ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)রাতে ক্বুরআন তিলাওয়াত করতে করতে ক্বুরআন হাতে বা পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়া অনুচিত। কেননা এতেকরে কুরআনকে অসম্মান করার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়।
(২)নামায অবস্থায় শেষ বৈঠকে ঘুমিয়ে পড়া অনুচিত। ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে অলসতার সাথে নামায পড়া মাকরুহ। সুতরাং রাতের প্রথমাংশে ঘুমিয়ে যাবার যাবতীয় চেষ্টা করতে হবে।
(৩)
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/389
(৪) হেলান দিয়ে বা শুয়ে কায়দা পড়া নয়া যাবে।তাছাড়া কায়দা পড়া নিতে নিতে হালকা পাতলা কাজও করা যাবে। এতে গুনাহ হবে না। যদি মনযোগ দিয়ে শুনের তাহলে পরিপূর্ণ হক আদায়ের প্রশ্ন এখানে আসবে না।
(৫) সময় সুযোগ করে আপনার ঐ পুরাতন কুরআন সাথে নিয়ে আসবেন। আল্লাহ আপনার কুরআন তিলাওয়াত ও কুরআনের মহব্বতকে কবুল করুক।আপনার জন্য উত্তম প্রতিদানের ব্যবস্থা হোক।আমীন।
(৬) জেনারেল পড়াশুনায় সময় দিয়ে তারপর কুরআনের জন্য সময় দিবেন।
(৭) পরীক্ষায় নিজে নকল করা এবং অন্যকে নকল করার সুযোগ দেওয়া সবকিছুই হারাম এবং গোনাহ।অতীতে হয়ে থাকলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।