আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বাবা পেশা হিসেবে দুইটি কাজ করেন,
১. একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করেন, যেখানে তিনি অন্যদের ইন্সুরেন্স করতে উদ্বুদ্ধ করেন, সেখান থেকে কমিশন পান।
২. ইনকাম ট্যাক্সের উকিল হিসেবে, অন্যদের ট্যাক্স ফাইল রেডি করে ফি নেন।

.

আমার মা পেশা হিসেবে, একটি মহিলা কলেজে তিনি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
আমি পেশা হিসেবে একটি ইউ-আই ডিজাইন ফার্মে কর্মরত আছি , আমি মূলত হোম অফিস করি অর্থাৎ বাসা থেকেই।
.

আমি বর্তমানে আমার স্ত্রী সহ আমার বাবা মা এর সাথে বসবাস করছি। আমাদের পরিবারের খাওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত খরচ, আমার বাবা ও মায়ের ইনকাম এর টাকা থেকেই হয়ে থাকে। আমার মা বেতন পেলে তার প্রায় সম্পূর্ণটা আমার বাবাকেই দিয়ে দেন। তো স্পেসিফিক ভাবে বলার উপায় নেই, কার টাকা থেকে কি খরচ হয়ে থাকে। মূলত বাবা-মা দুজনের টাকাই এখানে ব্যবহৃত হয়।
আমাকে ফ্যামিলিতে কোন কনট্রিবিউট করতে হয় না, অর্থাৎ আমি কোন টাকা দিই না। আমার যা ইনকাম হয় তা আমারও আমার স্ত্রীর প্রয়োজনেই ব্যবহার করি আর কিছু সঞ্চয় করার চেষ্টা করি।
.

শায়খ আমার প্রশ্ন হল,
১। আমি ও আমার স্ত্রী যেহেতু তাদের সাথে বসবাস করছি, সেখান থেকেই খাচ্ছি - আমাদের এই বসবাস তাদের সাথে বৈধ হবে কিনা.?
.

২. শায়খ, মানুষ সাধারনত তার অফিসের এলাকাতেই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। যেমন আমার অফিস ঢাকায়, আমাকে ফিজিক্যাল অফিস করতে হলে ঢাকায় থাকতে হতো। হোম অফিসের সুবাদে আমাকে বাসা থেকেই কাজ করতে হয়। আমার ইনকাম দিয়ে আমি ঢাকায় সচ্ছলভাবে থাকতে পারবো না। আর আমার চাকরিটাও একদম স্টেবল না।

আমি যেহেতু হোম অফিস করি, সেহেতু আমাকে অফিসে যেতে হয় না। তাই আমি বাসা দিয়ে অবস্থান করছি। আমার যা ইনকাম হয়, তা দিয়ে সম্ভবত আমি আমার এলাকাতেই বা জেলাতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবো। কিন্তু এতে সমস্যা হল, আমার বাবা-মায়ের সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। কারণ তারা জানে যে আমাকে ফিজিক্যালি অফিস করতে হয় না। তাহলে কেন আমি বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছি.? যদি ঢাকায় থাকতে হতো তাহলে কোন সমস্যা করত না তারা। শায়খ এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি.?
.

৩. আমি, আমারও আমার স্ত্রীর খাওয়া, কারেন্ট বিল, গ্যাস বিল - এই খরচ গুলো বহন করি আনুমানিক হিসাব ধরে, কিন্তু খাবার রান্না হবে সবার এক পাতিলেই। এই ক্ষেত্রে বিধান কি হবে?
.

৪. আমি যদি আমার বাবা-মায়ের সাথে অবস্থান করতে চাই, তাহলে কোন বিষয়গুলো ঠিক করলে আমি তাদের সাথে শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ ভাবে অবস্থান করতে পারব.? আপনার দিক থেকে সাজেশন চাই শায়খ।
.

ব্যক্তিগতভাবে আমি বাবা-মায়ের সাথে অবস্থান করতে খুবই পছন্দ করি। কিন্তু আমি হারাম দ্বারা আমার জীবন পরিচালিত করতে চাই না। তাই আপনার শরণাপন্ন হওয়া, আপনার ফতোয়ার উপরে আমি আমল করব ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে। নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন- 2362

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি সাবালক সন্তান এবং আপনার জবও রয়েছে, তাই আপনার জন্য বাবার হারাম টাকায় খাওয়া দাওয়া তথা জীবনাতিপাত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। হয়তো আপনি জেলা শহরে বাসা বাড়া নিয়ে থাকবেন। অথবা সাংসারিক খরচ আপনার হাতে নিয়ে আসবেন। নিজের ইনকাম ও মায়ের ইনকাম দ্বারা সংসার পরিচালনা করবেন।এবং বাবার ইনকামকে খরচ করা থেকে বিরত থাকবেন।সেটা যে কোনো উপায়েই হোক, বাবার ইনকাম থেকে দূরে থাকবেন।কেননা বাবার সিংহভাগ ইনকাম হারাম। আর হ্যা, ট্যক্স ফাইল রেডি বাবৎ যেই ইনকাম হবে, সেটা সম্পর্কে উলামাদের মতপার্থক্য থাকলেও অধিকাংশের মতে এই ইনকাম জায়েয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
reshown by
শায়খ, এমন করা কি বৈধ হবে যে, পরিবারে মাসিক যে খরচটা হচ্ছে, সেই খরচের মাঝে আমার এবং আমার স্ত্রীর জন্য ঠিক কি পরিমান খরচ হচ্ছে, সেই পরিমাণ খরচ জেনে নিয়ে বাবার হাতে সেই টাকাটা দিয়ে দেয়া। বিষয়টা যেন এরকম যে, আমি এবং আমার স্ত্রী আমাদের নিজের টাকায় খাচ্ছি। তবে একই সাথে খাচ্ছি। বাবার ইনকাম থেকে সামান্য কিছুও নিব না। এমন করা কি শরীয়তে বৈধ হবে.?
by (590,550 points)
জ্বী, আপনার এবং আপনার স্ত্রীর খরচ যত টাকা হচ্ছে, সেটা নির্ধারণ করে সদকাহ করে দিতে হবে। বাবার হাতে দিলে হবে না। কেননা কোনো হারাম মাল জেনে শুনে ক্রয় করা জায়েয হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...