আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।  উস্তায আমি আমার একজন পরিচিত বোনের সমস্যা তার ভাষায় তুলে ধরছি,,,,


আমার একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো।  দ্বীনের কিছু টা বুঝ পাওয়ার পর যখন জানলাম রিলেশন হারাম তখন দুই জন ই সরে গেলাম। আমার পরিবারে কারো দ্বীনের বুঝ নাই। ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার পর ও করি নি, তাই কথা শুনতে হয়।এবং আমার জন্য তারা যেই বিয়ের প্রপোজাল আনে,তাদের বেশির ভাগ ই ব্যাংকার।আমি দেশে থাকলে মা বাবা জোর করে তাদের আনা ছেলের সাথে বিয়্র দিয়ে দেবে।  তাই অনেক টা জোর করেই আমি স্কলারশিপ নিয়ে নেদারল্যান্ডস চলে এসেছি।সম্পর্ক হালাল করার জন্য, আমার যার সাথে রিলেশন ছিল,তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম।  কিন্তু মা বাবা কোনো ভাবেই রাজি না। যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছি ছেলে হিসেবে সে ভালো,, এটা আমার মাও স্বীকার করে। কিন্তু মা বিয়ে দিতে চায় না,,কারণ মার মতে অই ছেলের ফ্যামিলির অবস্থা আমাদের চেয়ে একটু খারাপ।  আমাদের দুই জনের বাসা একই এলাকায়,। ওদের আগে থেকেই জমিজমা বাড়ি ছিল। কিন্তু আমাদের হয়েছে পরে। কিন্তু আর্থিক অবস্থায় তাদের থেকে আমরা অল্প উপরে।এসব নানা কারণে আমার মা মেনে নিবে না আমরা বিয়ে করলে।আমি বিদেশ আসার সময় অই ছেলে আমাকে টাকাও দিয়েছে। আমি এখন কোনো ভাবেই অন্য কাউকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক না। আর আমার মা বাবা  কোনো ভাবেই এই ছেলের সাথে বিয়ে দিতে রাজি না। আমি এই অবস্থায় কি করতে পারি? মা বাবা কে না জানিয়ে বিয়ে করলে তারা কষ্ট পাবে। আর আমি এটাও জানি,,মা বাবা বিয়েতে রাজি না হলে আমার আর কখনো বিয়ে করাও হবে না। আমি যদি মা বাবাকে না জানিয়ে বিয়ে করি,তাহলে কি এই বিয়ে হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনারা উভয়েই বালেগ বালেগাহ, 
সুতরাং আপনারা উভয়ে যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করেন, তাহলে আপনাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।

যদিও আপনাদের অভিভাবক  কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তিনি অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

আরো জানুনঃ-

উল্লেখ্য যে  মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও অাখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।

তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।

সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাবার মতামতকে উপেক্ষা করে আপনাদের বিবাহ হয়ে যাবে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না  জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পরামর্শ থাকবে অভিভাবকদেরকে  রাজি করিয়ে উক্ত বিবাহ করা।
অভিভাবক  রাজি না হলে অন্যত্রে বিবাহ করা ভালো হবে।
এক্ষেত্রে সেই ছেলের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে হবে,তাকে ভুলে যেতে হবে।

তবে মা রাজি না থাকা সত্ত্বেও আপনি যদি সেই মেয়েকে বিবাহ করেন,তবুও শরীয়াহ মোতাবেক আপনাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

তবে সর্ব ক্ষেত্রে আল্লাহর ভয়ে এই অবৈধ প্রেম চালিয়ে যাওয়া যাবেনা,  এ কারনে মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করতে হবে ফিরে আসতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...