আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি কোন হুজুর থেকে তালাক এর মাসালা জানার জন্য প্রশ্ন করছি তিনি উত্তরটা দিল উত্তরটার মধ্যে উনি বলল যে এভাবে এভাবে বললে শর্ত যুক্ত তালাক হয়ে হয়ে যায় এবং সেটা দেখে দেখে অধ্যায়ন বা পড়ার সময়   স্ত্রীর কথা স্মরণে আসে সে ক্ষেত্রে কি কোন প্রকারের সমস্যা হবে। কারণ আমি হুজুরের দেওয়া উত্তরটা পড়ছিলাম। এমতাবস্থায় হুজুরের দেওয়া উত্তরটা দেখে দেখে পড়ার সময় আমার স্ত্রীর কথা আমার স্মরণ এসে যায় এবং আমি ওই কথাগুলো হুজুর যে শর্ত যুক্ত তালাকের কথা বলেছে সেগুলো আমি উত্তর দেখে দেখে উচ্চারণ করে পড়ি। আপনাকে সবই বললাম যেহেতু এখানে উত্তর বা মাসআলা পড়ছিলাম কিন্তু পড়ছিলাম কিছু একটা তালাক বিষয় কিন্তু স্ত্রীর কথা পড়ার সময় হঠাৎ করে মনের মধ্যে চলে আসে। কোন সমস্যা হবে এতে আমাদের সম্পর্কের মধ্যে। আর  কেউ যদি হুজুর এখনো বিবাহ করেনি কিন্তু সে কোন হুজুরের কাছ থেকে উত্তর নিয়ে  এমন প্রশ্নের উত্তর  পড়ছিল বা মাসালা পড়ছিল আমার মতই সে ক্ষেত্রেও কি তার হবু স্ত্রীর সাথে এক কথায় কোন সমস্যা হবে কিনা বিয়ে করলে??

যেহেতু এখানে স্পষ্ট সেটা অধ্যায়ন বা পড়তে ছিল কোন মাসআলা হুজুর থেকে জেনে সেই উত্তরটা দেখে দেখে বা এমনি যেসব মাসালা থাকে তালাক সম্পর্কিত সেগুলো মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে পড়ার সময় হবু স্ত্রী বা বিবাহ করা স্ত্রীর কথা স্মরণ আসে তালাক হবে বা কোন সমস্যা হবে কি??

এখানে কিন্তু হুজুর আমি বললাম আমি  পড়ার সময় স্ত্রীর  কথা  মনে  আসে এই ক্ষেত্রে মনে আসার পরে কথাগুলা যদি বলি কোন সমস্যা হবে এখানে কিন্তু হুজুর আমি কিন্তু ইচ্ছা করে স্ত্রীর কথা  মনে করে কোন কিছু বলিনি। কোন হুজুরের উত্তর দেখে বা  মাসালা পড়ার সময় এমনভাবে স্ত্রীর কথা মনে আসলে সমস্যা হবে না তো কোন।
আমাকে উত্তর গুলো দিবেন একটু চিন্তায়  আছি এগুলা নিয়ে।
by (12 points)
এইগুলার জন্য  আমার কি কোন সমস্যা হবে না তাহলে? 
পরামর্শ টা দিবেন অন্তত। 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (12 points)
হুজুর কিছু তো বলতেন এই বিষয় নিয়ে
by (597,330 points)
ওয়াসওয়াসা জনিত প্রশ্নের উত্তর না দিতে আমাদের প্রতি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে।
by (12 points)
হুজুর আমার এই প্রশ্ন গুলা কি ওয়াস ওয়াসার জন্য আসছে, আমার কোন সমস্যা হবে নাহ তো অন্তত বলে দিতেন 
by (597,330 points)
জ্বী, এগুলো ওয়াসওয়াসার জন্যই আসে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...