ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।(সূরা আর-রূম-২১)
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَفْرَكْ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً إِنْ كَرِهَ مِنْهَا خُلُقًا رَضِيَ مِنْهَا آخَرَ " أَوْ قَالَ " غَيْرَهُ "
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুমিন পুরুষ কোন মুমিন নারীর প্রতি বিদ্বেষ-ঘৃণা পোষণ করবে না; (কেননা) তার কোন চরিত্র অভ্যাসকে অপছন্দ করলে তার অন্য কোন (চরিত্র-অভ্যাস) টি সে পছন্দ করবে। ..... কিংবা (এ ধরনের) অন্য কিছু বলেছেন।(সহীহ মুসলিম-১৪৬৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মহব্বত আল্লাহ তৈরী করে দিয়েছেন। এই মহব্বত পবিত্র জান্নাতি মহব্বত। তবে এমন মহব্বত কাম্য নয় যা আল্লাহর ইবাদতে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে। যেহেতু সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে, তাই এমনটা অনুভব হচ্ছে, যখন কিছুটা সময় যাবে, এবং স্বামীর বাড়ীতে চলে যাবেন, এবং সন্তান সন্তানাদি হবে, তখন পরিস্থিতি এমন থাকবে না। আপাতত মৃত্যুর ভয় সামনে আনুন, এই নিয়ামত আল্লাহ আপনাকে দিয়েছেন, সেটা বারংবার স্বরণ করুন, তাহলে ইবাদতের মুহূর্তে স্বামীর কথা আর স্বরণ হবে না।
সারাক্ষণ তাঁর কথা মনে পড়ার কারণে আমলে ঘাটতি হচ্ছে, সালাতের মনোযোগ সরে যাচ্ছে। যেহেতু অনিচ্ছায় হচ্ছে,তাই রব্ব আপনার প্রতি নারাজ হবেন না। আপনি সদাসর্বদা চেষ্টা করবেন, যাতে ইবাদতে কোনো বিঘ্নতা সৃষ্টি না হয়।