জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামী শরীয়ত সম্মত পন্থায় জবাই করার পদ্ধতি হলো হলোঃ
মুসলিম অথবা আহলে কিতাব ব্যাক্তি বিসমিল্লাহ বলে জবাই করবে।
জবাই করার সময় চারটি রগ কাটতে হবে। সে চারটি রগ হচ্ছে, শ্বাস নালী, খাদ্যনালী এবং শ্বাস নালীর দুই পার্শ্বের দুটি মোটা রগ। কোনো কারণে চারটি রগ না কেটে তিনটি কাটলে গোশত খাওয়া বৈধ হবে। কিন্তু তিনটির কম কাটলে সেই পশু বা পাখি মৃত বলে গণ্য হবে এবং তা খাওয়া বৈধ হবে না। (বেহেশতি জেওর, পৃষ্ঠা-৩৭৫)
যে কোন পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম তথা বিসমিল্লাহ বা আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ তাআলার সাথে খাস আল্লাহ তাআলার যে কোন নাম উচ্চারণ করা আবশ্যক। যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহর নাম না নেয়া হয়, তাহলে উক্ত পশু খাওয়া জায়েজ হবে না।
وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ ۗ وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰ أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ ۖ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ [٦:١٢١]
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে-যেন তারা তোমাদের সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে। {সুরা আনআম-১২১}
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَ زَيْدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ بِأَسْفَلِ بَلْدَحٍ، قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الوَحْيُ، فَقُدِّمَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُفْرَةٌ، فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا، ثُمَّ قَالَ زَيْدٌ: إِنِّي لَسْتُ آكُلُ مِمَّا تَذْبَحُونَ عَلَى أَنْصَابِكُمْ، وَلاَ آكُلُ إِلَّا مَا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ،
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ এর কাছে ওহী নাজিল হবার আগে জায়েদ বিন নুফাইল এর সাথে আসফালি বালদাহ নামক স্থানে সাক্ষাৎ হয়। তখন রাসূল সাঃ এর সামনে দস্তরখান বিছানো হয়। [আর কিছু গোস্ত উপস্থিত করা হয়] রাসূল সাঃ তা খেতে অস্বিকৃতি জানালেন। তারপর জায়েদ বলেন, আমি সে প্রাণী খাই না, যা তোমরা মুর্তির নামে জবাই কর। আমি শুধু ঐ প্রাণীই ভক্ষণ করি যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে। {বুখারী, হাদীস নং-৩৮২৬, ৩৬১৪}
আরো জানুনঃ
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রাণ ত্যাগ করার পূর্বে পশুর অন্য কোন অঙ্গ কেটে কষ্ট দেওয়া নাজায়েজ ।
যেমন- ঘাড় মটকানো, পায়ের শিরা কাটা, চামড়া ছাড়ানো ইত্যাদি কাজ জান যাওয়ার আগে বৈধ নয়। একইভাবে, দেহ আড়ষ্ট হয়ে এলে চামড়া ছাড়াতে শুরু করার পর যদি পুনরায় লাফিয়ে ওঠে, তাহলে আরো কিছুক্ষণ প্রাণ ত্যাগ করার কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যেহেতু পশুকে কষ্ট দেয়া আদৌ বৈধ নয়।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কসাইদের কাজ নাজায়েজ, এতে উক্ত কসাইয়ের গুনাহ হবে।
তবে এতে গোশত হারাম হবেনা।
সেই প্রানীর গোশত খেতে কোনো সমস্যা নেই।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ক্ষেত্রে দোকান থেকে জবাইকৃত গরুর গোশত ক্রয় করে খাওয়া হালাল হবে।