আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার ভাই রিসেন্টলি ভারত যায় সেখান থেকে বিভিন্ন শ্যাম্পু সাবান এসব আনেন। এবং ৭ হাজার টাকার শপিং করেন। এর মধ্যে কিছু কিছু পন্য ইসরাইলী পড়েছে যা ইউনিলিভার সিল দেখে বুঝেছি। এসব পন্য আমার ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার করতে ঈমানে প্রচুর আঘাত লাগছে, কিছুতেই ব্যবহার করতে চাচ্ছি না। এখন এ পণ্যগুলো আমি গরিবদের যে দিব সেটা আম্মু জানলে প্রচুর বকাবকি করবে, আমার মাও এসব বুঝে কম। এখন আমি ভাবছি খালাকে দিয়ে দিব, সে ক্ষেত্রে এটা উচিত হবে? মানে অন্যকে দিলে কি সেটা প্রোমোট করা হবে নাকি আবার? নাকি এর থেকে ভালো নিজেই চুপিসারে ব্যবহার করা যাতে এই গুনাহের সাক্ষী কেউ না থাকে। নাকি লুকিয়া দান করব? কোনটা ভালো হবে এ কাজের কাফফারা হিসেবে?


২. আমি এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাই। আর এডমিশন কোচিং করেছিলাম 'ইউসিসি' থেকে। তো রেজাল্টের সময় তারা আমার কাছে রোল আর রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার চায় আমি সত্যি বলতে ভেবেছিলাম যে তারা কনফার্ম হবে যে আমি আসলেই চান্স পেয়েছি কি না এজন্য সরল মনে দিয়েও দেই। কিন্তু ওনারা এডমিশট কার্ডে ব্যবহার করা ছবি যা মুখ খোলা ছিল তা তাদের লিফলেটে ছাপিয়ে ফেলে, প্রথমে তারা পোস্ট করেছিল তখন তাদের কো অর্ডিনেটরকে জানাই যে আমি পর্দা করি তখন বলেছে ঠিক আছে আর এমন হবে না। তারপর লিফ্লেটে ছাপায় ৬০ হাজার কপি করে, আমি আবার তাদেরকে জানাই যে দরকার হলে আমি সব কপিতে মার্কার দিয়ে মুখ ঢেকে দিয়ে আসব আপনারা তাও তা মুছার ব্যবস্থা করেন, তিনি জানান সে অফিসে জানায় কিন্তু তারা কোন রিপ্লাই দেয়নি তাকে এবং আরো বলে যে চিন্তা নিবেন না আপনার নাম লিস্টে থেকে কেটে দিয়েছি এমন আর দেখবেন না।

আজকে আবার ফেসবুকে দেখলাম তারা সেই লিফলেটের ছবি দিয়ে তাদের কোচিং এর প্রচার করছে, আমি আবার মেসেজ দেই তাদেরকে, আমার বান্ধুবিদেরকেও বলেছি দেওয়ার জন্য যেন তারা আসলেই আমার নামটা কাটে।আমি সত্যিই বুঝতে পারিনি যে তারা এভাবে ছবি ব্যবহার করবে, এ জিনিসটা গোটাএক বছর থাকবে বারংবার তারা প্রচারের জন্য ব্যবহার করবে আমার কথা শুনছে না,
কিভাবে আমি সমস্যা সমাধান করব? আমার গুনাহ কিভাবে সামাল দিব? উল্লেখ্য উস্তাদ, আমার বাবা বেচে নেই যে তাদের কাছে যেয়ে শাসিয়ে দিয়ে আসব, আমার ভায়ের দ্বীনের জ্ঞান নেই ও গুরুত্ব দিবে না আমার কথায়, এসব বাদে আর কি করতে পারি আমি?

1 Answer

0 votes
by (544,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻭَﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯ ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏ

ِতরজমাঃ সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। সূরা মায়েদা-২
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، ح وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَخْرَجَ مَرْوَانُ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا مَرْوَانُ خَالَفْتَ السُّنَّةَ أَخْرَجْتَ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ وَلَمْ يَكُنْ يُخْرَجُ فِيهِ وَبَدَأْتَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ مَنْ هَذَا قَالُوا فُلَانُ بْنُ فُلَانٍ . فَقَالَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ "
.
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ‘ঈদের দিন মারওয়ান ঈদের মাঠে মিম্বার স্থাপন করে সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করায় জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেন, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাত বিরোধী কাজ করলে। তুমি ‘ঈদের দিন বাইরে মিম্বার এনেছো এবং সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করেছো। অথচ ইতিপূর্বে (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খুলাফায়ি রাশিদীনের যুগে) কখনো এমনটি করা হয়নি। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, লোকটি কে? লোকজন বললো, অমুকের পুত্র অমুক। তিনি বললেন, সে তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ কেউ কোন গর্হিত (শারী‘আত বিরোধী) কাজ সংঘটিত হতে দেখলে তাকে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে। এরূপ করতে অক্ষম হলে তা কথার দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি এতেও অক্ষম হয় তাহলে সে তা অন্তরে ঘৃণা করবে (বা তা দূর করার উপায় অন্বেষনে চিন্তা-ভাবনা করবে)। তবে এটি হচ্ছে দুর্বলতম ঈমানের পরিচায়ক।
(মুসলিম , ইবনু মাজাহ  হাঃ ১২৭৫,  হাঃ ৪০১৩), আহমাদ (৩/১০)

পন্য বয়কট সংক্রান্ত শরীয়তের বিধান জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রডাক্ট গুলি তো ক্রয় করা হয়ে গিয়েছে,সুতরাং এক্ষেত্রে তো ঈসরায়েলদের আর্থিক সহায়তা হয়েই গিয়েছে তাই এখন এই পন্য গুলো অন্যকে দেন বা নিজে ব্যবহার করেন,তাতে কিছুই আসে যায়না।

আর পন্য গুলি ফেলে দিলে আপনারই ক্ষতি,(আর এতে অপচয়েরও গুনাহ হবে)।

মূলত তাদের তো ব্যবসা হয়েই গিয়েছে।

সুতরাং নিজের জন্য প্রয়োজনীয় হলে তাহা ব্যবহার করতে পারেন,আর অপ্রয়োজনীয় হলে সেটা অন্য কাউকে গিফট/দান করে দিতে পারেন।

(০২)
এক্ষেত্রে আইনি সহায়তা নেয়ার পরামর্শ রইলো। 

আল্লাহর খাছে খালেস দিলে তওবার পাশাপাশি হাজারো চেষ্টার পরেও যদি এর কোনো সমাধান না হয়,সেক্ষেত্রে আশা করি এর দরুন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পাকড়াও করবেননা,ইনশাআল্লাহ। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...