বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিধর্মীদদের নিদর্শন সম্বলিত স্থান দুই প্রকার হতে পারে।একপ্রকার হল,এমন স্থান যেখানে গোনাহের কারণে আযাব পতিত হয়ে গেছে।এমন স্থান সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، - وَهُوَ يَذْكُرُ الْحِجْرَ مَسَاكِنَ ثَمُودَ - قَالَ سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ مَرَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْحِجْرِ فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَدْخُلُوا مَسَاكِنَ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ إِلاَّ أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ حَذَرًا أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ " . ثُمَّ زَجَرَ فَأَسْرَعَ حَتَّى خَلَّفَهَا .
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একদিন আমরা হিজ্র অধিবাসীদের এলাকা দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলাম। এমন সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বললেন, যারা নিজেদের প্রতি যুল্ম করেছে তাদের জনপদ দিয়ে তোমরা ক্রন্দনরত অবস্থায় যাবে এ ভয়ে যে, তাদের উপর যে শাস্তি পতিত হয়েছে অনুরূপ শাস্তি তোমাদের উপরও যেন এসে না যায়। অতঃপর (ধমকের স্বরে) তিনি তার সওয়ারীকে আরো দ্রুতগতি করে উক্ত অঞ্চল অতিক্রম করলেন। (ই.ফা. ৭১৯৫, ই.সে. ৭২৪৮)
‘আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ، بْنَ عُمَرَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِ الْحِجْرِ " لاَ تَدْخُلُوا عَلَى هَؤُلاَءِ الْقَوْمِ الْمُعَذَّبِينَ إِلاَّ أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا بَاكِينَ فَلاَ تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ "
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসহাবে হিজর তথা সামূদ গোত্র সম্পর্কে সহাবাদেরকে বলেছেনঃ শাস্তিপ্রাপ্ত এ সম্প্রদায়ের উপর দিয়ে ক্ৰন্দনরত অবস্থায় তোমাদের পথ চলা উচিত। যদি তোমাদের কান্না না আসে তাদের এলাকায় কিছুতেই ঢুকবে না। যাতে এমনটি না ঘটে যে, তাদের উপর যে ‘আযাব এসেছিল, অনুরূপ আযাব তোমাদের উপরও এসে যায়।সহীহ মুসলিম-৭৪৫৩ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৯৪, ইসলামিক সেন্টার ৭২৪৭)
আর যে স্থানে আযাব পতিত হয়নি,সে স্থান সম্পর্কে বলা যায় যে,
এমন স্থানে যাওয়া যাবে না।কেননা সেখানের প্রত্যেকটা বস্তু কুফুরির দিকে দাওয়াত প্রদান করবে।সেখানে যাওয়ার অর্থ হল,কুফরিকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া।তাই এমন স্থানে ভ্রমণে যাওয়া যাবে না।বরং এমন নিদর্শনের ঘৃণা অন্তরে পোষণ করতে হবে।