বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত।
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ.
তিনি বলেন, ব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে, তখন সে মু’মিন থাকে না। এবং চোর যখন চুরি করে তখন সে মু’মিন থাকে না।(সহীহ বোখারী-৬৭৮২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যিনা অবস্থায় ইমান ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে বলে হাদীসে ধমকি দেয়া হয়েছে, তবে যিনা অবস্থায় কারো মৃত্যু চলে আসলে, সে কাফের হয়ে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না। কেননা কবিরা গোনাহ দ্বারা কেউ কাফির হয় না। তবে যিনা মারাত্বক পর্যায়ের কবিরা গোনাহ।এর শাস্তি ভয়াবহ।
(২)নামাজরত অবস্থায় যদি কারো অনিচ্ছায় যিনার চিন্তা আসে, তাহলেও তার গোনাহ হবে।
(৩)যিনারত অবস্থায় যদি কারো নেক আমল বা আল্লাহ পাক এর ভয় অন্তরে আসে যদি সে মনে মনে বলে যে, ফিরা জরুরি নেক আমল উত্তম আমি যেটা করতেছি সেটা খুবই খারাপ কাজ, তাহলে ইমানে সমস্যা হবে না।
(৪)ধর্ষন যিনার অন্তর্ভুক্ত। এমনকি ধর্ষণের শাস্তি আরো ভয়াবহ।
(৫)একজন পাচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিক মত পড়ে আরও কিছু নফল ইবাদত করে কিন্তু মাঝে মধ্যে যিনায় লিপ্ত হয়ে যায় আবার তওবা করে আবার হয়ে যায়, সে যদি তাওবাহ করে,তাহলে ইমান নিয়ে মরতে পারবে।
(৬)যিনার দুনিয়াবি শাস্তি উক্ত ব্যক্তি অবশ্যই পাবে।সরকার সেই শাস্তি দিবে। তবে পরকালের শাস্তি আল্লাহ চাইলে দিবেন অথবা মাফ করে দিবেন।