর সেই ব্যক্তি আবার দ্বিতীয় দিন এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! কোন্ দু‘আ সর্বোত্তম? তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে আগের মতো বললেন। আবার সেই ব্যক্তি তৃতীয় দিন আসলো (একই প্রশ্ন করলে), তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আগের মতই উত্তর দিলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, দুনিয়া ও আখিরাতে যখন শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করলে, তখন মুক্তি লাভ করলে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান তবে সানাদের দিক দিয়ে তা গরীব) মিশকাত-২৩৯০

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুস্থতা এক নিয়ামত।এবং অসুস্থাও এক নিয়ামত।কেননা অসুস্থতার দরুণ আল্লাহ তা'আলা গোনাহকে ক্ষমা করবেন।
সুতরাং নিরোগ থাকা আল্লাহর এক নিয়ামত।এবং মনের দিক দিয়ে কষ্টে থাকা,সেটাও এক নিয়ামত।সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামতেই আছে।সে শাস্তিতে নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...