ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/15984/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ
করেছি যে, মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য
কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,
মঙ্গলজনক হবে না। মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ
নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে
মনে করেন। হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই
কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে। জানুন-
https://www.ifatwa.info/994 , কুফু সম্পর্কে জানতে
https://www.ifatwa.info/780 চার মাযহাবের অবস্থান
দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524
মাতাপিতাকে বিয়ের জরুরত বুঝাবে।
মাতাপিতার পরামর্শে বিয়ে করবে।এক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দেয়াই দুনিয়া ও আখেরাতে
কামিয়াবি অর্জনের উত্তম মাধ্যম হবে। হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ
দেয়া হয়েছে। যেমন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ،
وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ
تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত
বিয়ে করা হয়, (১) সম্পদ (২) বংশ (৩)সুন্দর্য্য (৪) দ্বীনদারী। কিন্তু তুমি
দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে (تَرِبَتْ
يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. ফিকহে হানাফীতে অভিভাবক ছাড়াও বালেগ/বালেগার সম্মতিতে বিয়ে
সহীহ হয়ে যায়। আর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু আপনার পিতা রাজী আছেন। তাহলে তো কোনো
সমস্যাই নাই। তাই বিয়ের ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়া যেতে পারে।
২. পিতা অভিভাবক হবেন। তবে আপনার মাতাকেও রাজী করানোর চেষ্টা
করবেন। তাকে আরোও বুঝাবেন। তাহলে আরো ভালো হবে।