আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ,
আমার দাদা অসুস্থ। হাঁটতে পারেন না। আমার বাবারা তিন ভাই।তিনজনই প্রবাসী।চাচাতো ভাইয়েরা ছোটো তবে একজন বালেগ আছে কিন্তু মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে।আমরা শহরে থাকি আর চাচীরা গ্রামের বাড়ি। এখন দাদার দেখাশোনা আমার দুই চাচী করছেন।আমার আম্মু দ্বারা সম্ভব নাহ দেখাশোনা করা কারণ দূর্বল আর এখানে আমাদের দায়িত্ব আমাদের বাসায় ও কোনো পুরুষ নেই।আমি দুইটা টিউশন করি সেজন্য সেবা করার জন্য ওখানে গিয়ে থাকাও সম্ভব নাহ।আমার বোন যেতে পারতেছে কিন্তু আম্মু রাজি হচ্ছে না যেতে দিতে কারণ চাচিরা দোষত্রুটি খুজতে পারে তাই যেমন বলে রাখা ভালো চাচিদের সাথে অতো অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নেই তবে দেখাশোনা করার জন্য ওখানে যেতে বলতেসে। আমাদের বাসায় আনাও সম্ভব না কারণ দাদা বেশি দূবল হয়ে গেছে আর আসতে ও চাচ্ছে না।আর আমাদের নিজস্ব বসত বাড়ি নেই তবে জমি আছে।

১)এখন দাদার সেবা করা কি আমাদের জন্য ফরয?
২)দাদার হক কি বঞ্চিত হচ্ছে?এর দ্বারা কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
‘আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা’-তে (১৯/৩৯) এসেছে: “সন্তান কর্তৃক পিতামাতার সেবা করা কিংবা পিতা কর্তৃক সন্তানকে কাজে লাগানো কোন মতানৈক্য ছাড়া জায়েয। বরং তা শরিয়ত কর্তৃক আদেশকৃত সদাচরণের অন্তর্ভুক্ত। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সন্তানের উপর পিতামাতার সেবা করা কিংবা অন্যকে দিয়ে সেবা করানো ওয়াজিব হয়ে যায়। এ কারণে সন্তানের জন্য এ সেবার বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা নাজায়েয। কেননা এটি তার উপর প্রাপ্য অধিকার। যে ব্যক্তি কারো প্রাপ্য অধিকার তাকে প্রদান করে তার জন্য এর বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেয়া জায়েয নয়।”[সমাপ্ত]


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার দাদার তিন ছেলে। তিন ছেলের উপরই বাবার খেদমত করা, দেখাশোনা করা সমানভাবে ওয়াজিব। চাচাদের মত আপনাদের বাবাও বিদেশে রয়েছেন, তাই উনি যদি মাসিকহারে কিছু টাকা দিয়ে দেন, এবং অপর দুই ভাইয়ের পরিবার আপনার দাদার দেখাশোনা করতে রাজী হয়ে যায়, তাহলে আপনার বাবার হক আদায় হয়ে যাবে। অথবা আপনারা বৎসরের তিন ভাগের এক ভাগ সময় সেবা করার চেষ্টা করবেন। যদি আপনারা নিজে না পারেন, তাহলে কোনো মানুষ দিয়ে সেবা করানোর চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...