আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১)নামাজের নিয়ম নিয়ে IOM
এর উসিলায় জানতে পারি পুরুষ মহিলার নামাজে পার্থক্য আছে।
পার্থক্য হিসেবে যেই হাদিস দেখানো হয়েছে,নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,"যেভাবে আমাকে দেখেছো সেভাবে নামাজ পড়ো" এটার ক্ষেত্রে IOM এ বলা হইছে যে এটা পুরুষের জন্য। তো
পার্থক্য হিসেবে যেই হাদিস বা রেফারেন্স দেখিয়েছেন সেগুলো কি সহীহ নয়?বা জয়িফ?

আর শায়েখ আহমাদুল্লাহ সহ মিজানুর রহমান আজহারি এবং জাকির নায়েক উনারা বলেন ছেলে মেয়েদের নামাজে কোনো পার্থক্য নেই,যেই হাদিস আপ্নারা দেখিয়েছেন সেগুলো উনারা বলেন না।ড.জাকির নায়েক তো অনেক বেশি জ্ঞানী মানুষ,তাহলে IOM এ দেয়া যুক্তিগুলো মানে হাদিস রেফারেন্স এগুলো কেনো উনারা কেউ দিলেন না?
(বেয়াদবি নিবেন না উস্তাদ,জানার জন্যই,কারণ অনেকেই এটা নিয়ে প্রশ্ন করেন,আমার ফ্রেন্ডরা।তারা বলে যে এরকম বড় বড় আলেমদের লেকচারে শুনেছে তাই তাদের কি বলবো নিজেও জানার জন্য জিজ্ঞেস করা,বেয়াদবি হলে মাফ করবেন উস্তাদ)
Sheikh Ahmadullah⬇️

https://youtu.be/U3lNpWeI1N8?si=cT5HyX-y5g7pencX

Dr.Zakir Naik⬇️

https://youtu.be/Y0aJaPwJyHI?si=Le9FY1ycBRUvkFAA

শুনবেন প্লিজ।

২)নামাজে ৭ টি অঙ্গ লাগাতে হয় সিজদায় কিন্তু মেয়েদের তো উস্তাদ হানাফী মতে সিজদাহ দিলে আঙুল মাটিতে লাগেনা।যদি আমার এক পায়ের উপর আরেক পা রাখি আর পশ্চিমদিকে রাখি তাহলে আঙুল মাটিতে লাগেনা।
আর শায়েখ আহমাদুল্লাহ বলেছেন একটা আঙুল না লাগলে নামাজ হবেনা।
এটা একটু বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ।

৩)আরেকটা হচ্ছে উস্তাদ,কেউ যদি না জেনে আশুরা,আরাফাহ ইত্যাদি নফল রোজার নিয়ত আর ফরজ রোজার কাজার নিয়ত একসাথে করে রোজা রাখে তাহলে তার রাখা রোজাগুলো কি বাতিল হয়ে গেছে নাকি কাজা হয়ে গেছে? সে কি এগুলো হিসেবে ধরবে কাজা আদায় হয়ে গেছে এইভাবে?

৪)আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে উস্তাদ,
মাজহাব মানা নিয়ে একটা কথা বলা হয় যে,ইমাম আবু হানিফা বলেছেন "যদি উনার বলা কোনো কথা কুরআন হাদিসের বাইরে হয় বা ভুল হয় তাহলে সেটা দেয়ালে ছুড়ে ফেলতে।"
এটা নিয়ে এখন মানুষ বলেন যে মাজহাব অন্ধ ভাবে কেনো মানবো?
এখন উস্তাদ আমরা তো হানাফি মাজহাব মানি তাই যেকোনো বিষয়ে হানাফি মাজহাবের ফতোয়া ই দেখতে আসি।এখন আমাদের কি উচিত নিজে নিজে খুজে খুজে সঠিক ভুল বের করা কারণ এটা তো সবসময় সহজ না।যেহেতু জ্ঞান নেই এই বিষয়ে।এখন আমরা কীভাবে বুঝবো হানাফি মাজহাবে কি ভুল আছে আর কি সঠিক?
অন্ধভাবে হানাফি মাজহাব অনুসারে চলে ভুল কিছু যদি মানি আমরা তাহলে কী আমাদের গুনাহ হবে না?
এটা আসলে বুঝতে পারছিনা কেউ জিজ্ঞেস করলেও বলতে পারিনা।
ড.জাকির নায়েক উনার লেকচারে যেটার লিংক দিয়েছি সেটাতে দেইখেন উস্তাদ।
মাজহাব মানার বিষয়ে আর মাজহাবে ভুল হলে সহীহ কোথা থেকে বের করবো বুঝতে পারছিনা।
হানাফী মাজহাবে ফতোয়া দেখার পর নিজে ভুল শুদ্ধ বুঝার চেষ্টা করা উচিত নাকি অন্ধভাবে হানাফী মাজহাব মানা উচিত?আর নিজে ভুল শুদ্ধ বুঝার উপায় ই বা কি?
কষ্ট করে বিস্তারিত বলিয়েন উস্তাদ।

