আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
edited by
১।হিন্দুরা শিরক করে মাইকের মাধ্যমে যেটা আমাদের কানে আসে দুরে বাজলেও মন অনিচ্ছা সত্ত্বেও চলে যায় ঐদিকে খুবই বিরক্ত লাগে এতে ইমানের ক্ষতি হবে কি না?
২।যারা মসজিদ পরিচালনা করে তারা ইমাম সাহেবের যিনার খবর জানার পরও বিদায় করে না এখন অন্য যায়গায় পরতে গেলেও কেউ দেখলে ফিৎনা হতে পারে এখন উনার পিছনে নামাজ পরমু নাকি জামাত ছাড়া পড়ব?

৩।উনার যে মেয়ের সাথে সম্পর্ক ফেসবুকের মাধ্যমে আমি দেখছিলাম ঐ মেয়ে ফেসবুকে যে নাম ব্যবহার করছে সে নামে মিসডকল উঠছে নেট চালু করার সাথে এখন আমি উনার পাসওয়ার্ড দিছি তারা যদি বিদায় না করে তাহলে কি উনার আইডি লগইন করে প্রমান বের করে সমাজবাসি দিয়ে বিদায় করা যাবে সম্ভবৎ এখন কি উনার আইডি লগইন করা যাবে?


৪।আমরা লুডু খেলি এসার নামাজের পর কিছু সময় সেই খেলাতে যদি কেউ কুটি পরলে না কাটে তাঁর জরিমানা হয় সবাই মিলে খাবার খাই। কিন্তু হারলে কিছু দিতে হবে না শুধু কুটি না কাটলে জরিমানা কারন  এইটা কি জুয়ার মধ্যে পরবে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আপনি মনে প্রানে আকীদা বিশুদ্ধ রাখবেন।
ঐ আওয়াজের প্রতি মনোযোগী হবেননা।
কোনো কাজে ব্যস্ত থাকবেন।
তাহলে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুয়াযযিনের ব্যাপারে বলেছেন,

ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ

‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 

فى تنوير الأبصار-ويثبت بشهادة أربعة في مجلس واحد بالزنا لا الوطء والجماع –––– ويثبت بإقراره أربعا في مجالسه الأربعة كلما أقر رده (رد المحتار-كتاب الحدود-4/7-9)
وكذا فى الفتاوى الهندية- كتاب الحدود، الباب الثانى فى الزنا-5-4- 6
وفيه ايضا- ( ويكره إمامة عبد وأعرابي وفاسق وأعمى
সারমর্মঃ-
এক মজলিসে চারজনের সাক্ষ্য দ্বারা যেনা সাব্যস্ত হবে। গোলাম,অনারবী,ফাসেকের ইমামতি মাকরুহ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইসলামী শরীয়তে কোন ব্যক্তি জিনাকারী হিসেবে সাব্যস্ত হয় দুটি পদ্ধতিতে। এক হল উক্ত ব্যক্তি নিজে তা স্বীকার করলে। দ্বিতীয়ত চারজন সৎ ব্যক্তি যদি তাকে নিজের চোখে জিনা করতে দেখার স্বাক্ষ্যি দেয় তাহলে।

এ দুই কারণ ছাড়া ইসলামী শরীয়তে কাউকে জিনাকারী বলা যায় না।

উপরোক্ত বিবরণ মতে যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ইমাম সাহেব ইসলামী শরীয়ত মতে জিনাকারীরূপে সাব্যস্ত না হয় তাহলে উক্ত ব্যক্তির পিছনে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই। অন্য মসজিদে যাওয়া আপনার জন্য উচিত হবেনা। জামাত ছাড়া নামাজ পড়াও জায়েজ হবেনা।

★আর যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ইমাম সাহেব ইসলামী শরীয়ত মতে জিনাকারীরূপে সাব্যস্ত হয় তাহলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত গোনাহ থেকে তওবা না করলে তার পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরিমী হবে।

এক্ষেত্রে আপনি অন্য মসজিদে নামাজ পড়বেন। ফিতনা হলে বা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হলে কমিটি/অন্যান্য মুছল্লিদের টনক নড়বে,ইনশাআল্লাহ। 

আর যদি তওবা করে ভাল হয়ে যায়, তাহলে তার পিছনে নামায পড়তে কোন সমস্যা নেই।

(০৩)
ইসলামী শরীয়ত মতে এভাবে যেনার বিষয়টি  সাব্যস্ত হবেনা। 
হ্যাঁ যদি ইমাম সাহেব নিজেই যেনার বিষয়টি  স্বীকার করে,তাহলে যেনা সাব্যস্ত হবে।

(০৪)
এই টাকা নেয়া জায়েজ নেই।
হারাম। এটি স্পষ্ট জুয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...