আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমি একজন গৃহিণী। ২ বছরের সংসার জীবনে ৮ মাসের একটা ছেলেবাবু আছে আলহামদুলিল্লাহ।
আমার স্বামী আমার এবং সন্তানের সমস্ত খরচ বহন করে।
চাকরি সূত্রে অন্য জেলায় থাকেন ওনি।সপ্তাহে ২ দিন বাসায় থাকেন।তাই বাকি ৫ দিন ওনার কিভাবে যায় সেটা আমি জানিনা।
ওনার একজন মেয়ে কাজিন আছেন যাকে আমি পছন্দ করি না।পছন্দ না করার কারণ হল আমাদের বিয়ের পূর্বে তারা একে অপরকে পছন্দ করতো এবং বিয়েও হওয়ার কথা ছিলো (শ্বাশুড়ির মুখে শোনা)।

মেয়েটার সাথে কথা বলতে আমি না করে দিয়েছিলাম ওনাকে।ওনিও বলেছেন বলবেনা।কিন্তু আমি সেদিন মেয়েটার ফোনে দেখলাম ওরা ২ জন কথাবার্তা বলে। কিন্তু আমার স্বামীর ফোনে কিছুই নেই।সব ডিলেট।ওনাকে জিগ্যেস করাতে ওনি বললেন আমাদের তেমন কিছু নিয়ে কথাবার্তা হয়নি।ছোটবেলা, বিজনেস,আর জায়গা নিয়েই কথাবার্তা হয়েছে। তুমি দেখলে কষ্ট পাবে তাই ডিলেট করেছি।

বিষয় টা আমি মানতেই পারিনি।কান্না করে সেদিন রাত পার করেছিলাম।

সপ্তাহে যে ২ দিন বাসায় থাকেন সারাক্ষণ ই ফোন আর ল্যাপটপে বিজি থাকেন।এমনি রাত ২ টাও বেজে যায় ল্যাপটপে তার।এসব নিয়ে আমি ঝামেলা করলে বলে যে তোমার সব ভরণপোষণের দিচ্ছি সব করতেছি তাও এত কমপ্লেইন কেনো?

আসলে আমারো ইচ্ছে করে ওনার সঙ্গ পেতে।কোয়ালিটি স্পেন্ড করতে।দিন দিন ডিপ্রেশনের রোগী হয়ে যাচ্ছি।

আমাকে কিছু পরামর্শ দেন যে কিভাবে এই অসুস্থ সম্পর্ক টা ঠিক রাখবো?


জাযাকুমুল্লাহু খইরন ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরহ।

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

স্বামীর উপর স্ত্রীরও কিছু অধিকার ও হক্ব রয়েছে যেমন, বিয়ের পর স্ত্রীর ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করে স্ত্রীকে একটি বাসস্থান ও খাদ্য এবং বস্র দান করা।এটা স্বামীর উপর  স্ত্রীর অধিকার ও হক্ব এবং শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব। এ সম্পর্কে কোরআনের ঘোষনা হলঃ
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

 

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

تجب السكني لها عليه في بيت خال

মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াত, ১/৬০৪)

স্ত্রীর সাথে উত্তম ব্যবহার করা।
স্ত্রীর সঙ্গে প্রয়োজনে একান্তে বসা ও খোশগল্প করা।

অবসরে স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বসে কিছু গল্পগুজব করা, তার মনের কথা জানা-বোঝা, তার কোনো চাহিদা থাকলে তা জেনে নিয়ে পূরণ করা স্বামীর জন্য জরুরি। 
প্রয়োজন মাফিক স্ত্রীকে সময় দেয়া।

বাড়িতে প্রবেশ করে স্ত্রীকে সালাম দেওয়া।

স্ত্রীর প্রতি উত্তম ধারণা রাখা।
স্ত্রীর প্রয়োজনীয় চাহিদা যথাসম্ভব  পূরন করা।
স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করা ও তাকে গুরুত্ব দেওয়া।

স্ত্রীকে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া

স্ত্রীকে তার মা-বাবা, ভাই-বোন ও নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া উচিত। আর এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া বা মাহরাম ব্যক্তিকে সঙ্গে দিয়ে পাঠাতে হবে। ইফকের ঘটনাকালে আয়েশা (রা.) অসুস্থ হলে তিনি পিতার বাড়িতে গমনের জন্য রাসুল (সা.)-এর কাছে অনুমতি চান। রাসুল (সা.) তাঁকে অনুমতি দিলে তিনি পিতৃগৃহে চলে যান। (বুখারি, হাদিস : ২৬৬১

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার স্বামী আপনাকে সময় দেয়না,বেশি সঙ্গ দেয়না,পূর্বের প্রেমিকের সাথে এখনো কথা বলে,এগুলো সবই আপনার হক নষ্টের শামিল।

তাকে বুঝিয়ে কাজ না হলে দুই পরিবারের মুরব্বিদের মাধ্যমে বৈঠক করে তাকে বুঝাতে পারেন।
,
স্বামীর মনের মধ্যে আপনার মুহাব্বত বৃদ্ধিরর জন্য নিম্নোক্ত লিংকে প্রদত্ত আমল গুলি করার জন্য আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবেঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...