1 Answer

0 votes
by (574,620 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হানাফি মাযহাব মোতাবেক পুরুষ এবং মহিলাদের নামাজের নিয়ম অনেকটা একই রকম।
তবে পুরুষ আর মহিলাদের নামাজের মাঝে অল্প কিছু পার্থক্য রয়েছে।

ক, তাকবিরে তাহরিমা। 

মহিলারা তাকবিরে তাহরিমা বলার সময় সীনা পর্যন্ত হাত উঠাবে।
পক্ষান্তরে পুরুষেরা কান পর্যন্ত হাত উঠাবে।

খ, হাত বাধার জায়গা।

মহিলারা সীনার উপর হাত বাধবে।
পুরুষেরা নাভির নিচে হাত বাধবে।

গ, 
রুকু করার পদ্ধতি।

মহিলারা পুরুষদের মত রুকু করবে না।বরং হাটুকে সামনে রেখে পুরোপুরি না টানিয়ে রুকু করবে।

মহিলাগণ রুকুর সময় পুরুষদের মত পূর্ণাঙ্গ ঝুঁকবে না। বরং উভয় হাত হাটুতে রাখবে। কিন্তু জড়োসড়ো হয়ে পুরুষদের চেয়ে কম ঝুঁকবে।

ঘ, সিজদাহ্ করার পদ্ধতি 

মহিলারা সেজদায় গিয়ে পেট রানের সাথে এবং বাহু কে বগলের সাথে মিলিয়ে রাখবে,কনুই জমিনের উপর বিছিয়ে দিবে।
পক্ষান্তরে পুরুষেরা পেটকে রান থেকে,বাহুকে বগল থেকে এবং কনুইকে জমিন পৃথক রাখবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا حَفْصٌ عَنِ الْجَعْدِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ عَنِ ابْنَةٍ لِسَعْدٍ أَنَّهَا كَانَتْ تُفْرِطُ فِي الرُّكُوع تَطَأْطُؤًا مُنكَرَاً ، فَقَالَ لَهَا سَعْدٌ : إنَّمَا يَكْفِيك إذَا وَضَعْت يَدَيْك عَلَى رُكْبَتَيْك.

আয়েশা বিনতে সা’দ থেকে বর্ণিত, তিনি রুকুতে খুব বেশী ঝুঁকতেন যা দৃষ্টিকটু। অতঃপর হযরত সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস রা. তাকে বললেন: তোমার দুই হাত হাঁটুতে রাখলে তোমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। (ইবনে আবী শাইবা-২/৪৫২, হাদীস নং- ২৫৯২)

ঙ, বৈঠকের পদ্ধতি। 

মহিলারা দুই পা ডান দিকে বের করে দিয়ে নিতম্বের উপরে বসবে।
,
পক্ষান্তরে পুরুষেরা ডান পা খাড়া করে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
  5068 – عبد الرزاق عن معمر عن الحسن وقتادة قالا إذا سجدت المرأة فإنها تنضم ما استطاعت ولا تتجافى لكي لا ترفع عجيزتها

হযরত হাসান বসরী ও কাতাদা রহ. বলেন-“মহিলা যখন সেজদা করবে তখন সে যথাসম্ভব জড়সড় হয়ে থাকবে। অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফাঁকা রেখে সেজদা দিবেনা যাতে কোমড় উঁচু হয়ে না থাকে”। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক-৩/১৩৭, হাদিস নং-৫০৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-১/৩০৩)

حَدِيثُ أَبِى مُطِيعٍ : الْحَكَمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَلْخِىِّ عَنْ عُمَرَ بْنِ ذَرٍّ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- :« إِذَا جَلَسْتِ الْمَرْأَةُ فِى الصَّلاَةِ وَضَعَتْ فَخِذَهَا عَلَى فَخِذِهَا الأُخْرَى ، وَإِذَا سَجَدْتْ أَلْصَقَتْ بَطْنَهَا فِى فَخِذَيْهَا كَأَسْتَرِ مَا يَكُونُ لَهَا ، وَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَيَقُولُ : يَا مَلاَئِكَتِى أُشْهِدُكُمْ أَنِّى قَدْ غَفَرْتُ لَهَا (السنن الكبرى، كتاب الصلاة، باب مَا يُسْتَحَبُّ لِلْمَرْأَةِ مِنْ تَرْكِ التَّجَافِى فِى الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ، رقم الحديث-3324) 

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত।  রাসূল সা. ইরশাদ করেছন-“মহিলা যখন নামাযের মধ্যে বসবে তখন যেন (ডান) উরু অপর উরুর উপর রাখে। আর যখন সেজদা করবে তখন যেন পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখে। যা তার সতরের জন্য অধিক উপযোগী। আল্লাহ তায়ালা তাকে দেখে বলেন-ওহে আমার ফেরেস্তারা! তোমরা সাক্ষী থাক। আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। (সুনানে বায়হাকী-২/২২৩, হাদিস নং-৩৩২৪)

