ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/85262/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন। এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ
নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা
অসুস্থতা। এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস
বর্ণনা করেছেন যে,
ফাতিমা
বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত
মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে
আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে
দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین
او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر
ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب
الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে পবিত্রতার
সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত। আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/10488
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা
১০দিন।
এ ১০দিনের
ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত
কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন
সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)
হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই
গন্য হবে। উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায়
করা যাবেনা।
(কিতাবুল
ফাতওয়া ২/৭৬)ৎ
তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ
বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে
হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)
উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ
عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : "
كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ
فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ
الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ
الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর
নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা
(كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায়
নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ
তাড়াহুড়া করিও না,
যতক্ষণ
পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/7905/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই / বোন!
হায়েজের সর্বনিম্ন মেয়াদ ৩দিন এবং সর্বোচ্চ সময়সীমা
হলো ১০ দিন আর উভয় হায়েযের মাঝে পবিত্রতা কমপক্ষে ১৫ দিন অবশ্যই থাকে। অর্থাৎ একবার
হায়েয শুরু হয়ে শেষ হওয়ার পর সর্বনিম্ন ১৫ দিন পর দ্বিতীয় হায়েয শুরু হবে। সুতরাং আপনার
স্ত্রীর ১৬
ও ১৭ তম দিনও ইস্তিহাযা হিসেবে গন্য হবে। কারণ হায়েয হওয়ার জন্য কমপক্ষে তিন দিন
ব্লাডিং হওয়া শর্ত যা আপনার স্ত্রীর ক্ষেত্রে পাওয়া যায়নি।