বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নাবালকের পিছনে সাবালকদের জন্য ইকতেদা করা সহীহ হবে না।এ নিয়ে যদিও মতবিরোধ রয়েছে।তবে বিশুদ্ধ মত হল,নাবালকের পিছনে সাবালকদের ইকতেদা বিশুদ্ধ হবে না।ফরয নামাযে ও না এবং নফল নামাযেও না।সুতরাং আপনি আপনার নাবালক ভাইয়ের ইকতেদা করে নামায পড়তে পারবেন না।
لما في الدرالمختار ،ج ١-ص:٥٧٨
(ولا يصح اقتداء رجل بامرأة) وخنثى (وصبي مطلقا) ولو في جنازة ونفل على الأصح
وفي ردالمحتار
(قوله ونفل على الأصح) قال في الهداية: وفي التراويح والسنن المطلقة جوزه مشايخ بلخ ولم يجوزه مشايخنا، ومنهم من حقق الخلاف في النفل المطلق بين أبي يوسف ومحمد. والمختار أنه لا يجوز في الصلوات كلها. اهـ
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
1222
(২)
হল, মসজিদে জামাত পড়া ওয়াজিব? না বাড়িতে জামাত পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।
উত্তরঃ
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
(قوله في مسجد أو غيره) قال في القنية: واختلف العلماء في إقامتها في البيت والأصح أنها كإقامتها في المسجد إلا في الأفضلية. اهـ
ঘরে জামাত পড়া কি মসজিদে জামাত পড়ার মত? এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।তবে বিশুদ্ধ মত হল,ঘরে জামাত পড়াও মসজিদে জামাত পড়ার মত।তবে সওয়াবে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।অর্থাৎ ঘরে জামাত পড়ার ধরুণ ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।তবে মসজিদের মত সওয়াব পাওয়া যাবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
1365
(৩)
নামাযে নারী-পুরুষের মুহাযাত তথা সামনাসামনি হয়ে যাওয়া নামায ভঙ্গের কারণ।তবে মুহাযাতের মাধ্যমে নামায ফাসিদ হতে হলে সাতটি শর্ত রয়েছে।
এরমধ্যে চার নাম্বার শর্ত হলো,
الرَّابِعُ كَوْنُ الصَّلَاةِ مُشْتَرَكَةً بَيْنَهُمَا تَأْدِيَةً بِأَنْ يَكُونَ أَحَدُهُمَا إمَامًا لِلْآخَرِ فِيمَا يُؤَدِّيَانِهِ أَوْ يَكُونَ لَهُمَا إمَامٌ فِيمَا يُؤَدِّيَانِهِ فَيَشْمَلُ الشَّرِكَةَ بَيْنَ الْإِمَامِ وَالْمَأْمُومِ وَبَيْنَ الْمَأْمُومِينَ
মর্মার্থ-উভয় একই জামাতে হতে হবে
(দুরারুল হুক্কাম শরহু গুরারিল আহক্বাম-১/৯১)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মা - ছেলে বা ভাই - বোন আলাদাভাবে নামাজ আদায় করার সময় পাশ - পাশি দাড়িয়ে নামাজ পড়তে পারবে।কেননা পাাশাপাশি নামায ফাসিদ হওয়ার জন্য শর্ত হল,একই জামাতে শরীক হওয়া।