আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন মেয়ে হিসেবে যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকি। কিন্তু আমার হাজব্যান্ড পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে খুব উদাসীন। আমি অনেক বলেও তাকে পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন করতে পারিনি। যেমন প্রতিদিন গোসল করেনা, ঘামের দুর্গন্ধ থাকে, ঘাম লেগে শরীর চটচটে থাকে, সাম্প্রতিক হিট ওয়েভের সময়েও তিনি প্রতিদিন গোসল করতেন না, খাবারের পর মুখে বাজে গন্ধ থাকে, কুলি করেন না, পায়ের তলা নোংরা থাকে।
এখন আমি এসব নিয়ে খুব বিপদে পড়েছি যখন শারীরিক সম্পর্ক করতে চান তখন। নোংরা অবস্থায় আমার কাছে আসলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে আমার খুবই ঘৃনা লাগে। বহুত বলেছি, বুঝিয়েছি, আমার কথা তোয়াক্কাও করেনা।
আমি কখনোই শারিরীক সম্পর্ক করব না তা বলিনা। বলি যে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে কিছু শর্ত আছে যেটা হল পরিষ্কার হয়ে আসো। কখনো আসে, কখনো আসেনা।
এখন প্রশ্ন হল, আমি তো শারীরিক সম্পর্ক করবনা তা বলছিনা, শুধু সে নোংরা থাকে বলে শর্ত দিচ্ছি যে পরিষ্কার হয়ে আসো, এতে কি আমার গুনাহ হবে? আমার এই কথায় সে যদি অসন্তুষ্ট হয় তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? কিন্তু তার অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় আমার ঘনিষ্ঠ হতে খুবই মেন্টাল টর্চার লাগে। ইসলামে এইক্ষেত্রে মেয়েদের ভাষ্যর কি কোন মূল্য আছে বা কি মুল্য আছে?
( আমি স্বামীর শারিরীক হক সংক্রান্ত হাদিসগুলো নিয়ে জানি আলহামদুলিল্লাহ, তাই গুনাহ হবে কিনা একটু চিন্তায় আছি, কিন্তু অপরিচ্ছন্ন অবস্থা নিয়ে কিছু করতেও ঘেন্না লাগে)
দয়া করে একটু সুচিন্তিত মতামত দিলে কৃতজ্ঞ হই। পুনশ্চ, আমার হাজব্যান্ড আমার সাথে অত্যন্ত একরোখা,, একগুয়ে আচরণ করে, ওয়াইফ হিসেবে আমার কোন মতামত তার কাছে মুল্য পায় না)