আসসালামু আলাইকুম,
আমার ভাই রিসেন্টলি ভারত যায় সেখান থেকে বিভিন্ন শ্যাম্পু সাবান এসব আনেন। এবং ৭ হাজার টাকার শপিং করেন। এর মধ্যে কিছু কিছু পন্য ইসরাইলী পড়েছে যা ইউনিলিভার সিল দেখে বুঝেছি। এসব পন্য আমার ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার করতে ঈমানে প্রচুর আঘাত লাগছে, কিছুতেই ব্যবহার করতে চাচ্ছি না। এখন এ পণ্যগুলো আমি গরিবদের যে দিব সেটা আম্মু জানলে প্রচুর বকাবকি করবে, আমার মাও এসব বুঝে কম। এখন আমি ভাবছি খালাকে দিয়ে দিব, সে ক্ষেত্রে এটা উচিত হবে? মানে অন্যকে দিলে কি সেটা প্রোমোট করা হবে নাকি আবার? নাকি এর থেকে ভালো নিজেই চুপিসারে ব্যবহার করা যাতে এই গুনাহের সাক্ষী কেউ না থাকে। নাকি লুকিয়া দান করব? কোনটা ভালো হবে এ কাজের কাফফারা হিসেবে?
২. আমি এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাই। আর এডমিশন কোচিং করেছিলাম 'ইউসিসি' থেকে। তো রেজাল্টের সময় তারা আমার কাছে রোল আর রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার চায় আমি সত্যি বলতে ভেবেছিলাম যে তারা কনফার্ম হবে যে আমি আসলেই চান্স পেয়েছি কি না এজন্য সরল মনে দিয়েও দেই। কিন্তু ওনারা এডমিশট কার্ডে ব্যবহার করা ছবি যা মুখ খোলা ছিল তা তাদের লিফলেটে ছাপিয়ে ফেলে, প্রথমে তারা পোস্ট করেছিল তখন তাদের কো অর্ডিনেটরকে জানাই যে আমি পর্দা করি তখন বলেছে ঠিক আছে আর এমন হবে না। তারপর লিফ্লেটে ছাপায় ৬০ হাজার কপি করে, আমি আবার তাদেরকে জানাই যে দরকার হলে আমি সব কপিতে মার্কার দিয়ে মুখ ঢেকে দিয়ে আসব আপনারা তাও তা মুছার ব্যবস্থা করেন, তিনি জানান সে অফিসে জানায় কিন্তু তারা কোন রিপ্লাই দেয়নি তাকে এবং আরো বলে যে চিন্তা নিবেন না আপনার নাম লিস্টে থেকে কেটে দিয়েছি এমন আর দেখবেন না।
আজকে আবার ফেসবুকে দেখলাম তারা সেই লিফলেটের ছবি দিয়ে তাদের কোচিং এর প্রচার করছে, আমি আবার মেসেজ দেই তাদেরকে, আমার বান্ধুবিদেরকেও বলেছি দেওয়ার জন্য যেন তারা আসলেই আমার নামটা কাটে।আমি সত্যিই বুঝতে পারিনি যে তারা এভাবে ছবি ব্যবহার করবে, এ জিনিসটা গোটাএক বছর থাকবে বারংবার তারা প্রচারের জন্য ব্যবহার করবে আমার কথা শুনছে না,
কিভাবে আমি সমস্যা সমাধান করব? আমার গুনাহ কিভাবে সামাল দিব? উল্লেখ্য উস্তাদ, আমার বাবা বেচে নেই যে তাদের কাছে যেয়ে শাসিয়ে দিয়ে আসব, আমার ভায়ের দ্বীনের জ্ঞান নেই ও গুরুত্ব দিবে না আমার কথায়, এসব বাদে আর কি করতে পারি আমি?