আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ও'য়া রহমাতুল্লহ উস্তায।

আমার বিয়ে হয়েছে একমাস হলো। আমার জাওজ এখনও তুলে নেয়নি।আমি বাবার বাসায় আছি। তিনি আমাকে মাঝেমধ্যে দেখতে আসেন।
বিয়ের আগে আমল, সালাত খুব মনোযোগ দিতে পারতাম।কিন্তু বিয়ের পর আমার জাওজের কথা সারাক্ষণ মনে পড়ে। সব কাজ এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সালাতে দাঁড়ালেও তাঁর  কথা মনে পড়ে।

আল্লাহর কাছে খুব ফরিয়াদ করেছিলাম এমন একজন মানুষের জন্য। আমার রব্ব আমাকে নিরাশ করেননি। আমি আমার জাওজকে নিয়ে খুবই খুশি আলহামদুলিল্লাহ।
উস্তায, সারাক্ষণ তাঁর কথা মনে পড়ার কারণে আমলে ঘাটতি হচ্ছে। সালাতের মনোযোগ সরে যাচ্ছে। এতে কি রব্ব নারাজ হবেন আমার প্রতি?

আমি রব্বের চেয়ে বেশি মুহাব্বাত তাঁর বান্দাকে করে ফেলছি? এতে কি আমি বা আমার জাওজ গুনাহগার হবো?

জাযাকাল্লাহ খইরন।আমাদের দু'আতে রাখবেন উস্তায।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।(সূরা আর-রূম-২১)

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَفْرَكْ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً إِنْ كَرِهَ مِنْهَا خُلُقًا رَضِيَ مِنْهَا آخَرَ " أَوْ قَالَ " غَيْرَهُ "
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুমিন পুরুষ কোন মুমিন নারীর প্রতি বিদ্বেষ-ঘৃণা পোষণ করবে না; (কেননা) তার কোন চরিত্র অভ্যাসকে অপছন্দ করলে তার অন্য কোন (চরিত্র-অভ্যাস) টি সে পছন্দ করবে। ..... কিংবা (এ ধরনের) অন্য কিছু বলেছেন।(সহীহ মুসলিম-১৪৬৯) 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মহব্বত আল্লাহ তৈরী করে দিয়েছেন। এই মহব্বত পবিত্র জান্নাতি মহব্বত। তবে এমন মহব্বত কাম্য নয় যা আল্লাহর ইবাদতে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে। যেহেতু সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে, তাই এমনটা অনুভব হচ্ছে, যখন কিছুটা সময় যাবে, এবং স্বামীর বাড়ীতে চলে যাবেন, এবং সন্তান সন্তানাদি হবে, তখন পরিস্থিতি এমন থাকবে না। আপাতত মৃত্যুর ভয় সামনে আনুন, এই নিয়ামত আল্লাহ আপনাকে দিয়েছেন, সেটা বারংবার স্বরণ করুন, তাহলে ইবাদতের মুহূর্তে স্বামীর কথা আর স্বরণ হবে না।
সারাক্ষণ তাঁর কথা মনে পড়ার কারণে আমলে ঘাটতি হচ্ছে, সালাতের মনোযোগ সরে যাচ্ছে। যেহেতু অনিচ্ছায় হচ্ছে,তাই রব্ব আপনার প্রতি নারাজ হবেন না। আপনি সদাসর্বদা চেষ্টা করবেন, যাতে ইবাদতে কোনো বিঘ্নতা সৃষ্টি না হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...