ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
নামের একটি
প্রভাব ব্যাক্তির উপর পড়ে,তাই রাসুলুল্লাহ সাঃ কোনো নামের অর্থ মন্দ দেখলে সেই নাম পরিবর্তন করে দিতেন। হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
«وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا -
أَنَّ بِنْتًا كَانَتْ لِعُمَرَ يُقَالُ لَهَا: عَاصِيَةُ فَسَمَّاهَا رَسُولُ
اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - جَمِيلَةً» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ.
‘আবদুল্লাহ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর কন্যাকে ‘আসিয়াহ্ বলা হত। অতঃপর রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখলেন ‘‘জামীলাহ্’’। (সহীহ : মুসলিম ১৫-(২১৩৯),
ইবনু মাজাহ ৩১৩৩)
«وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ -
قَالَ: أُتِيَ بِالْمُنْذِرِ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ وُلِدَ، فَوَضَعَهُ عَلَى فَخِذِهِ فَقَالَ:
" مَا اسْمُهُ؟ " قَالَ: فُلَانٌ. قَالَ: " لَا، لَكِنِ اسْمُهُ
الْمُنْذِرُ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ.
সাহল ইবনু
সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুনযির ইবনু আবূ উসায়দ যখন ভূমিষ্ঠ হলো,
তখন তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আনা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে নিজের রানের
উপর রাখলেন এবং জিজ্ঞেস করলেনঃ তাঁর নাম কী? উত্তরদাতা বলল : ‘‘অমুক’’। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ‘‘না’’; বরং তাঁর নাম ‘‘মুনযির’’।সহীহ : বুখারী ৬১৯১, মুসলিম ২৯-(২১৪৯), তিরমিযী ২৩৮, ইবনু মাজাহ ২৭৫,
আরো জানুনঃ-
https://ifatwa.info/49095/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে নাম পরিবর্তন করার কারণে আবারও আকিকা দিতে হবেনা। পূর্বের আকীকাই যথেষ্ট। জন্মসনদ,
ভোটার আইডি কার্ড ও সার্টিফিকেট হতে
নাম পরিবর্তন আপ্রান চেষ্টা করবেন । চেষ্টার পরেও বিষয়টি যদি আপনার জন্য কষ্টকর ও অনেকটা
অসম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে যদি আপনার পরিবার, আত্নীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠ বান্ধবীরা নতুন নামে ডাকে। তাহলেও
হবে। পরকালে আপনাকে 'আয়শা' নামে ডাকা হবে ইনশাআল্লাহ।
২. জ্বী এমতাবস্থায় আপনার
বোনের আক্বীকা দেওয়া জরুরী নয়। তবে তার আক্বীকা দেওয়া জায়েয আছে। এসম্পর্কে আরো বিস্তারিত
জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/72776/