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ صَلَاةِ الْمَرْأَةِ، فَقَالَ: «تَجْتَمِعُ وَتَحْتَفِرُ»
আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, মহিলা কিভাবে নামায আদায় করবে? তিনি বললেন, খুব জড়সড় হয়ে অঙ্গের সাথে অঙ্গ মিলিয়ে নামায আদায় করবে। [মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-২/৫০৫, হাদীস নং-২৭৯৪]

বিস্তারিত জানুনঃ 

এ সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/498

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এটা মূলত মতবিরোধ পূর্ণ একটি মাসয়ালা।
সুতরাং এক্ষেত্রে যে যে মাযহাবের,সে সেই মাযহাবের মত অনুসরণ করতে পারে,সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবে।

মাযহাব সম্পর্কে স্পষ্ট জানার জন্য নিম্নের লিংকে দেয়া লেখাটি পড়ার পরামর্শ রইলোঃ-
https://ifatwa.info/97922

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أُمِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْضَاءٍ وَلاَ يَكُفَّ شَعْرَهُ وَلاَ ثِيَابَهُ 

কুতায়বা (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদিষ্ট হয়েছেন সাত অঙ্গের উপর সিজদা করতে। আর তাঁর কাপড় ও চুল একত্র না করতে।

সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৮৮৩-৮৮৪, বুখারি হাঃ ৮০৯,৮১৫। মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৯৮৮,নাসায়ী ১০৯৬)

এই হাদীসের ব্যাখ্যা হিসেবে অন্য হাদীসে এসেছেঃ

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا سَجَدَ الْعَبْدُ سَجَدَ مِنْهُ سَبْعَةُ آرَابٍ وَجْهُهُ وَكَفَّاهُ وَرُكْبَتَاهُ وَقَدَمَاهُ " .

কুতায়বা (রহঃ) ... আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যখন কোন বান্দা সিজদা করে তখন তার সপ্ত অঙ্গ সিজদা করে। তার মুখমন্ডল, উভয় হাতের তালু, উভয় হাটু এবং তার উভয় পা।

সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৮৮৫, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৯৯২/ক নাসায়ী ১০৯৭)

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أُمِرْتُ أَنْ أَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةٍ - لاَ أَكُفَّ الشَّعْرَ وَلاَ الثِّيَابَ - الْجَبْهَةِ وَالأَنْفِ وَالْيَدَيْنِ وَالرُّكْبَتَيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ " .

আহমদ ইবনু আমর ইবনু সারহ, ইবনু আবদুল আলা ও হারিস ইবনু মিসকীন (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি আদিষ্ট হয়েছি সাত অঙ্গের উপর সিজদা করতে। আর যেন আমি চুল ও কাপড় একত্র করে না রাখি (সে সাত অঙ্গ হচ্ছে ) ললাট, নাক, উভয় হাত, উভয় হাঁটু এবং উভয় পা।

সহিহ, বুখারি হাঃ ৮১২, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৯৯২,নাসায়ী ১০৯৯)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
সিজদার পুরো সময় দুই পায়ের কোনো অংশ কিছু সময়ের জন্যও যদি যমিনে লেগে না থাকে তাহলে সিজদা হবে না। কিন্তু যদি সিজদার সময় কোনো এক পা অল্প সময়ের জন্য মাটিতে লাগানো থাকে তাহলে সিজদা সহীহ হয়ে যাবে এবং নামাযও হয়ে যাবে। তবে সিজদা অবস্থায় উভয় পা যমিনে লাগিয়ে রাখা সুন্নতে মুআক্কাদা। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন সিজদার সময় উভয় পা যমিনে লেগে থাকে এবং আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী থাকে।
(রদ্দুল মুহতার ১/৪৪৭,৫০০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হানাফি মাযহাব অনুসারে নামাজে মহিলারা যেভাবে সেজদাহ আদায় করে,সেক্ষেত্রে উভয় পা তো জমিনে থাকেই।
পা তো জমিন হতে উঁচু থাকেনা।
আর হাদীসের পা জমিনে থাকার কথাই এসেছে।

তদুপরি কেহ যদি পা ডান দিকে বের করে দেয়া পরেও পা কিছুটা বাঁকিয়ে সমস্ত আঙ্গুল জমিনের উপর রেখে সেজদাহ করে,সেক্ষেত্রে এটি তো হানাফি মাযহাবে নিষেধ নয়।
এমনটি করতে কোনো সমস্যা নেই।
এভাবেও নারীরা সেজদাহ দিতে পারবে।

(০৩)
তার কোনো রোযাই আদায় হয়নি।

কাজা রোযা পুনরায় আদায় করতে হবে।

(০৪)
বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কেরামগন এই ব্যপারে রিচার্স করেছেন।
সুতরাং সাধারণ মানুষ গন নিশ্চিন্ত মনে হানাফি মাযহাবের উপর আমল করতে পারে।
আলহামদুলিল্লাহ। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করা যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য)

এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব।
আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1936

আরো জানুনঃ- 

মুজতাহিদ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...